বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০২২

সায়নী নাথ

 

কবিতার কালিমাটি ১১৯


স্মৃতি

 

আর তারপর অবশেষে

শুধু স্মৃতিটুকুই পড়ে রইল।

নদীর স্রোতের অবাধ‍্য ধারায়

ভেসে চলেছে ইচ্ছেডানা।

দূরের সেই পড়ন্ত বিকালের আলো

বলে দিলো, এখানে তোমার আসা মানা।

সে যে হৃদয় পথের রোদ্দুরে

একরাশ মেঘ ছড়িয়ে হারিয়ে গেল নিমেষেই।

ঠিক যেন এক অজানা রূপকথা

যা শেষ হয়ে গেল ক্ষণিকেই।

তবে কী বন্ধ হলো মেঘের আনাগোনা?

যাবার পথে শুধু একরাশ আবেগ ছড়িয়ে দিলো নীল আকাশে।

 

অনুরাগ

 

নীল সাগরে উছলে পড়া একটা ঢেউ

মনের মতো খুঁজে পাওয়া একটা কেউ।

ঠিকানার ঠিক নেই তার ধাঁধাময়ী সাঁঝে

তবু এক রূপকথা ওই পারে সাজে।

গল্পগুলো একলা থেকেই আকাশ ছুঁতে চায়

মুহূর্তরা নীরব - এক অদ্ভূত স্তব্ধতায়।

এভাবেই রোজ গল্প হয় নতুন নতুন রূপকথায়

আমি শুধু চেয়ে থাকি সীমাহীন মুগ্ধতায়।

সময়ের পরিহাসে, অপেক্ষা কালেতে

স্রোত বুঝি বাধা পায়, নৌকার হালেতে।

রামধনুরা রং মাখে জাদুর ছড়ি দিয়ে

শত অনুরাগ থেকে যায় নীরব কাব‍্য নিয়ে।

নতুন এক সুর ভাসে অজানা রূপকথায়

গল্পের অধ‍্যায় শুরু হয় কবির কবিতায়।

 

অসম্পূর্ণ

 

ভালোবাসলে কী সত্যিই কষ্ট পেতে হয়?

তবে ঝড় কেন শান্ত হয় তুমি সামনে এলে

মেঘের মধ‍্যেও তো শূন্যতা থাকে

বৃষ্টি কী পারে তাকে পূর্ণতা দিতে?

কিছু অভিমান অভিযোগে শেষ হয়

বাকীটা থেকে যায় আজীবন সঞ্চয়।

মনে কী তাই শুধু বিষাদের ঝড় -

জমতে থাকা সেই নীলকষ্টের পাহাড় 

চোখের কোণ কেন টলমল?

অথবা এক পরিণাম - কিছুটা অন্ধকার,

বাকীটা জীবনের রূপকার।

ভুলতে চাইলেই কী সব ভোলা যায় -

স্মৃতির সাগরে তাই হৃদয় হারায়।

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন