বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩

তমাল রায়

 

বিস্মরণের বিরুদ্ধে স্মৃতি-সত্তার লড়াই : দাহ-প্রদাহ / সুবল দত্ত

 


"The struggle of man against power is the struggle of memory against forgetting" (ক্ষমতার বিরুদ্ধে মানুষের

সংগ্রাম আসলে বিস্মরণের বিপক্ষে স্মৃতির লড়াই - মিলান কুন্দেরা)

মানবাজার, চাইবাসা, রাঁচি, ধানবাদ, বোকারো, টাটানগর। এতদ অঞ্চল বাংলা ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত অঞ্চল, মানভূম অঞ্চল বলেই একসময় খ্যাত ছিল। বর্তমান নিবন্ধের বিষয় যে মানুষটির সাহিত্যকর্ম, শ্রীসুবল দত্ত কবি, কথাসাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, ভাস্কর সুবল দত্ত; তাঁর জন্ম, শিক্ষা-দীক্ষা, বড় হওয়া থেকে বুড়ো হওয়া এই অঞ্চল সীমানার মধ্যেই। স্বাভাবিক ভাবেই এই সৃজনশীল মানুষটির গল্পের বীজতলা যে এই প্রান্তিক অঞ্চলের মানব-মানবী ও তাদের মানুষী-না-মানুষী-অতিমানুষী যাপন-বিচিত্রাই হয়ে হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য।

বলতে দ্বিধা নেই যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পেটরোগা নরম সরম ভাত-মাছের ঝোলের নাদুসনুদুস পাঠকের কাছে সুবল দত্তর লেখা বদহজমের ট্যাবলেট। কারণ সুবল দত্তর আখ্যানের অনেকটাই জুড়ে রয়েছে রুখুসুখু, ৪৪-৪৬ ডিগ্রি উষ্ণতার প্রান্তিক ভুখা-নাঙ্গা আদিবাসী ঊন-মানুষদের গল্প। যা অববাহিকাময় রাজধানী শহরের পাঠকের কষ্ট কল্পনাতেও ছোঁয়া প্রায় অসম্ভব। আর ঠিক সেখান থেকেই 'দাহ-প্রদাহ' পড়তে বসে ধাক্কা আর ধাক্কায় প্রায় চিৎপাত হবার দাখিল।

'দাহ প্রদাহ' বইটি চারটি আখ্যান খণ্ডের সমষ্টি। এক একটি খণ্ড আখ্যানগুলির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী  চিহ্নিত করা যাবে তা ঠিক নয়। সম্ভবত সময়কালের ভিত্তিতেই নির্মিত এক একটি গল্প সমষ্টি। দাহ ১। দাহ ২। দাহ ৩। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ভাষাগতভাবে অনগ্রসর মানুষের এই পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত সমাজে প্রতিনিয়ত দহন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তো যেতে হয়। তাই সুচিন্তিত ভাবেই এক একটি আখ্যান খণ্ড চিহ্নিত হয়েছে দাহ শিরোনামেই। অথবা মনুষ্য জীবনের নিরিখেও যদি ভাবা যায়, তবে শৈশব ব্যতিরেক অবশিষ্ট যা - যৌবন, প্রৌঢ় বা তারও পর যে জীবন তা এক অবিরাম দহন প্রক্রিয়ারই তো অংশ। কেবল অন্তিম পর্যায়, মরণ রে তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান, কেবল তাই হয়ত কল্পিত প্রদাহ। হয়ত এ ভাবেই শ্রেণী বিন্যস্ত।

পেশায় ব্যাঙ্কার লেখক সুবল দত্ত, নিজে মধ্যবিত্ত তুলনামূলক সুখী জীবনের শরিক হলেও, তাঁর বেড়ে ওঠা ও বেঁচে থাকা হত দরিদ্র প্রান্তিক সহনাগরিকদের দুঃখ কষ্ট, রীতিনীতিগুলি অনুপুঙ্খ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে কিন্তু অপারগ হননি। এখানেই লেখকের কালি কলমের সার্থকতা। আবার একই সাথে তার জীবনের বহু বিচিত্র শখ ও ভ্রাম্যমান জীবনের অভিজ্ঞতার রসে বিচিত্র বিষয়ে গল্পগুলি সাজিয়েছেন। সম্পূর্ণ বইটি, দাহ-প্রদাহ তাই সুপ্রাচীন গৌরবান্বিত ভারতীয় বহুত্ববাদেরই যেন এক ক্ষুদ্র সংস্করণ। যা দরিদ্র অথচ ঐতিহ্যবাহী এবং নিরীক্ষণধর্মী হওয়ায় অবশ্যই আধুনিক।

নীচে প্রতিটি খণ্ড থেকেই প্রতিনিধিত্বমূলক গল্পগুলির সামান্য নির্যাস রাখা হল বর্তমান নিবন্ধটির পাঠকদের জন্য।

দাহ-১

পাইটক্যা। এমন পেশা কি সত্যি আছে? পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম আছে। পাইটক্যারি একটা পেশা। যে পেশায় যুক্ত মানুষরা আশপাশের অঞ্চলের কেউ মারা গেলে ঠিক টের পায়। আর মৃতের বাড়ির কেউ ডাকুক বা না ডাকুক, তারা ঠিক পৌঁছে যায় মরহারাদের বাড়ি। আর তারপর মৃতের আত্মীয় পরিজনরা চাক বা না চাক তারা বলতে শুরু করে মৃতের জীবনের সব গোপন কথা। তাতে কখনও শোকগ্রস্ত পরিজন ক্রুদ্ধ হয় অথবা আরও বেশি শোকার্ত, তাতে পাইক্যাদের কিছু যায় আসে না। তারা কেবল সত্য বলতে স্ব-নিযুক্ত। বদলে মৃতের বাড়ি থেকে হয়ত চাল ডাল অল্প কিছু টাকা পয়সা দেয়। আর ভয় ভক্তিতে কেউ কেউ হয়ত পাইটক্যাদের থেকে শেকড় বাকড় মাদুলি চায়। বদলে জোটে আরও কিছু জীবিকা নির্বাহের রসদ। তাদের নিজেদের কোনো রেট নেই। সত্য বলাই যে তাদের পেশা। এ অনেকটা সিদ্ধিপ্রাপ্ত সাধকের মতই ব্যাপার। তা এহেন মদন পাইটক্যা হল সুবল দত্তের 'পাইটক্যা' গল্পের নায়ক। সেও বাপের সাথে ঘুরতে ঘুরতে একদিন কবে যেন নিজেই পাইটক্যা হয়ে যায়। মদন কেমন যেন নিশিতে পাওয়া মানুষের মত মাঝরাতে আচম্বিত স্বপ্নের ডাক পেয়ে বেরিয়ে পড়ে মৃতের বাড়ি। বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়খণ্ডের বিবিধ আদিবাসী অঞ্চল হল তার কর্মস্থল। ঘোর লাগা কথা বলে, রাতের জঙ্গল মহলের সে একজন প্রেমিক। মদনের সাথে আমরা শহুরে পাঠকও রাতের প্রকৃতি দেখতে দেখতে পথ চলি, আর বিশ্বাস - অবিশ্বাসের সীমানায় দাঁড়িয়ে লক্ষ্য করি, কখন যেন আমরাও পাইটক্যা। অদ্ভুত!

'পরিত্রাণ'। তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। বিধবা কুঁজি বুড়ি বৃন্দার ঘরবাড়ি সবই ছিল। স্বামী গত হবার পর দুই সন্তান তাদের কলহ রুগ্ন বৃদ্ধা মাকে বাড়ি ছাড়া করেছে। বুড়ির আর তেমন কিছুই নেই, স্মৃতিটুকু ছাড়া। বৃন্দাবুড়ির কেবল তার সোয়ামির কথা মনে পড়ে। এমনই এক মফস্বল শহরের ভোররাতে, বৃন্দাবুড়ি চলেছে তার সোয়ামির ভুতের সন্ধানে, সাথে আর ত্রিশের কুব্জি যুবতী কুবলি। কুবলি কুঁজো হলে কি হবে,   বয়সের ধর্মে তার স্বাভাবিক ভাবেই প্রেম আছে, আছে নাগর কালাচাঁদের অনুসন্ধানে নিজেকে ব্যাপৃত রাখাও। যেতে যেতে দুই বিকৃত শরীরি অসমবয়স্কার ছেঁড়া ছেঁড়া কথোপকথন চলছে, পথ আগলে বসে আছে, আর এক তৃতীয় প্রাণ যে আসলে স্ট্রীটডগ। তিন জনের গন্তব্য এক মফস্বলের স্টেশন। এখানে স্টেশন কি আর শুধুই স্টেশন? নাকি জংশন? যেমন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের চন্দনেশ্বরের মাচানতলার সেই মাঠ, যেখানে সাধারণ অতি সাধারণদের জীবনেও হবে অলৌকিক উপলব্ধি, এও কি তেমন নয়? পড়তে পড়তে এই ফ্রেমটা দেখতে একটু দূরে সরে গেছিলাম খানিক বাধ্য হয়েই। প্যানোরেমিক ভিউটা জরুরি ছিল। দুজন সর্বহারা নারী, দুজনেই কুব্জ। একজন বয়সজনিত কারণে, অপরজনের বিকৃতি নিয়েই জন্মগ্রহণ আর একটি কুকুর, এ কি মহাপ্রস্থানের ইঙ্গিতবাহী কিছু? একটা স্টেশন / জংশন... আর টপ শটে... কুকুরের পায়ে বৃদ্ধার প্রণাম, যুবতীর মাথা রাখা এক মাঝবয়সীর কোলে... আর তারপর?

রোলা বার্তের কথায় লেখার পর লেখকের মৃত্যু হয়, বেঁচে থাকে কেবল লেখক। সুবল দত্ত কি জানেন, তিনি জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে কি লিখে ফেলেছেন? স্তম্ভিত হই।

শেষ ঝাঁপান। ভবা গুণিন, হেমা বেবুশ্যে আর ভবার নাগিন(সাপ) প্রেমিকার ত্রিকোণ প্রেমের এক অদ্ভুত গল্প। সে এক প্রান্তিক অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে লেখা গল্প। যেখানে রথের দিনের বিবিধ আচার আচরণের সাথে কবে জড়িয়ে গেছিল সাপ আর সাপুড়েদের খেলাধুলা ওই রথকে কেন্দ্র করেই। রথের রশি চিরকালীন মানুষী রিপু দমনের উদ্যোগে নির্মিত এক মিথ, হয়ত সে মিথের সাথে কবেই জড়িয়ে গেছিল সর্পতে রজ্জু ভ্রম। তাই রথোৎসবকে কেন্দ্র করে কাম, কামিনী কাঞ্চন আর প্রেম, ক্রোধ ও আতিশয্যে কখন যেন দুই নারীর হত্যালীলাও সংঘটিত হয়। ক্লাইম্যাক্স এন্টিক্লাইম্যাক্স আর চিরায়ত দর্শনের এমন ধারা টানাপোড়েনের গল্প কি আমরা সতীনাথ ভাদুড়ি ছাড়া আগে পড়েছি?

দাহ-২

গল্প সংকলনের দ্বিতীয় ভাগের পরিত্রাণ ছাড়া বাকি গল্পগুলি, যেমন সবুজ মেঘ, অন্ধকারে উষ্ণ অবসাদ বা অস্থিরতা তুলনামূলক বিত্তবানদের গল্প। যেখানে যৌনতা - সুস্থ বা বিকৃত, নাগরিক জীবনের সম্পর্কের জটিলতা এবং সমাজ ব্যধির দূরতর স্পর্শে মানসিক ব্যধি যেখানে পরিস্ফুট হয় লেখকের কলমে নির্দ্বিধায়, প্রাণ পায় এবং নিশ্চির রূপেই বলা যায়, মনোরৈখিক এই বিকলন আসলে, একটা ত্রাসেরও জন্ম দেয়, যা বুঝতে সাহায্য করে, লেখাগুলো সার্থক হবার চেষ্টায় উদ্যমী। একমাত্র অন্ধ আলো গল্পটি এই পর্বের কিছুটা ব্যতিক্রম, কারণ এটিও বিত্তহীনদের গল্প। যদিচ গল্পের প্রেক্ষাপট এমনই অদ্ভুত, যে মীনা ও শিবলাল চরিত্রদ্বয় প্রান্তের প্রতিনিধি হয়েও গল্পের ট্রিটমেন্টেই তা হয়ে ওঠে পৃথক।

দাহ-৩

আগুনে মৃত্যু বিদায় জলে। বটুক আর অনিমেষ। অনিমেষের কথা,বটুকের কথা। ভবিষ্যৎ দর্শন ও নিয়তিবাদ। স্ট্রাকচারালি উপন্যাসধর্মী গল্প। শান্ত, স্থিতধী চলন অথচ একেবারেই অচেনা প্রকরণে মুগ্ধতার ছাপ রেখে যায়।

প্রদাহ

'অরঘ' অর্থাৎ অর্ঘ্য। মূল চরিত্র দিন আনি দিন খাই সুবাস মণ্ডল, বাঙালি হতদরিদ্র শ্রমিক। প্রতিহিংসাপরায়ণ মালিক সুবাসের জমি বাড়ি কেড়ে নেওয়ায়, অসহায় সুবাস আত্মহননের প্রবৃত্ত হয়, সাথে তার পরিবারের বাকিরাও... নিয়তি ঠাকরুণের কৃপায় বেঁচে যায় কেবল সুবাস, বাকিরা অবশ্য বাঁচেনি। এ হেন সুবাসের সাথে পুনর্বার তার অত্যাচারী মালিকের আবার এক কনট্রাকটরের মাধ্যমে অন্য কনস্ট্রাকশন সাইটে দেখা। সেটা আবার এক তীর্থস্থানও। এবার পোয়েটিক জাস্টিস। মালিক ফের অপরাধের নীল নকশা প্রস্তুতের আগেই সুবাসের মধ্যে জেগে ওঠে তার প্রতি ঘটে যাওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ স্পৃহা। শেক্সপিয়ারের ক্ল্যাসিক উপন্যাসের মতই এ গল্পের সাদা কালো বোধ চেতনা। যা মুগ্ধতার আমেজ রেখে যায়।

'পরা অনুভূতি'- গল্পে মূল আখ্যান  বিস্তার নেয় গল্পের কথক, তার ছেলেবেলার বন্ধু মাগরাম নামের এক আদিবাসী বন্ধুর শৈশবে বলা নাককাটি বুড়িকে নিয়ে। গল্পে এমন কিছু অদ্ভুত অকল্পনীয় দৃশ্য কল্প আছে যা রূপকার্থেও অনায়াস ব্যবহার করাই যায়। গল্পের শেষে অবশ্য কথককে হাসপাতালের বেডেই দেখা যায়, মানে সম্পূর্ণ গল্পটি আসলেই এক স্বপ্নদৃশ্য। যেমন কোলরিজের 'কুবলা খাঁ'।

'মহাদর্শন' - কামাখ্যা সম্মন্ধে যারা গেছেন, অথবা যারা মিথ নিয়ে আগ্রহী তারা জানেন, অম্বুবাচির তিন দিন দেবীর রজস্বলা হয়ে ওঠার দিন। সম্ভবত সনাতনী ধর্মের একমাত্র পীঠস্থান কামাখ্যা যেখানে রজস্বলা হওয়াকে অপবিত্র জ্ঞান করা হয় না। সেই কামাখ্যায় পুজো দিতে যাওয়া তিন নারীকে নিয়ে আখ্যান সম্প্রসারিত হয়েছে। যে আখ্যানে অতি সাধারণ তিন নারী আবহমান সনাতনী প্রথা পশুবলির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এবং মন্দির প্রাঙ্গনেই রজস্বলা হন তিনজনের একজন। মিথ, রিয়েলিটি, সমাজতত্ত্বের মিশ্রণে আবহমান চেতনাকে ধাক্কা দেবার গল্পটি কিন্তু সরসভাবে লেখা। বাংলা কথাসাহিত্যে এ এক অতি বিরল উদাহরণ।

‘প্যান্ডোরার কৌটো’ - আঞ্চলিক ইতিহাসের সাথে সেকালের এক ভাইরাল রোগ গুটি বসন্তকে ও হাল আমলের মারিকাল কোভিড ১৯কে এক সূত্রে গেঁথেছেন লেখক। গল্পের প্রধান চরিত্র ভাইরোলজি গবেষক মোহন সিংকে। যা লেখকের নিরীক্ষামূলক প্রচেষ্টার আর এক সফল উদাহরণ।

শুরু করেছিলাম সম্প্রতি প্রয়াত বিশ্বখ্যাত চিন্তাবিদ ও লেখক মিলান কুন্দেরার উক্তি দিয়ে। সমাপ্তিতে সে কথাতেই আবার ফিরতে হবে। কবি, চিত্রকর, ভাস্কর আদ্যন্ত শিল্পী মনের সৃজনশীল লেখক সুবল দত্তের  অধিকাংশ গল্প, তাঁর পরিপার্শ্বের নিরন্ন, প্রান্তিক অথচ ভারতীয় আদি অকৃত্রিম বহুত্ববাদী সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সংগ্রামী বাহকদের গল্প। যাদের এই লড়াইয়ের আখ্যানগুলিও কি করে যেন ক্ষমতার বিরুদ্ধে মানুষের সংগ্রাম, আসলে বিস্মরণের বিপক্ষে স্মৃতির লড়াই-এর সাবস্ট্যান্সটুকু নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে।

নিবন্ধটি যখন শেষ করছি, সে মুহূর্তে বইটির লেখক সুবল দত্ত চিতার বহ্নিমান আগুনে দাহ-প্রদাহর পথেই  অস্থি থেকে ব্যোমে বিলীন...

প্রণাম।

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন