গান থেকে হয়ে ওঠা গান : বাকিটা ব্যক্তিগত
বাঙালির গান শোনা মানে খানিকটা ঘুমপাড়ানি
সুরের মায়াঘেরা শিশুবেলা, খানিকটা যৌবনের উপবনে মনের মানুষটির চ্যালেঞ্জের জবাব
দেওয়ার উপায় (“এই, তুমি গান জানো?”), কিছুটা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
স্মৃতিমেদুরতা, অনেকখানি পাগলামি, আর কিছুটা হয়ত ‘সুখী গৃহকোণ, শোভে গ্রামোফোন’-এর বিজ্ঞাপন। গ্রামোফোন এখন দাঁড়িয়েছে ইয়ারফোনে, বিশ্বায়িত বাঙালির
কান থেকে গানের উৎসমুখের দূরত্ব কমেছে বিস্তর। দু-চারবার শুনে দেখেছি, আওয়াজ
পরিষ্কার আসে ঠিকই, অনেক সুবিধেও আছে দেখতে পাই চলতে ফিরতে,
মেট্রোয়-বাসে, চ্যাট করতে করতে সব সময় শোনা চলে। আলাদা করে গান শুনতে বসার সময়
দিতে হয় না। তবে গান ‘হয়ে ওঠা’র মুহূর্তগুলো কি ধরা যায় এতে? অবশ্য এতকিছুই যদি বুঝব, তাহলে আর গানের মাঝে
গান খোঁজার মত অকাজ নিয়ে দিন কাটবে কেন?
প্লে উইদিন আ প্লে। একটা নাটকের মধ্যে আর
একটা নাটক — এটা নাকি ইংরিজি থিয়েটারে বেশ আলোচনার বস্তু। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে
এখানেও অনেকে ব্যবহার করেছেন। অন্যান্য দেশে কোথায় কী আছে অত জানি না। তবে নাটক
ছেড়ে যদি ব্যাপারটাকে গানের আলোয় ভাবা যায়, মনে হয় গানের মাঝে গান অথবা গান থেকে
গান হয়ে ওঠার খেলা দেখাতে বোধহয় বাঙালিই এগিয়ে। অন্য কোনও ভাষায় গান নিয়ে এত এত
গান লেখা হয়েছে কি? সেই ‘কানু বিনে গীত নাই’-এর যুগ থেকেই বাঁশির সুর আর নামগান
হাসিয়েছে, কাঁদিয়েছে। আর বাংলায় সর্বকালের সেরা গীতস্রষ্টা তাঁর দু-দু খানা
পর্যায়ের গানে ঢোকার সদর-দেউড়িতে বসিয়ে রেখেছেন একগুচ্ছ ‘গানের গান’ — ‘কান্নাহাসির দোল দোলানো পৌষ ফাগুনের পালা’র মধ্যেই ‘গানের
তরী’ বাইতে হয়, মরণ হতে জাগতে হয় ‘গানের সুরে’, ‘তোমার’ সঙ্গে ‘আমার’ প্রাণ বাঁধতে
হয় ‘সুরের বাঁধনে’। বাকি কবিরাও পিছিয়ে থাকেননি, কেউ গানের তরী ভাসিয়েছেন নয়নজলে,
কেউ ভিনদেশি পাখিকে শুধিয়েছেন, ‘এ কি সুরে তুমি গান শোনালে...’, অঞ্জলি দিয়েছেন
সঙ্গীতে, কেউ বা ‘মহাসিন্ধুর ওপার হতে’ ভেসে আসা সঙ্গীত শুনেছেন।
এভাবেই শত শত গানের গান তৈরি হয়েছে বাংলায়,
এবং তা এতই স্বাভাবিক, শ্বাস-প্রশ্বাসের মত, যে গীতবিতানের মত গুছিয়ে, চোখে আঙুল
দিয়ে না দেখালে (নাকি কানে বাতাস দিয়ে শোনালে?) তা নিয়ে আলাদা করে ভাবার
কথা মনেও পড়ে না। বরং পঞ্চকবির যুগ পেরিয়ে আসার পরেও যারা এ হেন গানের গান লিখেছেন
বারে বারে, তাঁদের নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করতেও ছাড়েননি অতি-আধুনিক জ্ঞানীগুণীরা — এই সব গান, সুর, বাঁশি, বীণার চিত্রকল্প আর তার সঙ্গে মিশে থাকা
চাঁদ-তারা-আকাশ-মাটির আবেগ নাকি বাংলা গানের সুরকে কিছুটা আধুনিক হতে দিলেও,
ভাষাকে রেখে দিয়েছে সাবেকি। অথচ কি মুশকিল, “সে যে গান গেয়েছিল হয়নি সেদিন শোনা / সে গানের পরশ লেগে হৃদয় হল সোনা”, অথবা “এ যে সুরেরই ভাষা, ছন্দেরই
ভাষা, গানেরই ভাষা, আনন্দেরই ভাষা” অথবা “আমি বাংলায় গান গাই”-এর মত কথা আর সুরের
মিশেলকে অস্বীকার করতে গেলে তো আবার গালাগালি খেতে হবে, তখন হোঁচট খেয়ে বলতে হবে,
“না না, মানে... ওগুলোর কথা আলাদা।”
এখন এই যে অভিযোগটা — মানে গান-সুর-বাঁশি-বীণা লাগালে নাকি গানের ভাষা সেকেলে, অলীক, অবাস্তব হয়ে
যায় — এই ব্যাপারটা, জানেন, আজ পর্যন্ত ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি।
অবশ্য বয়স বাড়লে যে বুদ্ধুমি নিশ্চিত ঘোচে, এমন অপবাদ সকলকে দেওয়া চলে না। খুব ছোটবেলায়
গান ‘শুনতাম’ কিনা মনে পড়ে না, তবে কানে আসত। আলাদা করে কিছু মনে হওয়ার প্রশ্নও ছিল না। গান মানে একটা সুরেলা আওয়াজ, ক্যাসেটে বা মাইকে শোনা যায়। কোনটা তেমন
দাগ কাটে না, কোনটা শুনলে মনে হয় আর একটু শুনি, বেশ লাগছে। এমনই চলছিল, একদিন একটা গান এসেছিল কানে, গুমোট সন্ধ্যায় -- “পৃথিবীর গান আকাশ কি মনে রাখে…” প্রত্যেকটা শব্দ, তার সুরের সঙ্গে
উচ্চারণ হতে না হতে একটা গান তৈরি হচ্ছে, একটা গান আঁকা হচ্ছে, “নীরব সুরের রামধনু শুধু দিগন্তে
ছবি আঁকে।” গান তাহলে শুধু শোনার নয়, দেখারও! আরও অনেক, অনেকবার শোনার পর সুর আর
অভিব্যক্তির পাশাপাশি ভাষা নিয়ে ভাবনা জেগেছে, পৃথিবীর গান আসলে কী? সেই সুর, যা
আকাশের দিকে হাত বাড়ায় মাটির হয়ে, নাকি যার টানে সীমাহীন আকাশ ধরা দিতে চায় মাটির
বুকে? ‘আকাশ কি মনে রাখে” বলে ক’মাত্রার গড়িয়ে যাওয়া কি হতাশার, নাকি প্রশ্ন, যার
উত্তর হ্যাঁ বা না দুটোই হতে পারে! শেষ স্তবকে যখন গান আবার ফিরছে, “ফিরে এস তবে গানে / আকাশ কাঁপানো বাতাস
কাঁপানো সুরভিত অভিমানে”, তখন আবার একটা পথের দিশা তৈরি হচ্ছে — যদি বনপথে
কারো ঠিকানা না দেয় প্রেম, তবে গানে ফিরে
আসতে হবে। তাহলে ‘গান’টাই হল দ্বান্দ্বিকতার জায়গা, আবার তার অবসানের জায়গাও।
পণ্ডিতেরা কীসব যেন বলেন — ‘ডুয়ালিটি’, ‘প্যারাডক্স’। তাহলে গান জিনিসটা তো শুধু
আকাশ-বাতাস-আবেগের নয়, তার রীতিমত বুদ্ধিগ্রাহ্য জায়গা আছে, তাই না?
পরে এই গানটাই যখন আসরে বা দূরদর্শনে পরিবেশন
করেছেন সুরকার-শিল্পী, সঞ্চারীতে ‘ঠিকানা দিলে না কি গো’ অংশটিকে গেয়েছেন ‘ঠিকানা পেলে
না কি গো।’ ভালোবাসা নিজেই যদি মায়াহরিণীর
ঠিকানা না পায়, তাকে ফিরে আসতে হবে নিজেরই গানে, ‘ফিরে এসো তব গানে’। গানের
উদ্দেশ্য যে ‘প্রেম’, সে আর কোন বিমূর্ত সত্তা হয়ে থাকে না, হয়ে ওঠে প্রায়-ধরাছোঁয়ার
এক চরিত্র। সে অন্যকে বনপথে হারিয়ে যেতে দেয় না, নিজেই পথ হারায়, ঠিকানা না পেয়ে
নিজেকে নিজের গানের মধ্যে খোঁজে। মুহূর্তে ‘গান’ শব্দটা ‘অলীক’ সুখের স্তর থেকে
নেমে আসে, জড়িয়ে ধরে বাস্তবের দিশেহারা অস্তিত্বের মাঝেও এক আশ্রয় হয়ে ওঠার শরীরী
আশ্বাসে। গানটা শিল্পী বা সুরস্রষ্টার সম্পত্তি হয়ে থেকে যায় না, হয়ে ওঠে শ্রোতারও — এভাবে বিলিয়ে দেওয়াতেই বোধহয় বেশি আনন্দ।
আর একখানা গান থেকে হয়ে ওঠা গান — এও প্রথমবার ওই সময়েই শোনা— “একটা গান লিখো আমার জন্য।” বাঁশির মত একখানা
গলা, অদ্ভুত সারল্য মাখামাখি তাতে। কিন্তু যতবার এই লাইনটা ফিরে ফিরে আসে, মনে হয়
‘গান’টা এক স্বাতন্ত্র্যের জায়গা, এক ধরনের দাবির জায়গা। আত্ম-নিবেদন থেকে
আত্ম-পরিচয়ে উত্তরণ। অন্যদিকে “এত সুর আর এত গান / যদি কোনদিন থেমে যায়…” এই থেমে যাওয়ার ভয়, বা ঠিক ভয় নয় — এক ধরনের দোলাচলের, অনিশ্চয়তার বিন্দুতে দাঁড়িয়ে, শেষপর্যন্ত কোথাও
একটা না পৌঁছানোর বোধ — এটার জন্যই নাকি
চারশো বছর, দুশো বছর আগে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে-তে ঘুমিয়ে পড়া এক-একজন কবি আজও আধুনিক। কবিতার
ভাষায় যা ‘আধুনিক’ হয়, গানের ভাষায় তা হতে পারে না কেন? ‘গানে ভুবন ভরিয়ে দেবে / ভেবেছিল একটি পাখি’-এর মধ্যে দোলাচলের ভাবনা কম, প্রথমে মনে হয় ‘শেষ’টা এখানে শেষই। কিন্তু ‘এই তার শেষ গা- আ –আ- ন’ বলে যখন গানটা
এখানে থেমে যায়, মনে হয় একটা ধাক্কা লাগে, এখানে শেষ হবার কথা ছিল না তো? গানটি যিনি লিখেছেন বলে ‘দেয়া নেয়া’ ছায়াছবির গল্পে
পরিচয় দেওয়া হয়, তিনি এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত কবি — যার কবিতার মাধ্যমে যুগ বদলানোর স্বপ্ন ফুরিয়ে যাচ্ছে। সময়টাকে আর একটু পিছিয়ে নিলে এমন কবির চরিত্র বড়ই বাস্তব মনে হয় — আর তিনি শুধুই ‘ছাড়পত্র’, ‘রানার’, ‘অবাক পৃথিবী’ লেখেননি, যে ভাষায় ফুল, পাখি, ভালোবাসা ধরা দেয়, সেই ভাষাতে একগুচ্ছ
গানও লিখেছেন।
‘গানে ভুবন
ভরিয়ে দেবে’র সঙ্গে ভাবের দিক থেকে বেশ মিল পাই ‘যে বাঁশি ভেঙে গেছে’-র। এও এক ছায়াছবির গান, নাম ‘স্বরলিপি’। কিন্তু ছবিটির কোন দৃশ্যে কীভাবে এ গান ছিল, তার কথা এখন বোধহয় অনেকেরই মনে নেই। গানটা কিন্তু ছায়াছবির নির্দিষ্ট ‘সিচুয়েশন’-এর গণ্ডি ছাড়িয়ে নিজের আলাদা একটা জীবন অর্জন করে নিয়েছে, এমন কি বৃহত্তর
অর্থে শিল্প ও শিল্পীর জীবনবোধের এক ‘ম্যানিফেস্টো’ হয়ে উঠেছে — যার মূলেও সেই দ্বান্দ্বিকতা — সোনার খাঁচায় বন্দি পাখির কথা বলার সময়, ‘সব হারানোর… গাইবে সে তার
গান’ সুরটা ছড়িয়ে যাচ্ছে, হাত বাড়াচ্ছে, আবার ‘একদা সুরে সুরে দিত যে হৃদয় ভরে’
গাওয়ার সময় শিল্পী নিজের মধ্যে গুটিয়ে নিচ্ছেন তাঁর সুর-সন্তানকে। তাহলে কি যখন
শিল্পী বা স্রষ্টা একা, তখনই সৃষ্টির পরম মুহূর্ত, আর যখন তিনি সকলের সামনে খুলে
ধরছেন নিজের বন্দিদশার ব্যথা, প্রশ্ন রাখছেন মানুষের কাছে-- “বল ওগো কেমন করে”— তখন
তিনি নিজের সত্তা ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন সবার মাঝে? আর তবুও আমরা তাঁকেই গাইতে বলছি, তিনিও না গেয়ে
থাকতে পারছেন না — আর তারই ফসল এমন
একখানা গান!
আরও অনেক, অনেক গান থেকে হয়ে ওঠা গান — রোমান্টিকতায় মেদুর “ওই সুর ভরা দূর নীলিমায়” থেকে কারুকাজে
ভরা “বেহাগ যদি
না হয় রাজি” বা “কোন কথা না বলে গান গাওয়ার ছলে”, ঘরোয়া অথচ খানিক পেশাদারি গান-পরিবেশনের সামাজিক পরিসরকে তুলে-ধরা “তোমাদের আসরে আজ এই তো প্রথম
গাইতে আসা” থেকে একেবারে অন্য, মজাদার মেজাজের “কী করে বোঝাই তোদের, গানেরি গ জানি না”, আবার কথায় কথায়
গান বানিয়ে ফেলার চ্যালেঞ্জকে অস্ত্র করে নিয়ে বাস্তবতা আর নান্দনিকতার অম্লমধুর সম্পর্কের
এক সুরভাষ্য হয়ে ওঠা “আমি গান গাই” — কীভাবে যে জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে যায়, তা ব্যাখ্যার নয়, অনুভবের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এও বুঝতে
হয় — গান শুধুই গান
বলে ভাবলে জীবন ও বাস্তবের টানাপড়েন এক এক সময় কিছুটা সহনীয় হতেও পারত! “সুরের আকাশে তুমি
যে গো শুকতারা” যখন রেকর্ড করে মহেন্দ্র, সে গানকে ধারণ করার মত প্রতিবেশ আর আয়নাও তো থাকতে হয়; ‘মিছে হল অভিশাপ’, ‘ভেঙেছ অন্ধ কারা’… এই কথাগুলোর মধ্যেকার প্রায়-ধ্রুপদি অথচ সরল, উদার, মায়াময়
অনুভূতির প্রকাশ ঘটতে পারে যে মুখে, সেই মুখ যদি বদলে যায়, গান আর তার প্রকাশমাধ্যমের
মাঝের সেতুটা যদি সইতে না পারে মনের ভুল পথে ঘোরার বোঝা, তাহলে কি এতটাই আলাদা শোনায় ‘তোমরা সবাই শোন, এ আমার গান না’-র মত
মরমি হাহাকারও? অভিনেতা একই, নেপথ্যশিল্পীও এক, চোখ বন্ধ করে শুনলে গানটা আজও নাড়িয়ে দেয়
ভেতরের যা কিছু, কিন্তু চোখ খুলে ‘সমাধান’ ছবির ওই দৃশ্যটা দেখতে কেমন যেন অস্বস্তি
হয়!
আরও অনেক, অনেক ‘গানের গান’, সুরের গান — শুনে
শুনেই দিনগুলো পেরিয়ে আসা। ‘যদি তুমি না এ গান কোনদিন শোন’, ‘এত সুর আর এত গান’, ‘বেহাগ
যদি না হয় রাজি’, ‘তোমাদের আসরে আজ এই তো প্রথম গাইতে আসা’, ‘আমার গানের স্বরলিপি’
… এক এক সময় মনে হয়েছে, ভুল নয় তো, এ কথাগুলো এতখানি বিশ্বাস করে ফেলা? কী আসে যায়,
যদি এসব না-ই লেখা হত, গাওয়া হত, শোনা হত? জীবন হয়ত কেটে যেত… হ্যাঁ, কেটেই যেত, বয়ে
যেত না। কিছুই থাকবে না জেনেও মানুষ তার ভালোবাসায়, তার কাজে, তার সৃজনে -- চিরকাল
চেয়েছে, ধুলোমাটির এই শরীরখানার বাইরেও অন্য কোন অস্তিত্বে রয়ে যেতে, রেখে দিতে প্রিয়জনের
অথবা নিজের সত্তা। ঠিক যেভাবে ছবি তুলে রাখি আমরা, রেখে দিই পুরনো ডায়রি, চিঠি -- হাতে
লেখা, রুমালের ওপর প্রিয়জনের সেলাই করা নামের অক্ষরটুকু, যেভাবে বালির ওপরে প্রিয়ার
নাম লেখেন কবি, কেউ বা বলেন, জন্ম দাও পরবর্তী প্রজন্মের, তার মধ্যে বেঁচে থাকো, অথবা
আমার লেখা এই কটি পঙক্তি অমর করে রাখুক তোমায়, ঠিক সেই প্রত্যয়েই তো গাওয়া — “যদি মনে
হয় আমি নেই / গানে গানে কথা কইব / মুছে যাতে না যাই তাই এত গাইলাম /আমি তো রইলাম।”
যে সৃষ্টি পাড়ভাঙ্গার নিরন্তর শব্দের মাঝেও রয়ে যাওয়ার সুর শোনাতে চায়, তাকে অস্বীকার
করে -- এমন বাস্তবকেও বিশ্বাস করতে হবে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন