কবিতার কালিমাটি ১২৪ |
তোমার চোখের আঘাতে
(১)
তোমার চোখের আঘাতে আহত
একটা রাতের সাথে দেখা হল সেদিন
পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে
যাওয়া বিশ্বাস বুকে নিয়ে তাকিয়ে দেখলাম
কিভাবে শুধু মাত্র
একটা সম্মতির জন্য আগুন দরজায় দাঁড়িয়ে যখন প্রায় নিবে যাচ্ছে
আলোকবর্ষ দূরে ভেসে
যাচ্ছে রাত, তার প্রেম, তার উত্তাপ
তোমার ঋতুরক্তের কাপড়ে
ভেজা এক টুকরো কান্না সেও চঞ্চল
সমস্ত অগ্নুৎপাত আজ
স্তব্ধ, কোথাও সাড়া নেই
শুধু সেই রাতের
নিঃশ্বাস বসে আছে কপালের দিকে তাকিয়ে
কতদূর ভালোবাসা গেলে
এভাবে নিঃস্ব হয়া যায়
কতদূর কতদূর
(২)
তোমার ছবির কাছে
অজান্তে নতজানু হয়ে বসে থাকে বিষাদ
কিছু কথা কি হয়েছিল
পোড়া আয়নার ভিতর যে
কান্না নিজেকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে
তাদের কথা কি কেউ
বলেছিল তোমায়
ভালোবেসে ভালোবাসা
কিভাবে আজীবন দরিদ্র থেকে গেছে
কত কত দেশ তুমি ঘুরছো
কত কত রাজ্যপাট জয় করছো কাজলে
স্বামী কন্যা সাথে
এটুকু কাঁধেই জয়
দ্বায়িত্ব ভার তোমাকে
অমর করে রাখে
জানো একবার সে কোনো এক
কঠিন সময়ে আমিও তোমার কাছে হাত পেতে
খুঁজেছি আশ্রয়
বিন্দু বিন্দু জীবন আর চাতক সম্মুখে
(৩)
আরও কিছু উচ্চারণ বাকি ছিল, অনুকরণ ছিল এ পাশা খেলা থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে, ফের
পাশা খেলে, তার ক্ষমাহীন বিশ্বরূপ যাপন, দুর্যোগের পাহাড় ভাঙা পণ বলতে গেলে, ছেনি
হাতুড়ি আর মজ্জা এই হল কাল্পনিক সমুদ্রে ভেসে যাওয়া মিথ, অন্তরমহল দাঁড় বয়ে
যাচ্ছে, তুমি এসো এ বাক্-প্রতিমায় যে মাটি রয়েছে তাকে আকার দিয়ে যাও, বিমূর্ত শুধু এই সম্পর্কের ফাঁক,
যাতে গড়ে ওঠা নো ম্যান্স ল্যান্ডে পুকুর কাটা যায়, থই থই জল স্রোতহীন সীমারেখার
দিকে আঙুল দেখিয়ে বলতে পারে, আত্মহত্যা একটা খিদের মতো চিটে গুড়, বেশ নেশা নেশা
ভাব
-তাই
নেশার পিঠে পারিশ্রমিক চাবুক উঠে আসছে গো, নেমে আসছে প্রমিথিউস, এটাই তো পাওনা
ছিল মনে নাই --
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন