সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল

 

কবিতার কালিমাটি ১১৮


ত্বকে তখন ফোঁটা ফোঁটা শ্রমের নোটেশন

 

তারাও মাটিতে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিপাত দেখছে আর সবুজ হয়ে যাচ্ছে খয়েরি রঙের দুপুর, বিকলাঙ্গ পাখিটিও উড়ছে নিঃস্ব শিমুলের উপর – শীত শীত অভ্যাসে ত্বকে তখন ফোঁটা ফোঁটা শ্রমের নোটেশন – অসমাপিকায় বিনীত হতে হতে জলে ভিজিয়ে নিচ্ছে লবণাক্ত ব্রহ্মতালু : ব্যর্থদিনের গরলপাত্রে অপেক্ষা করে লাইভ বীজতলার অলংকরণ

 

আমি কি সেই জন্মগত প্রিয়তম, নিজেকে সেঁকে নিতে নিতে চিরায়ত আগাছার বেগুনি ফুল দেখি

 

অতএব ফোকাসহীন স্বাদকোরক ঝাপসা হয়ে যায়

 

হলদে নদীটি আজও জন্মদান ছড়ায়

 

এবং দুটো স্তম্ভের মাঝে মুখোমুখি হচ্ছে নগ্নঘ্রাণের পঙতিমালা আর শূন্যতার মেরুন ঠোঁট, সেখানে একাদশীর চাঁদ পৃষ্ঠা উল্টে দেখে নিচ্ছে ভাঙা বানানের ইকোসিস্টেম, ভেসে আসে কবিতার অনুনাদিত কন্ঠধ্বনি – জন্মের ছবি এঁকে এঁকে হলদে নদীটি আজও জন্মদান ছড়ায় – ভবিষ্যৎ একটা সাদা ক্যানভাস জুড়ে আঁচড় কাটে রোদ

 

নাকি ছায়া সরে যায়, একে অপরের অনাসক্ত সম্পর্কে নারকেল পাতা তরঙ্গহীন – মলয়ের গল্পে জল কেটে জেগে উঠছে গ্রিনহাউস

 

ধাপ ধাপ শীতাতপ পেরিয়ে আমি রোদধর্ম, চেয়ে নিই অবিনশ্বর রৌদ্রপলাশ

 

পূর্ণগ্রাস হওয়ার আগে আপাত মহিমা ভাঙে অহম

 

এইভাবে ভাবতে ভাবতে লোকটা ভায়োলিন বা জলরং নিয়ে স্রোতেভাঙা পাথরের উপর বসে, টুকরো বা বিক্ষিপ্ত যা কিছু ঘন ক্লোরোফিল থেকে আছড়ে পড়ে শূন্যের দরজায়, আক্রান্ত মোহ ত্যাগ করতে পারে না নিজস্ব জলবায়ু – পূর্ণগ্রাস হওয়ার আগে আপাত মহিমা ভাঙে অহম নিজের চোখে তাকায় নিজের চোখ : এতগুলো হাঁটা – এতগুলো নুড়িপাথর 

 

আদিশোভার সাদাকালো পাখিরা সমস্ত অতল — সমিধ শরীরে চোখের সামান্য নিয়ে ক্ষত পোড়াই

 

কুয়াশা সরিয়ে জলের  ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে সূর্য – সেই রোদরঙের দাগ ছুঁয়ে থাকা অসমতল রেখাটি চলে যাচ্ছে নিঃস্বরের দিকে

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন