শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩

সুজিত পাল

 

ডানকুনি স্টেশনে ‘বন্দেভারত’




হুগলী জেলার বিখ্যাত স্টেশন ডানকুনি জংশন। শিয়ালদা ও হাওড়ার গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি এই পথেই যায়। এমনই একটি দিন ৩০.১২.২০২২ শুক্রবার বেলা প্রায় ১১.৪৫ মিনিট। স্টেশনে প্রচুর ভিড়। আমি ভেবেছি কোনো কারণে হয়তো অবরোধ হতে পারে। কয়েকজন বললেন ‘বন্দে ভারত’ দেখার জন্য মানুষের ঢল। পুলিশ সামাল দিতে পারছে না।

আমার গন্তব্য বারুইপাড়া। ডানকুনি থেকে তিনটি স্টেশন পরেই। ‘তীর্থযাত্রী’র একটি সাহিত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ রক্ষার ব্যাপার আছে। বন্ধু অমিতাভ ঘোষ এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। দীর্ঘ ২৬ বছর পরে বন্ধু অমিতাভের সাথে  দেখা হবে। মেদিনীপুর থেকে গিয়েছি। সাঁতরাগাছি নেমেছি। বাসে করে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে আবার বাস ধরে ডানকুনি এসেছি। এখান থেকে বর্ধমান কর্ড লাইন ধরে বারুইপাড়া খুব সহজ ব্যাপার। হাওড়া থেকেও আসা যায়। ডানকুনি এসেই ফেসে গেলাম।

ডানকুনি স্টেশন তখন ‘বন্দে ভারত’এর মেলা। মোবাইল হাতে সেল্‌ফি, ভিডিও তোলার হিড়িক। আমিও মেতে গেলাম। কারণ youtube shorts বানানোর কাজে লাগবে। আমি যেখানেই যাই ছবি, ভিডিও তুলেই থাকি। আগেও করেছি। এখন তো বেশি করে করি। ‘কালিমাটি অনলাইন’ পত্রিকায় ‘কথনবিশ্ব’ বিভাগে প্রতিমাসে কিছু দিতেই হবে। এই দুটি কারণেই ছবি ও ভিডিও করলাম।

‘বন্দে ভারত’ ট্রেন নিয়ে সারা ভারতের মানুষের আগ্রহ। জাপানের বুলেট ট্রেনের আদলে তৈরি করা হয়েছে। ২০১৫ সালে জাপানে গিয়ে দেখে এসেছি। একইরকম দেখতে। জাপানে এই ট্রেনের গতিবেগ গন্টায় ৫০০ কিমি। ভারতে এই গতিবেগে চালানোর মতো পরিকাঠামো এখন তৈরি হয়নি। পরবর্তীতে হতেও পারে।




যাইহোক প্রায় প্রায় ১টা নাগাদ ‘বন্দে ভারত’ দেখার সৌভাগ্য হল। ট্রেনের ভেতর অফিসার, রাজনৈতিক নেতার নানা কর্মীদের আনাগোনা। ১.৩০ মিনিট নাগাদ ধীরে ধীরে ট্রেন ছেড়ে বেরিয়ে গেল। বন্দে ভারতের গন্তব্য নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। শেষপর্যন্ত আমাদের ‘বন্দে ভারত’ দেখা সম্পন্ন হল। এবার দেখার পালা ‘বন্দে ভারত’ সাধারণ নাগরিকের কততা কাজে লাগে! 

 


২টি মন্তব্য: