বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩

মধুবন চক্রবর্তী

 

কবিতার কালিমাটি ১২৮


ছায়াপথ

 

সামনের পথে চলতে চলতে

পিছনের পথ আমাকে টানে

পিছুটান আর স্মৃতির টেমস

নিয়ে যায় সিন্ধু সভ্যতার

আলোকিত নগরে

যে প্রাগৈতিাসিক ছায়াপথ ধরে

হেঁটে চলেছেন কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থ

সেই প্রবাহমান ছায়া পাঠ করি আমি

রোমান্টিকতার অতলে

কুড়োই নুড়িপাথর

যে প্রেমেই ডুবেছে মন

সেখানেই ছায়ার মত ঘিরে রেখেছে

রোমিও জুলিয়েট

যে ঢালুতে নেমেছি সেখানেই

বৃক্ষের মত জড়িয়ে ধরেছে

হ্যামলেট, বাঁশীর সুরে

মন ভেবেছে, দেখেছে

আরোহণ অবরোহণের ম্যাজিক

অতলান্ত চোখ

শুধু তোমাকেই খুঁজেছে

এত যে দৌড়েছি বাঁচার জন্য

আসলে মরেছি প্রতিদিন প্রতিসেকেন্ডে

তোমার কোল ঘেঁষে

যে সীমানায় গেছি সেখানেই

অসীম তুমি ছুঁয়ে দিলেই একবার

বাঁচার মত মরতে পারি।

 

বেশ আছে কষ্টেরা

 

আমার কষ্টের শেষ নেই।

সে তো জন্মের পর থেকে ছোট্ট পুষি বিড়াল যেন

খালি ম্যাঁও ম্যাঁও করে।

কখনও পাড়ার পল্টুর মতো ঘ্যান ঘ্যান

সারা দিন কেঁদে যায়

আমার কষ্টের আর শেষ নেই

সে তো ছেলে ভোলানো গান

ব্যঙ্গমা ব্যাঙ্গমির গল্প

অরুণ বরুণ কিরণমালা

আমার কষ্টেরা কেষ্ট বিল্টুর মতো

পাড়ার পুজোয় রেকর্ড বাজায়

ভাসানে হই হই করে নাচে

অনাথ আশ্রমে বেড়ে ওঠা মৌতাত

আশ্রমের দেবীকে মা ডাকে

দূর থেকে ভেসে আসে ঢাকের বোল

আমার কষ্ট বোবার মতো তাকাতে তাকাতে

ভালোবাসার কথা বলে

কষ্টের শেষ কোথায়?

এই তো সবে বেজে উঠল আনন্দ ভৈরবী।

 

বৃষ্টি

 

বৃষ্টি আসুক বা না আসুক

মনের ঘরে আকাশ কি মেঘলা?

বিদ্যুৎ চমকালেই বৃষ্টি

সেই বৃষ্টিতেই ভিজব তবে

ফোনের ঘরে নয়

মনের ঘরে

প্রেম হবে ভাইরাল

চোখের দেখা না হলে

মেঘ মল্লার কন্ঠে তুলে নিতে হবে

মনের ঘরে নামাতেই হবে বৃষ্টি

বৃষ্টি শুধু বৃষ্টি

তবে বৃষ্টি আসুক বা না আসুক

অন্তন্ত মেঘ জমাট তো বাঁধুক মনের তিস্তায়

ইলশেগুঁড়ি আসলে

না হয় পিঁঁড়ে পেতে খাব তুমি আর আমি

সেদিন না হয় হবে

ইলিশ খিচুড়ির যুগলবন্দী

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন