বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০২২

চিত্তরঞ্জন হীরা

 

কবিতার কালিমাটি ১১৯


ডাঙামেঘের ধূ

 

(১)

 

সন্ধ্যা ভেঙে      ধূসর ভেঙে

জলসরের ধূ

নিধুতে

          আর জুড়তে পারে না।

 

বনে বনে পাতার ছররা

ছুঁয়ে      শমালো

একতাল আষাঢ়ের ঘি

মেঘের রেশমে

ফিরবো কি

ফিরবো না     ভাবছে।

 

থেকে থেকে বুক জল

ডুব জল আদরে

দু একটা শিশুভাণ

সাঁতরে

মাঝে মাঝে ওলো সই        

 

আমার সেই জন্মচোখ

আবার নিজেকে

বুলিয়ে নিচ্ছে

                   ছই তুলে …

      

(২)

 

ছায়াগর্ভে গূঢ় ওম

গুঁড়ো গুঁড়ো ওম

বড়ো হতে দেখি

হরফের দিন

একটা পাখির ঘুমও

              ত্রিতাল ধরলো।

 

একঘড়া বিজনে গড়ানো

রোদের পা দূর থেকে

কাছের স্বপ্নে উঁচু ঢিবি ফেলে

ঘন হচ্ছে ফাঁকে ফাঁকে।

 

বাঁশিরাত আধখানা

উলু থেকে অথৈ ডেকে

কুয়াশার ঝিলে চাঁদ

এবার ডাকঘর নামালো।

 

তারপর ঝিঁঝি ডাকা হাত

মায়ের হাত

নির্ঝরের চোখ

বৈধব্য পেরোতে

বেজে উঠলো এক বাধ্যজন্ম…

  

(৩)

 

ইচ্ছের পায়ে তোড়া বাঁধা

শিস দেওয়ার আগে

নিঃশ্বাস আর একটু সরলতা

আর একটু হারানোর আগে

হা হারা

নেমে এলো পবন ধরে

নেমে এলো

         বিরাম শূন্য রেখে।

 

আর ওই ছায়া

কাঁটাঝোপের আল

টুকরোছাপ

আলোপনা মুখ

ঘুরে ফিরে কাগজ ঝলসে

আবছায়া জলের গল্পে।

 

গোছে তিনভাগ মোম

গলে গলে অন্ধকারিত

ডাঙামেঘ

          মেঘের ডানা।

 

আমাদের বিয়োগের ইস্

শুরু হয়

              ঠিক এখান থেকে।


1 টি মন্তব্য: