কবিতার কালিমাটি ১১৭ |
জলাশয়
ঠিক ভুল না
ভেবেই মাটি কাটি
কাটতে কাটতে
কাটতে নেমে যাই নিচে
মগজ ঝরাই নেশা
ঝরাই
ঙ হয়ে ডিগবাজি
খায় দেহের খনিজ
মনটা মাছের
মতো একপাক ঘুরে আসে আকাশে
কয়েক হাত উপরেই
আকাশ
চাইলে নেমে
আসে গভীর এই বুকে
এভাবেই ধীরে
ধীরে আমার ভেতর
গড়ে তুলি জলাশয়
যেখানে অক্ষর
ঋষি সাঁতার কাটে
টলটলে মৌনতায়।
বর্ষা
স্তন্যপায়ী
শিশুবৃক্ষের শুকনো গলা জুড়িয়ে দিতে
রূপোলী সুতোর
ঝিলিক দেওয়া
কালো শাড়ি পড়া
আকাশের স্তন থেকে
নেমে আসে পবিত্র
পানীয়
আনন্দে মেতে
ওঠে প্রতিবেশী বৃক্ষ
জুড়ায় মাঠ-ঘাট,
ঝুমকো জবা
জুড়ায় কলম
ঠিক যেভাবে
মাছের পেটে ডিম
কিংবা সাইকেল
ধুপকাঠির গন্ধে
আমার নিথর দেহ।
দেশলাই ইমেজ
তোমার আমার
মাঝে বেঁচে থাকা
ছোট ছোট দেশলাই
ইমেজ
বিনির্মাণের
ভঙ্গিতে বার বার ফিরে আসে
রাস্তা পাড়
হওয়া শামুকের
শান্ত সমাহিত
ভাবদোলায়,
জংলি ফুলের
অনাবশ্যক রূপ মাধুর্যে,
জং ধরা লাইটপোস্টের
গায়ে
মেরুন কুয়াশার
আন্দাজে,
যখন একহাত খসে
পড়ে
আরেক হাত মাটি
দেয় ক্ষতে
এভাবেই -
ধ্বংস আর বিনির্মাণের
মাঝামাঝি আমরা
ইমেজের স্ফূলিঙ্গ
তাই তোমার আমার সাজে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন