উটের গ্রীবায়
আরশিনগর
ভোরের আকাশে দৃশ্যমান মুখোমুখি কয়েকটি শ্বাসরোধী যন্ত্র,
অনেকটা ভাস্কর্য্যের মত অবিচল, স্থির। প্রাণহীন দুর্বোধ্যতা
লুকোনো আস্তিনের ফাঁকে। কখনো পুরনো দেওয়ালের বয়স
সঠিক জানা যায় না উলম্ব যকৃতের থলিতে রহস্য থেকে
যায়, উপবাস বা অন্যান্য ক্রিয়াকলাপও কাজে আসে না আর।
সময় কেটে যায় কীট পতঙ্গ খেয়ে। পড়ে থাকে সমতলের সবুজ
জলাধারে মসৃণ পাখির পালক আর আসন্ন ঝড়ের কথোপকথন।
সূর্যাস্তের পরে শ্বাপদকূল মুখোশ হাতে অম্লান বদনে।
ভেজা বালির ওপর ঝাঁপিয়ে প’ড়ে ধরতে গেলাম লাল কাঁকড়া।
ওটাই ছিল চরম ভুল। চক্রব্যুহের মাটি কতটা লাল ছিল
তা আর আমাদের মনে নেই।
বাতাসে কটু গন্ধ, চোখেমুখে রক্তবমি; ভারী বুটের শব্দে জীবন
কলসির ভিতর; অথচ তুমি স্বর্গের কাছাকাছি। ঘূণ ধরা কাঠের
কড়িতে পোকারাও শব্দ করে না।
কবিতা ও পেন্টিং -দুইই দেবাশিস চক্রবর্তীর।
উত্তরমুছুন