কবিতার কালিমাটি ১২৪ |
যা ইচ্ছে
ভাঙা অক্ষরগুলো
তুলে তুলতুলে
হাতের অংশ
দ্রাঘিমার ভাগ
দ্রিমি দ্রিমি।
টুকে রাখছে
কারশেডের আলো
নিঃশব্দ
বোবা রাত্রি
গ্যালোপ হাওয়া।
শুধুহাতের একমুঠো
ভাতের গন্ধ
পোড়া শৈশব
ভোঁ কাট্টা
ঘাট পাতানো।
জাহাজের গিঁট
নোঙর তুলতে
হাটে হাট রাখা।
বাজার ফেরত
উপেক্ষাজন্ম
উল্লাসের ধান
পরিপাটি।
তবে রইলো চোখে
চোখে
কিছু খুচরো
নিঃশ্বাসের জমা…
হয়েই যাচ্ছে
এখন ভালোবাসার
নামে
রামধনু পুষি
এখন ফাঁক থেকে
উঁকি
রূপকথানো অন্ধগলি
নামে
নেমে যায় মেঘের
বিষুবে।
নিরাপদ ঢেউ
গুণে
অগণিত সরল
বীজে বীজে
লতাহাসের পরিডানা।
যেন ধারও ধারছে
না
ফেরিবাজের
বায়নাক্কা।
পথ বলতে বলো
কতটা পেরোলে
ফিরে ফিরে বেজে
ওঠা
চাঁদের উঠোন!
আলপিনানো
বুনছে আমার
ফোঁটা ফোঁটা
বসতবাড়ি
বিন্দুমানের
হেলাফেলা
বনকাপাসি
তুলোর আসর
কয়েক কদম।
আলপিনানো শব্দশিরায়
ছায়ার বৃত্ত
নিরাভরণ অথৈ
ডেকে
বিশ্ব নিলাম
কেনাবেচার দুপুরগুলো
সারাৎসারে
ব্যক্তিগত।
এই শব্দবধির
সংসারে তার
কেবলমাত্র দু-এক
বিঘত
রাই জাগো রাই
সন্ধ্যাফেরি।
একখানা কাগজ
নৌকো
আজও
এঁকে চলেছে
আলগোছা ছাপ
এক পেনসিল নির্জনতা…
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন