কবিতার কালিমাটি ১১৭ |
খেলা খেলা সারাবেলা
খেলা চলছেই
ফ্লুরোসেন্ট যতই রাতের চোখধাঁধানো ওড়না ওড়াক
অন্ধকারের ছায়া দূর্মর
কোণে কোণে
অথবা খোলা অঙ্গনে
খেলা চলছেই…
বাই-লেনের ডিভাইডারে
রক্তকরবীর খেলা মশগুল
রক্তের ফুলখেলা…
স্পিডমিটারের কাঁটায় মরণখেলা
চাকা চলছে পতনের দিকে
নেশা নেশা অতল
সেখানে গুমরে বাজছে আত্মম্ভরিতার
ছলে অবসাদ
অধিক আর অধিকারস্পৃহার গোল্লাছুট খেলা
রেসের ঘোড়ার বিকল্প যেন
খেলা খেলা সারাবেলা
সার্ট বদলিয়ে, সার্টেনিটি পাচ্ছে
কত গুমনামী খেলা…
শেষের সিম্ফনী
নিষ্ঠুর গতির কাছে নির্বাক বসে আছি
ঘোলা পাঁকের আখড়া হয়ে উঠছে দুনিয়া
দুনিয়া তুমি কার
যে যত বেশী তোমার নির্মল পোষাক খোলে, তার?
যে যত বেশী তোমায় নগ্ন করে, তার?
যে যত বেশী তোমায় ধর্ষণ করে, তার?
যে যতবেশী নির্লজ্জ হাটে তোমায় বেচে দেয়, তার?
মহামারি যুদ্ধ গ্লেসিয়ারের গয়না পরে
দহনবিলাসী মা আমার
তোমার চিতায় ওঠার নির্ভুল পদক্ষেপের ভিডিও
ভাইরাল হয়ে গিয়েছে…
কিছু নেই
আজ আসেনি বৃষ্টি
শুধু রেখে গেছে ঝড়
আমাদের বুকের ভিতর…
তাহাদের মতো যারা রাত জাগে
প্রহরে প্রহরে লেখা তাদের গল্পে
নেই কোনো শব্দখচিত অলঙ্কার
বোবাকান্নায় ঢেকে গেছে অক্ষর তাহার।
দুজনে জন্ম দেয়
একা নারী রাত জাগে শিশুটির তরে
অন্ধকার রাতের প্রহরে, তাকে
ঘিরে স্বপ্নের প্যাস্টেলে এঁকে চলে আলোর পিপাসা।
সময়ের মোড়ে
গল্পেরা রেখে যায় নিজেদের তপ্ত মৃতদেহ
রেখে যায় অতৃপ্তির ঝড়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন