সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩

বিদিশা সরকার

 

ব্যক্তিগত গদ্য

 

তার নির্দেশিত



কেউ নেই, কিছু নেই এমন একটা ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে স্বেচ্ছা নির্বাসন! সরে যাচ্ছে মানুষ, মানুষের আদলে আরও কতজন! এই সরে যাওয়াটা খুব জরুরী, কারণ পরিচিতের সমবেদনা বরফকুচি দেওয়া শরবত। ভাগ্নের গ্যারেজে নাটবল্টুর ঠুকঠাক। অ্যাক্সিডেন্টে তুবড়ে যাওয়া একটা গাড়ির ব্যথায় পুলটিস লাগাচ্ছে। তেলচিটে জামার ভিতরে ইভিনিং শো'য়ের দুটো টিকিট একটা মিস্‌ কলের অপেক্ষায়। এই ভো'কাট্টা ঠাট্টার বিকেলে আমাকে চিনতে পারছে না কেউ। প্রিয়তমা সুখ, তুমি সময় মতো সুখ দিয়ো -- আরামকেদারা। তার টুকিটাকি আরও সব, নিজেরাই বুঝিয়ে দেবে অন্যের সংসারে ক্ষয়ে ক্ষয়ে কিছু আবছা কিছু পরগনা জলসেচ টুলু পাম্প জলের সংকটে।

অনুপ্রবেশের আগে অনুমতি একটা সহবত। আর যারা এই সহবতের পরোয়া করে না, তারা অমাত্য। যে স্বেচ্ছায় আসে, সে অতিথি। দেশের খবর শুনি। মজে যাওয়া পুকুরের কথা শুনলে অতীতকে অনুরোধ করি কিছু অনুদান, প্রজার স্বার্থে। কারণ নিজের জমি'র তো হিসেব নেই। শত শত উদ্বাস্তুর সুরাহা একটা কারবার। ত্রাণ আর দান শব্দগুলোর মাহাত্ম্য যখন পাচার হয়ে যায়, একটা বোবা তার ভাষায় যা বোঝাতে চায় তার মানে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও অসম্ভব। না বুঝতে পারা একটা অঙ্ক উত্তরের তাগিদ নিয়ে বিশেষ ভাবে না। সে জানে মিলিয়ে দেওয়ার তৃপ্তি আর দাম্পত্যের চেষ্টা চরিত্তিরের পর নীল আলোয় যা যা ঘটে এসেছে এ অবধি, সবই নিজেকে জেনুইন প্রমাণিত করার অপপ্রয়াস। অঙ্কও তো মিলিয়ে দেওয়ার ছকবাজি। হায় কি যে করি এ মন নিয়া -- বিযুক্ত অক্ষরগুলো কিঞ্চিত প্রতিবাদী। মিড ডে মিলে আজ মাংস বরাদ্দ হয়েছে।

কোন বিচ্ছুরণজাত অমোঘ নিয়তি পরিকল্পনাহীন এক সুয়েজের ভিতরে একটা অস্তিত্বকে লালন করছে একপক্ষকাল! আমার বিস্ময়ের কল্পতরু চাহিদার কথা জানলেও এক বিকল্প কল্পবিজ্ঞানে প্রত্যঙ্গের মসলিন অনুরাগ স্বীকার করে নিচ্ছে সমুদ্রের আহ্বান। এ হল জাগরণের ফলশ্রুতি। যেখানে দিনের আলো বলে কিছু নেই। সন্তর্পণের পা অভ্যস্ত পিছল পথে গর্ভগৃহ পর্যন্ত। অসতর্ক পায়ে পিলসুজ উল্টে গেলে সেখানেই থেমে যাওয়া। বাকিটা তার নির্দেশিত।

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন