কবিতার কালিমাটি ১২৯ |
নহবত
আমাকে ডাকছে আজ
স্পর্শজাত কোন ইল্যুশন!
ঢেকে নিচ্ছে বাকহীন
চতুর ডানায়
অলৌকিক তামাশায়
কোন প্রণয়ে
স্তব্ধতার অভিপ্রায়ে
ঘুমচিহ্ন এঁকে
বিরহ গাইছে বড়
মেঘের ময়ূর!
ছায়াপথ ধরে আসা
প্রগাঢ় আবেগে
আশরীর ভেসে যাই
মৃদু জ্যোৎস্নায়
ফুটে ওঠে ফুল যেন
ট্রাম্পেট ভাইন
স্রোতের ভেতরে
খুব নহবত বাজে
দ্রোহ
বিবিধ রূপের পাশে
অসহিষ্ণু তুমি
অহমে আঁকো কিছু
বিস্তৃত রং
ছিন্ন পাতা উড়ে যায়
এমন সন্ত্রাসে
জলে নক্র, বনে বাঘ
দশমূর্তি ধর
আড়ালে লুকিয়ে রাখো
শাণিত নখর
কোন রূপে কতবার
রুখবে আমায়?
তুমুল বাঁচব তাই
নিজেকে ছাপিয়ে
যাই রেখে প্রতিবার
দ্রোহের অভিধা
রং… ক্রমে… মুছিতেছে
(মুরাদ নীল’কে)
তোমার নামের পাশে
সচিত্র আকাশ ভাঙ্গে
কৃত্তিকা নক্ষত্রে ওড়ে
শেষ বিচ্ছেদ বিভূতি
জল কেটে কে যে গায়
অপার হবার গান
বোবা গ্রীষ্মে ফিরে চলে
সায়ান রঙের রথ
আমার সামান্য নীল
দু’হাতে সরালে সব
বনের সবুজ ভেঙ্গে
বহুবর্ণ ভঙ্গিমায়
ঘুমিয়ে পড়লে শেষে
ধুমকুয়াশার ফুলে
রঙের বেতাল হলো
মেঘ মুছে বহুদূর
উড়ে গেলে ঘুমের সকাশে
রামেসিসের প্রতি
তৃষ্ণা দেহে অবশেষে মেঘ নেমে আসে
হাড়ের বাগানে জমে নুনের পাহাড়
খুলি থেকে ঝরে ঘাম জলের আকর
হাতে মন্ত্র বাঁধা দেখি লেখা প্যাপিরাসে
সূক্ষ তারে বার্তা ভাসে বহুদূর থেকে
হৃদয়ে রেখেছ কার অনশ্বর ছায়া
ন্যাট্রন ভেজানো দেহে রেখেছ কী মায়া
অপূর্ণ মেঘের রাতে, প্রথম কোরকে
শীতল বিরহ শেষে, রৌদ্রে ভেজা ডানা
ঝরায় গহন সুর কোমল ব্যথার
দুরূহ জপেছ মন্ত্র কোন তামাশায়
মোমের শরীর যদি ভাঙ্গো ইশারায়
কাচের ওপাশে কেন এঁকেছ সীমানা
মুছে দিয়ে নীলকান্ত সুপ্ত নিশাকর!
খুব সুন্দর কবিতা!
উত্তরমুছুনধন্যবাদ দাদা
মুছুন