কবিতার কালিমাটি ১২১ |
পুনরুত্থান
নিভু নিভু আকাশে
যেই ঘনিয়ে এল মেঘ
তোমার চোখের
তারায় তারায় দেখেছি উদ্বেগ।
অনেক চেনা কেমন
করে খুব অচেনা হয়
জীবনখাতা গোলকধাঁধা
সরলরেখা নয়।
শান্ত জলে হঠাৎ
হঠাৎ ছলকে ওঠে ঢেউ
ঘুমের মাঝে
চমকে দেখি পাশেতে নেই কেউ।
নেই তাতে কি,
একলা বাঁচি, একাই টানি দাঁড়
স্বপ্ন দেখি
আকাশ ছোঁব, সমুদ্দুরের পার...
ফেরা
অতি যান্ত্রিকতায়
যারা ভেসে গিয়েছিল
তারা আকাশ থেকে
ফিরে আসছে
তাদের প্রত্যেকের
হাতেই এখন লাল গোলাপ
প্রাচীন গুহামানব
এখন তাদের নায়ক
তারা ভেবেছিল
আকাশ থেকে পেড়ে আনবে আলো
ভেবেছিল নক্ষত্র
থেকে নিয়ে আসবে
এক সমুদ্র সুখ
ভেবেছিল পাখির
চেয়েও দ্রুত উড়ে গিয়ে
জয় করবে ব্রহ্মাণ্ড
অথচ নিঃস্ব
হয়ে তারা ফিরে এসেছে
প্রাচীন বাংলার
লালমাটির গ্রামে
নিকানো উঠোন,
ধানের গোলা,
বিদ্যুৎহীন
রাতে জ্যোৎস্না মেখে
তারা উঠোনে
গড়াগড়ি খায়
তাদের স্বপ্নে
হামাগুড়ি দিয়ে হেঁটে বেড়ায়
গ্রামের আধান্যাংটো
শিশুরা।
আজকাল
বিপদেরা চুপচাপ
ওত পেতে থাকে,
নদীর প্রতিটি
বাঁকে-বাঁকে।
সাবধান! সাবধান
মাঝি
শ্বাপদের চেয়ে
হিংস্র মানুষের কারসাজি।
আলো নেই,
চারিদিকে জমেছে
আঁধার চাপ চাপ
মানুষকে ভালবাসা
ভুল নয়, পাপ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন