শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২

নিমাই জানা

 

কবিতার কালিমাটি ১২৪


নীল আর্যাবর্ত ও কৌরবদের পাস্ট পার্টিসেপল গর্ভক্ষেত্র

 

আর্যাবর্তের হলুদ ঘোড়ারা তাদের মৃতপ্রায় লেজটি খুলে রাখার পর অসংখ্য মাৎসায়ন পর্ব থেকে কৌরবেরা আরো একবার সম্প্রদানের অন্তরফল শিখে নিচ্ছে পাস্ট পার্টিসিপল বিষাক্ত ক্ষেত্রফল দিয়ে

ডারউইনের মতো আরও একটি হেমন্তকাল এসে সব আপেল বাগানের গলনাঙ্ক শুষে নিয়ে গেল আমাদের প্রাচীন ঋষির ভেতরে থাকা একটি সোমরসের গর্ভাশয় আধার পূর্ণ থেকে,

‘ঐ’ স্বরবর্ণটিকে আমার মৃত রেখাদির মতো বলে মনে হয় বৃষ্টি একাই দোতারা  বাজাতে বাজাতে নিজের কাটা মুন্ডু নিয়ে ফিরে গেছে ইউক্যালিপটাশ বাগানের দিকে, অ্যাক্রেলিক রাক্ষস ১৩টি হিমাক্সিল ক্রোমোজোম নিয়ে হলুদ পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে অদৃশ্য মিয়োসিস দানার ভেতর

ওমেগা রৌদ্র দৈর্ঘ্যের ভেতরে থাকা ক্যাটায়ন চোখগুলো তার নির্ণীয়মান কাল্পনিক রতি দানার মতো স্থির লিঙ্গ হয়ে গেল, আমি কংক্রিট খাচ্ছি আমার একটা লাল গোলাকার অ্যানাফেজ পোকার ভেতরে থাকা অযুত নপুংসক বৃষ্টির অলিন্দবিহীন হৃৎপিণ্ড দিয়ে, লোমশহীন মুনি তিনটি আঙ্গুলের ভেতর একটি পিচ্ছিল নদী তৈরি করেছেন ভাজক ব্রহ্ম কাঠ দিয়ে, আগুনের তলপেটে দুটো পাংশুটে দ্রৌপদী শুয়ে থাকে প্রতিদিন

যতিচিহ্নের মতো অসংখ্য কিউবিক সেন্টিমিটারের দানা দানা ম্যাঙ্গানিজ গুঁড়োর ক্ষেত্রফলের মতো রক্তাক্ত নিউট্রনের অস্থির মস্তিষ্কের পৃথ্বীরাজ ঘোড়ারা মৃত লাল জামরুল গাছের কাছে অসংখ্য স্তম্ভমূল চিবোতে চিবোতে ব্রহ্মপুত্র হয়ে যায়

 

যতিচিহ্ন মানেই একটি বিয়োগান্ত কাঁচ ফলের গাছ

 

আমি শুধু মৃত কাঠের একটি বিষাদ নৌকা, মাথার ভেতর শুধু অসংখ্য ব্রহ্মাণ্ডের আণবিক সংখ্যাটি সূক্ষ্ম লালা পিণ্ডগুলো নাচতে নাচতে প্রথমত সাপ হয়ে গেল, দ্বিতীয়তঃ পেরিফেরাল শ্বাসকষ্টের অযুত নাসারন্ধ্র দিয়ে একদল চুনাপাথরের পুরুষ নেমে আসছে মৃত মাছ ধরবে বলে,

চতুর্ভুজাকার সরীসৃপের মতো লাল লাল রঙের লিগনাইট ঠোঁটগুলো শুঁয়োপোকার ভেতরে থাকার পর আজ আত্মহত্যার ক্রোমোজোম লাগিয়ে গেল বিষাক্ত আঠালো বীর্যপত্র আগুন দিয়ে, রক্তের ঘনত্ব মাপার আগে একটি সেবিকা পাখি আমাদের মত অদৃশ্য নিমাই পুরুষদের বংশ ক্রমিক তৈরি করে জীবাত্মা আমাকে কোনদিন চিনতে পারেনি এখনও

বৃষ্টিকে কতদিন স্তনের মতো কালো একটা চন্দ্রগ্রহণের ভেতরে ঢুকিয়ে রাখিনি, আমি শুধু মাংসাশী আর তরুক্ষীর খাওয়ার জন্য উদগ্র ও তুঙ্গ দুটো হাত খন্ড খন্ড করে সুপরি তলার নিচে লুকিয়ে রেখেছি, মৃত্যুকে সর্বদাই জানালার দক্ষিণ প্রান্তে লুকিয়ে রাখতে হস্তক লব্ধি গাছের মতো

দুখিনী বাতাস খাচ্ছি, কলিচুন খাচ্ছি, আগুন খাচ্ছি, আগুনের ভেতরে থাকা থ্রি মেগাবাইট কোন একটা রক্তাক্ত মাংসাশী তন্ত্রসাধক অদৃশ্য একটা মিথেনের খালি কৌটো বাজাতে বাজাতে অদৃশ্য ইথিলিন হয়ে গেলাম, আমি তখন একটা পিচ্ছিল লিউকোসাইট আগুনের গোলা নিয়ে শ্মশানের এক প্রান্তে বসে আছি,

প্রহ্লাদ হিরণ্যকুশিপুরের ঘরের ভেতরে ভাঙ্গা কাঁচের তরঙ্গদৈর্ঘ্য একা একা জড়ো করছেন অ্যাসিমিলেশন দ্রবণ দিয়ে, চোখের ভেতরে বাষ্পীভবনের প্রোটোজোয়াটি একা একা রাতে দেবদূতের মতো জীবাশ্ম হয়ে যাচ্ছে

 

জানালা ও মৃত ফলিক অ্যাসিডের নখর বৃত্তান্তগুলো

 

কসাইয়ের যকৃত খন্ড খাচ্ছি একটু হলুদের জারণ ক্ষমতার তৃতীয় ভেদ চিহ্ন দিয়ে, কোন এক তাপস বৃক্ষের উপরে দাঁড়িয়ে আমার পশ্চিম জানালার গর্ভধারণ শেষ পিরিওডিক্যাল ফলিক এসিডের একটা রক্তাক্ত টমেটোর বীজ রেখে দিল

আবার গলা থেকে আর কোন আগুন রঙের পুরোহিত বেরিয়ে আসছে না সারারাত আমি চাঁদের মত একটা অপরিপক্ক ধান বীজ রেখে আসি আমার উলঙ্গ শিরস্ত্রাণ-এর কাছে

সব নারীরাই বেগুনি রংয়ের একটা পলিস্টার ছায়ার ভেতরে কেমন নিভৃত নীল রঙের ঔষধ গিলে খাওয়ার আগে নিজেকে আত্মীয় ভেবে দক্ষিণ মুখে ঘুমিয়ে পড়ে

আয়নার কাছে কোনো মিশর প্রদেশের প্রতিবিম্ব সংখ্যা থাকতে নেই আমার তৃতীয় কানের কাছে নীল শুকতারার মতো ঝরে পড়া অলোক খন্ডের জানালার মতো আর কোন দর্শন শাস্ত্র নেই, নদী নেই, নদীর ভেতরে আর কোনো মারণাস্ত্র নেই, আমার কোন যন্ত্রাংশ নেই, আমার কোন জীন তত্ত্ব নেই, আমার কোন সাদা লাটিক্স ফিঙ্গারিঙের আর কোন মৃতদেহ নেই

আসলে একটা রাতকে হত্যা করতে মাত্র দশ টাকার লুব্রিক্যান্ট লেগেছিল আমার

আমার সব অস্থি খণ্ডকের নিচে গোলাপি রঙের ঘোড়াগুলো মৃত থাইল্যান্ড কুল গাছের ডালের কাছে এসে আত্মসমর্পণের তৃতীয় উপবৃত্তাকার  মহাশক্তি প্রবাহের রেখাচিত্রগুলো এঁকে দিচ্ছে গ্রাফাইট রঙের একজন গণিতবিদ হয়ে

আমি ত্রিকোণমিতির শিথিল পালঙ্কের উপর দুটো ঈশ্বরী চিহ্ন ঢাকা রেখেছি নিজের মৃতদেহ লুকানোর জন্য,

  চিহ্নটিকে আমার শীতকাল বলে মনে হয়, শীতকালেই মৃত মানুষদের কথা বেশি করে মনে হয়, অবৈধ সূর্যের পুত্রেরা দক্ষিণায়ন ভালোবাসে না এ সময়

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন