কবিতার কালিমাটি ১১৯ |
সজীবতা
সুদূর পাহাড়ে
এলোমেলো চিন্তারা
ছড়িয়ে পড়ার
আগেই যত্নে কুড়িয়ে নিই
তারপর বৃষ্টি
এসে আমায় ভিজিয়ে দেয়
বৃষ্টির নাচ
দেখে মন খুশিতে ভরে ওঠে
বৃষ্টির চিকচিকে
ফোঁটাগুলো শরীরে
ঝিরঝির করে
পড়ে গা ভিজিয়ে দেয়
যেমন বৃষ্টিস্নাত
পদ্মপাতায় চিকচিকে জল
সূর্য মুখ লুকিয়েছে
মেঘের আড়ালে
জলভরা মেঘ আকাশে
ভেসে যায়
যত কিছু মলিন
আবর্জনা জলে ধুয়ে যায়
মনের সুন্দর
ভাবনাগুলো এসে জড় হয়
শুধু তা প্রকাশের
অপেক্ষায় সময় গোনে
বৃষ্টির জল
ফিরিয়ে আনে সজীবতা
সবুজের মেলায়
ফের তারা হেসে ওঠে।
কথকতা
রামধনু আঁকা
আকাশ
পাখিরা সব একসাথে
জড় হয়ে
আকাশের বুক
চিরে
দল বেঁধে উড়ে
যায়
বিকেলের আঁধার
নেমে আসে
বহুদূর থেকে
নক্ষত্রের আলো
হীরের মত আকাশে
ঝিকমিক করে
জ্বলে
অন্ধকারে বাতাসে
প্রতিধ্বনি
শোনা যায় ফিসফিস
রাতপাখিদের
ডানায়
লেখা হয় কথকতা।
পরোয়ানা
সময় এগিয়ে চলে
সাথে মৃত্যুর
পরোয়ানা
জীবন ছোট হয়ে
আসে
জীবনের খোলা
পাতায়
লেখা থাকে মুহূর্তগুলি
আখরে আখরে
শিল্পীর শিল্প
জমা হয়
বিভিন্ন স্থানে
বিভিন্ন সমাবেশে
মৃত্যুর পরেও
তার শিল্প
বেঁচে থাকে
অপরিমিত স্বাধীনতায়
তবুও মন মানে
না
কেমন যেন এক
ব্যথা অনুভব করি
অন্ধকারের কাঁটাগুলো
যেন
আষ্টেপৃষ্ঠে
জড়িয়ে ধরে।
সন্ধিক্ষণ
মন ছুঁয়ে যাওয়া
সকাল
ক্রমশঃ ফিকে
হয়
মেহগনি স্বপ্নরা
মলিন হয়ে
পড়ে থাকে স্মৃতির
পাতায়
সময় বড় নিঠুর
সেই সব দেয়
আবার ফিরিয়ে নেয়
আকাশের ক্যানভাসে
কালো মেঘ
অনিশ্চয়তার
সন্ধিক্ষণ
প্রশ্নবোধক
অস্তিত্বের
শেষ রেশটুকু
ধরে এগিয়ে যাওয়া
এরই মধ্যে মানুষের
বেঁচে থাকা
ধনী ও দরিদ্র,
কয়েনের দুটো পিঠ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন