শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২

রুমা ঢ্যাং অধিকারী

 

কবিতার কালিমাটি ১২৪


প্রাইমটাইম

 

দুপুরের ইন্টার্ভ্যাল। হ্যাপিডেন্টকে কিক করে একটি বেড়ালিনী

ফিরিয়ে দিল সোনাঝুরি গাছবেলা

হাড় জ্বালানোর চৌষট্টিকলায় পরিপুষ্ট এক বাইক আরোহী

সম্পূর্ণ প্যালাটাইন মতে গুঁড়িয়ে ফেলতে চাইছিল

আরাকান রাজসভা

 

এখন সম্মতির অবেলায় এসে বোধহয়

দিঘির জল টলোমলো। বদলেছে স্রোতের দিকও

 

তাই অবিশ্বাসের বাদলা জ্যাম

জ্যামাইকা ছাড়িয়ে এগিয়ে আসছে যেন

 

সেই বৃষ্টিগুলোই আজ ক্রমশ অশ্রদ্ধেয়

 

শেষতম লাইন

না ছুঁয়েও

এমনিই গেঁথে যাচ্ছে প্রাইম টাইম

 

তরনির মার্গশিরে

 

শব্দের প্রমোদতরী ভাসিয়ে যদি একটি সন্ধে বন্ধ্যাচ্যুত

সেই অসমদিনে নদীকে দেব এক বাটি দুধ

সরের আসরে আপলোড হবে খিদেমুক্তি। কিন্তু মাছ ধরতে গিয়ে

দুপুরের ক্লান্ত পাখিটি তাপের কাছে হ্যাং ওভার

জলস্পর্শের ছোঁয়াচে পদবি নিয়ে

 

যখন আমি ভাতঘুমে--- পরিপূর্ণ একটি হজমের স্বপ্নে হারানো সেই

হিরের নাকছাবিটি

 ৩৬০ডিগ্রি কোণে

 

হারানো মমতাময়ী সিল্কশাড়ির আঁচলও, তবু এবছর তোমাকে

চলতি হাওয়া কেটে বুনে দিতে হবে সাবেকি টান

বামদিকে এখনও বেঁচে আছে ছোট্ট স্থান

 

নাও, বেঁচে থাকা স্থানটি থেকে তরণির মার্গশিরে

শুরু হয়ে গেল তো দোলা...

 

হননীয়

 

প্রত্যাশাহীন বিচারের টানাপোড়েনে নট অ্যালাওড

নিপুণতম এ হত্যার দৃশ্য অথচ সব কামড়ের জ্বালায় ক্রোধের সমাধান এই

এক

দুই

তিন...

একে একে ধরাশায়ী ক্ষুদ্রত্ব, উল্টোনো বুক, ছ'পা লেজে গোবরে

 

বেপোরোয়া ঘুমের কভারেজে দেহের ভারমালা

সন্ধে বদলায় না কিছুই, শুধু অসন্তোষ মানে জানি

নৌকায় জ্বাল দেওয়া সংকোচ আর সংযম কুয়াশার আলপথে

 

ভুলে যাওয়া মৃত্যুর অ্যাল্ফাবেট

হয়তো করাতের ঈশ্বর

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন