শিল্পী : পার্থ চট্টোপাধ্যায় (অন্তহীন পথ) |
নামঃ অশোক তাঁতী
জন্মঃ ৯ই এপ্রিল, ১৯৬৮, লক্ষ্মী্কান্তপুর, জেলা-দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ।
পিতার নামঃ স্বর্গীয় কালিপদ তাঁতী, মায়ের নামঃ স্বর্গীয়া অলকা তাঁতী।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ছোটোবেলায় গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা ও পরে কলকাতার রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজ থেকে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্সে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর, আরো পরে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রথম শ্রেণীর ডিগ্রীধারী।
কর্মজীবনঃ দুর্গাপুর প্রোজেক্ট লিমিটেডে ১৯৯৩ সালে ম্যনেজমেন্ট ট্রেনী হিসেবে কর্মজীবন শুরু, মৃত্যুকাল অবধি এই প্রতিষ্ঠানেই সি অ্যন্ড আই(কন্সট্রাকশন এন্ড ইন্সপেকশন) ডিপার্টমেন্টে সিনিয়র ম্যনেজর হিসেবেই কাজ করে গেছেন। এছাড়াও দুর্গাপুরের এন পি টি আই কলেজের গেস্ট লেকচারার রূপেও শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘ কয়েক বছর।
সাহিত্যজীবনঃ সাহিত্যজীবনে প্রথম লেখার অনুপ্রেরণা পান গোপাল রায়, পার্থজিৎ ভক্ত ইত্যাদি সহকর্মী ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছে। প্রথম লেখা ‘কল্পবিভাষ’ পত্রিকায়, ১৯৯৪ সালে। খুবই প্রশংসিত হয় প্রথম লেখা। এরপর একাদিক্রমে বিভিন্ন লিটিল ম্যাগাজিনে অশোক তাঁতী অণুগল্প, ছোটোগল্প, বড়গল্প, প্রবন্ধ লিখে গিয়েছেন। ওয়েব ম্যাগাজিনে ঝুরোগল্প লিখেছেন আমৃত্যু। লিখেছেন কবিতা। আর লিখেছেন হাইকু। প্রতিটি সৃষ্টিতেই ছাপ পড়েছে তাঁর বিদগ্ধ মননের, রূপকথা সম বৈদ্যুতিন ন্যারেটিভ এবং ভাষার প্রতি তাঁর নীরব অথচ সবল অসম অনুরাগ, অসম শব্দটি ব্যবহৃত হল কেননা ভাষার জন্য যে আকর্ষণ তিনি অনুভব করতেন তার প্রকাশ ভঙ্গিটিই ছিল অত্যন্ত ইন্ট্রোভার্ট, খুব মিহি ছিল। গলাবাজির যুগে বায়োপিক তৈরির হুড়যুদ্ধের বাজারে অশোক ছিলেন সমস্ত রকম প্রতিযোগিতার বাইরে। হতে পারে এও এক রকমের উন্নাসিকতা, তবু তাও গ্রহণযোগ্য ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিক্ষণীয়।
এখানে সাল অনুযায়ী তাঁর প্রকাশিত লেখাগুলো দেওয়া সম্ভব হল না, এটুকু ত্রুটি রয়েই গেল। নিচে বিভিন্ন প্ত্র পত্রিকার নাম ও তাঁর লেখা গল্পের নাম দেওয়া হল।
১) ক্রন্দসী পত্রিকা – সম্পাদক - সনৎ বসু। ২০১৭, উৎসব সংখ্যা, অণুগল্প লিখেছেন- ‘হাত’।
২) পুনশ্চ পত্রিকা – সম্পাদক - এবাদুল হক। বার চারেক অণুগল্প লিখেছেন বিভিন্ন সংখ্যায়।
৩) মধ্যবর্তী পত্রিকা – সম্পাদক - বিশ্বরূপ দে সরকার। ২০১৭ এপ্রিল সংখ্যায় লিখেছেন ছোটোগল্প ‘গুগল করে আমার নাম বলে দেবেন?’
উৎসব সংখ্যা ২০১৬ উপন্যাস লিখেছেন ‘দ্বিতীয় জীবন’।
৪) দমদম জংশন পত্রিকা - সম্পাদক-বৈ্দ্যনাথ মিশ্র। ২০১৯এ বড়গল্প লিখেছেন ‘আগামীকালের কথা যা আমার মনে ছিল’। বইমেলা ২০১৮ দ্বিতীয় বার্ষিক সংখ্যায় প্রবন্ধ লিখেছেন – ‘সমীর রায়চৌধুরীর ছোটোগল্প’।
৫) চন্দ্রগ্রহণ পত্রিকা – সম্পাদক - বৈদ্যনাথ মিশ্র। শারদ সংখ্যা ২০১৭এ উপন্যাস লিখেছেন ‘দালির বালিঘড়ি’।
৬) শিশুসাহিত্য চর্চায় বর্ধমান জেলা পত্রিকা – সম্পাদক - বিনয়েন্দ্রকিশোর দাস। ২০১৭এ শিশুদের জন্য ছোটোগল্প লিখেছেন ‘মহিষাসুর যখন দুর্গাকে হারালো’।
৭) নতুন শতক পত্রিকা – সম্পাদক - শীর্ষেন্দু দত্ত। ২০১৭এ প্রবন্ধ লিখেছেন ‘মিলান কুন্দেরা, অস্বিত্ব, ইম্মর্টালিটি’।
৮) মনকলম পত্রিকা – সম্পাদক - শীর্ষেন্দু দত্ত। ২০১৭এ প্রবন্ধ লিখেছেন ‘বনলতা সেন, গণিকা এবং…’
৯) অনুভূতি পত্রিকা - সম্পাদক রনি অধিকারী। ২০১৭এ ‘হাসান আল আবদুল্লাহ সংখ্যা’য় দুটো অণুগল্প লিখেছেন।
১০) নিম সাহিত্য না সাহিত্য - অল্প সাহিত্য, তিক্ত বিরক্ত সাহিত্য পত্রিকা – সম্পাদক - সৌম্যব্রত বন্দোপাধ্যায়। ২০১৭এ প্রবন্ধ লিখেছেন ‘শিল্প,কারখানা ও নিম সাহিত্য’।
১১) ইস্ক্রা পত্রিকা – সম্পাদক - প্রগতি মাইতি। ২০১৭এ ছোটোগল্প লিখেছেন ‘তীরের ফলা যখন পায়ের তলায়’।
১২) ঐক্য পত্রিকা – সম্পাদক - তারাপদ হাজরা। ২০১৭এ ছোটোগল্প লিখেছেন ‘রাজসূয়’।
১৩) অনুরণ্ন পত্রিকা - কবিতা লিখেছেন।
১৪) বুনন পত্রিকা (বাংলাদেশ) – সম্পাদক - খালেদুদ্দীন। ২০১৬এ ‘বৃষ্টি সংখ্যা’য় কবিতা লিখেছেন।
১৫) কবিতাডিহি পত্রিকা - ছোটগল্প লিখেছেন। অণুগল্প লিখেছেন।
১৬) মায়াজম (নিউ দিল্লী) – সম্পাদক - সোনালী মিত্র। ২০১৬এ প্রবন্ধ লিখেছেন, বিষয় - মাণিক বন্দোপাধ্যায় ও সমীর রায়চৌধুরীর লেখা একটা করে ছোটোগল্প নিয়ে এই দুই ধারার লেখার বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য।
অন্য আর একটি সংখ্যায় প্রবন্ধ লিখেছেন – ‘কোয়ান্টাম পদার্থ বিদ্যা কি অণুগল্পের সংজ্ঞা নির্ধারণের হাতিয়ার হতে পারে? প্রসঙ্গ –অণুগল্প’।
১৭) কৌ্রব পত্রিকা - সম্পাদক – আর্যনীল মুখোপাধ্যায়। ২০১৫এ ছোটোগল্প লিখেছেন, কৌরব অনলাইনে লিখেছেন কবিতা।
১৮) কালিমাটি অনলাইন পত্রিকা - সম্পাদক কাজল সেন। ২০১৩ থেকে ২০২১ এপ্রিল আমৃত্যু প্রতি মাসে একটি করে ঝুরোগল্প লিখে গেছেন।
‘কালিমাটি’ মুদ্রিত পত্রিকার ভূত সংখ্যা ও সৃষ্টি সংখ্যায় বিষয়ভিত্তিক গল্প লিখেছেন। এছাড়া কাজল সেন সম্পাদিত ‘ঝুরোগল্প’ (দ্বিতীয় পর্যায়), ‘অবৈধগল্প’
ও ‘তনু’ বইয়ে গল্প লিখেছেন।
১৯) হাওয়া ৪৯ পত্রিকা – সম্পাদক -মুর্শিদ এ এম। ২০২০ সালে বইপার্বন মাঘ চতুর্থ সংখ্যায় প্রবন্ধ লিখেছেন- ‘ঝুরোগল্পের জিওডেসিক’। ২০১৭ সালে পঁয়তাল্লিশতম সংখ্যায় প্রবন্ধ লিখেছেন- ‘মন্ত্রিক পোয়েট্রি’।
২০) শূন্যকাল পত্রিকা নিউ দিল্লী) – সম্পাদক - দীপঙ্কর দত্ত। কবিতা লিখেছেন কয়েকটি সংখ্যায়।
২১) দেশ পত্রিকা – সম্পাদক - হর্ষ দত্ত। ছোটোগল্প লিখেছেন ‘কুহেলী’ ২০১৪ সালে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের "অন্তহীন পথ"
উত্তরমুছুনআকাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত পার্থদা এই কাজটি রাতে না ঘুমিয়ে করেছেন, প্রতিদানে কি জানালে ঠিক হয় কে জানে।