কবিতার কালিমাটি ১২২ |
অসময়ের সময়
সব সময় সব কিছু
বেশি মাথায় নেবেন না।
যতটা সম্ভব
অপ্রয়োজনীয় বস্তু ঝেড়ে ফেলুন।
মাথাটারও তো
বিশ্রাম প্রয়োজন!
সব কিছু দেখবেন
না।
মাঝে মাঝে চোখদুটোকেও
কিছুটা বন্ধ রাখুন।
চোখ আরাম পাবে।
বাড়বে মনের দৃষ্টিশক্তি।
বেশি দেখলেই
ভাবনা, ভাবলেই চিন্তা, আর চিন্তায় প্রেসার।
আর প্রেসার
মানে!
বোঝেন তো সবই।
প্রেসারে ভুগবেন
না। জানেন তো, কাজের দুনিয়ায় দূর্বলতার কোনো দাম নেই।
চাপ নিতে শিখুন।
সামনে উঠে তাকান,
সাহস করে একবার
কাজটা নামিয়ে ফেলুন, দেখবেন চলার রাস্তা তৈরি।
নেবেনই নাই
বা কেন!
আমরা তো জন্ম
থেকেই মাধ্যাকর্ষণ শক্তির চাপ নিয়েই পৃথিবীতে এসেছি।
চন্দ্রবিন্দুর চাঁদ
কালকে ওরা এসেছিল।
আজকে ওরা আসেনি,
এখনও।
কালকে আবারও,
ওরা আসবে।
শুধু,
যাকে খুঁজতে
আসা, তাকে আর পাবে না।
কোনোদিনই।
ও এখন রাতের
খুশির আকাশে চন্দ্রবিন্দুর চাঁদ হয়ে ওই দূরে চলে গেছে।
সময় মাটিতে
নামে,
কিন্তু চাঁদটা
তো আর মাটিতে নামে না।
জ্যোৎস্নায়
চাঁদ দেখে মন ভরে, একলা শিশির ঘরে ছলছল আল্পনা মেঘবাষ্প, ভারাতুর স্মৃতি চোখ
হাতছানি বিষণ্ণতা,
রাত আসে,
কথা বাজে,
দেখে, থামে,
চলে যায়, ছুটি পায়, আঁধারে মিলায়।
শুধু কিছুদিন।
তারপর।
সবাই ভুলে যাবে।
কেউ আর ভাববে না।
আবার কাজের
তাড়া। জীবন তারার ফুলে একলা।
আবারও।
ক্ষুধার মশলা
আকাশের নীল
রোদ বিছানায়
সুখ-পাখি মন
কাঁদে একলার
রোদ ওঠা বেলা
সব শেষ হয়
খাওয়াদাওয়া
ঠিক আছে তবুও,
খালি মাথা বরফের
ক্যান্টিন।
বৃষ্টির আসা
সেই আশাতে
মেঘেদের ঘামও
বেশ বাড়ছে।
পরিসেবা এখনি
যে বেশ কম।
ভুল ধোয়া জীবনের
বেঘরে
খাবারের টুথব্রাশ
জল পায়,
তবু যেন বেশ
আছে নামটা।
মাটিটার ঘাসও
একা স্বভাবে
মাথা নিচু স্তব্ধতা
হাহাকার।
তবু লোক-দেখানোয়
অনাহার,
বাইরে বাহার
খুশি বেশীটাই
পৃথিবীর থালাভরা
বাসনে
তেল নুন চাটনি
যে কাঁদছে।
দাম সাজ সেও
কিছু কমবার?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন