কবিতার কালিমাটি ১২৫ |
শ্রাবণের জানালায়
মন নিয়ে ভালোবাসা
এই পথে নামি
কথা বলা চলভাষ
জীবনের বামে
কিভাবে বলবো
সেটা ভুলে যাই আমি
অদেখায় রোজকার
বৃষ্টি সে নামে
এখানে আমার
ছিল যত আগ্রহ
চিন্তারা বেড়ে
চলে রোজ অনাদায়ে
বেহুলা মেঘের
মেলা ভাব সমারোহ
বুদ্ধিটা হেঁটে
একা খুশি চার পা-য়ে
আমিও আমার মতে
তুমিও তোমার,
শুধুই একটু
দেখা কিছুটা সময়
তারপরে সব কিছু
যার যার তার
সত্যিটা জেনেবুঝে
চিনে নিতে হয়
যেভাবেই মন
ঢাকো, দুখ নির্যাস
মাটি মাখা এ
দু'দিন মিছে পরবাস।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম
সারাদিন ওরা
ঘরের মধ্যে থাকে
বাড়িতেই কাজ
আনন্দ দুখ চাপ
মেঘের আড়ালে
মন নিয়ে ছবি আঁকে
চাওয়া পাওয়া
সব বৃথা যে মনস্তাপ।
খেয়ালি জীবন
পসরা সাজায় নারী
এখানে শহর শরীর
দেখাতে আসে
গাঁটের টাকায়
ভুল কিনে বাড়াবাড়ি,
বিনা পয়সায়
বিষ খেতে ভালোবাসে
পথে দেওয়া-নেওয়া
সুযোগের সন্ধানে
লিখিত চুক্তি
অলিখিত অনেকই তা
দরকারে মন মিথ্যেটাকেও
মানে,
অভিনয় আজ সময়ের
দূরদর্শিতা।
বেলাশেষে খেলা,
স্বার্থ নিরুদ্দেশ,
সবাই আমরা রঙ
মাখি অবশেষ।
মনের ভিতর
(১)
পালতোলা রাত্তির
পর্দায়
আকাশের খোলা
ছবি হাসছে।
ঘরবাড়ি গাছপালা
গায়-গায়;
টিউব আলো সোহাগীর
জল ছুঁই।
চাঁদ তারা কখনও
বা দাঁড়িয়ে
ভয় সুখ দূর
বাতি নিভছে।
(২)
পথ সে তো দিনরাত
খেটে যায়।
কাজ ঝুঁকি লোভ
কিছু কমবার!
শৃঙ্খলে জাঁতাকল
পৃথিবী;
ক্রোধ ক্ষোভ
অণুনাদ চিনবার।
(৩)
রোদ-আঁধার ছকবাঁধা
জীবনে
মশারিতে মশা
রোজ ঢুকবেই।
মনের শরীর ভেজা
কাপড়ে
মুখ-ঢাকা আজকের
বেশিটাও।
(৪)
যত হোক ছোঁয়াছু্ঁয়ি
আয়োজন,
মনটার কথা আজ
ভাবে কেউ?
আসল কাজের খেলা
এখানেই।
(৫)
বাড়ি ফিরে ধোঁয়াধুঁয়ি
ধোঁকাতে
মনটার খাওয়া-পরা
ঠিকঠাক?
সেও ঘরে আটকা
তো বহুকাল!
(৬)
তাই রাত যত
মত কিনবার,
খোলা থাক মনটার
স্নানঘর।
কাজে গিয়ে বাড়ি
আসা অভাবে
মনেরও হাত-পা
ধোঁয়া চাই-ই চাই।
তাহলেই যদি
তাকে পাওয়া যায়।
মনটারও তাকে
পাওয়া দরকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন