কবিতার কালিমাটি ১১৮ |
যুগলবন্দী ইশারা
(১)
মাছের মত মিহি
ঠোকর দেয় চোখ
যে চোখে যুগলবন্দী
ইশারা
এসব দেখে দেখে
মন শান্ত... সমুদ্রও।
(২)
ভুঁইফোড় অঙ্কুরোদ্গমে
রাঢ় মাটি সোহাগী হচ্ছে
সংসার ও সীমাবদ্ধতার
বাইরে দুপুরের চৈত্র ঝড়
জানলার পাল্লা
খুলে সামান্যই বাড়িয়েছি হাত
খরশান ধূলোর
বদলে পেয়েছি বর্শাফলার মত নতুন বৃষ্টি
লাগছে হাতে
খুব
বলা তো যাবে
না
সঞ্চয়
এই বেঁচে থাকাও
প্রত্নতাত্তিকের মত,
খুঁড়তে খুঁড়তে
কখন খনন শেষ হয়ে যায়।
হাতে নিয়ে থাকি
অমূল্য জড়সড়
প্রস্তর
খাদান
আজীবন সঞ্চয়
যত
সংরক্ষিত
বন্দী ততটাই
এক মহাথান শিবের,
তাতেও অলিখিত অরণ্যকথা
লিখে শেকড়ের
জট, জটায়ুধ
দুটি চোখের
বিল্বপত্রে তখনও ভক্তিসঞ্চয়
ছোঁয়া
ওই খেজুর পাতা
ঢেউ
ঝাউয়ের লজ্জা
দেখলেই আমার
কেমন সমুদ্র পায়।
এইসব স্থির
গাছপালা
স্বপ্নের মুখোশ
তথা আবডাল
শেষ ট্রেন চলে
যাওয়ার পর
নিঃস্ব লাগে
কেন জানি
পোড়া মবিলের
গন্ধ শহরটাকে ছুঁতে পারে না
যতটা ছুঁতে
পারে তোমায় আমায়।
জলে-জঙ্গলে
মিশে গেছি যারা,
শেকড়ে পা জড়িয়ে
আছে
অন্ধ গাছ
শহর আর ফেরাবে
কি তাদের?
খুব সুন্দর লিখেছেন প্রিয় কবি
উত্তরমুছুনঅনেক মুগ্ধতা ও শুভেচ্ছা রইলো
শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান
মুছুন