বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

চিত্তরঞ্জন হীরা

 

কবিতার কালিমাটি ১১৬


সর্বনাম – ১

 

শোক এবং শ্লোকের মধ্যে

অনুবাদ করি ঝরনাকে

মিথুনের মিথ।

প্রতি অনু থেকে বাদ

বেদনার নির্ঝর

ভেতরে অব্যয় ও ক্রিয়া।

জীবনবিভক্ত ধ্বনির মুহূর্তে

কোথাও আমি নেই।

 

ছাঁচে বসছে মৃদুতরঙ্গ

উষ্ণ প্রতিভারা

মুখে বসছে পূর্বজন্ম।

অসংখ্যের পর কেউ কেউ

জোছনাঝিরি

কেউ অসংসারের

রাত্রি ভেঙে ভেঙে।

 

আমরা একবগ্গা

ঢুকে পড়ছি শূন্য মহল্লায়

বিকলাঙ্গ বাঁশিতে

টুকে তুলছি আধা চেতনা…

 

সর্বনাম – ২

 

এলো উহ্যপাখিটি

এলো রাতচরা।

সেই কবে থেকে নিঝুম

আলো দিতে দিতে

উলো ঝুলো

লাগাম ভাঙছে।

ভাঙা রাস্তার বেভুল

অবতলে

আর সারাই হচ্ছে না।

 

ভেতরবাড়ির টোল

তখনও ভুল আঁকা

এক উষ্ণের তা

দীর্ঘ হলো।

এখন মনে হচ্ছে

এই বায়বীয়

আলোর নিরালা

কোনও উৎস নেই

একটা ধূ ধূ।

 

ঢেউ বুনছে স্বপ্নকে

মাঝে মাঝে

আমরা সেখানেই

পালন করি

আমাদের সরলবর্গীয়

নীরবতা।

 

সর্বনাম – ৩

 

একটা মোরগের কাহিনি

বলছে এর সবটাই মিথ্যে।

আমরা ধরে নিতে পারি

সমাপ্তির গান

এই আধখানা ডিমের

সীমান্তে

ভাঙার শব্দ হয়

সীমান্ত ভাঙা।

 

এই সারাংশের বীজ

জুড়ে ছাপ ফেলা

গহনা শরীর

ডাকঘর।

নিভে গেলে

থাকবে না।

তবু সেই বৃত্তের গর্ভে

শিরোনাম আসে

অভ্রতায়।

 

কেউ টেনে নামাচ্ছে অবাধ্য

ভেসে উঠছে বাধ্যজন্ম

প্রেমগন্ধ…


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন