কবিতার কালিমাটি ১১৫ |
পাখিবিদ্যা
পাঁচটি পাখি
ডালে-
তিনটি গেল উড়ে
দুইটি থাকে
বসে
একলা নিরবে।
ফিরবে বলে-
একটি এলো ফিরে
বাকী দুইটি
নেই বশে।
ঘুম ব্যস্ত
ডাল,
পাতার সংশয়;
কথা নেই ফিসফিস।
তিনটি পাখি
ঘরে
দুইটি পাখি
খেলে
একটি পাখি স্থির;
বিষণ্ণ নিশ্চুপ!
তুমি
(১)
তুমি দূরগামী
ট্রেন
কিছু না ভেবেই
চড়ে বসি
স্টেশনের দেখা
নেই
দুজনার গন্তব্য
কই?
(২)
ছিপ ফেলে বসে
থাকি
গভীর জলের মাছ
তুমি-
ধরা যদি নাই
দাও!
তবে ঠুকরাও
ক্যান?
জাগো বাহে
আগুন জ্বালাও এখনই সময়
কতদিন চুপ থাকবে?
আইনের চোখ অন্ধ বলে হায়!
ক্ষমতার খেলা দেখবে?
শাসকের দল এক হয়েছে আজ
শিক্ষা তবে উবু হয়ে থাক
সোনার বাংলায় শকুনের একী সাজ!
দেশ তবে ভাই
রসাতলে যাক।
চুপ করে যেন
বেঁচে থেকে মরাই
লাঠির জবাব
ফুল দিয়ে নয়
চাষা-ভুষার
সন্তান বেছে নাও লড়াই!
হাত উঁচিয়ে
নিজেকে করো ক্ষয়।
আলোর দিশারী
আলো জ্বেলে-
তুমি অন্ধ জাতিকে
পথ দেখাও
যারা দেশের
মাটিকে কলুষিত করে
তাদের বিনাস
করে তুমি ক্ষান্ত হও!
সোনার কন্যা
পুকুরঘাটে সোনার
কন্যা
কানে গুঁজে
ফুল।
তোমায় দেখে
অবাক লাগে
মৃদু হেসে বাতাস
বহে;
চারিদিকে ঝলমলে
জোৎস্না মুখের
আলো!
পুকুর ঘাটে
সোনার কন্যা
মাথায় ঘন চুল।
তোমায় দেখে
স্বাদ জাগে-
ভালবাসার ফড়িঙ
উড়ে;
নীল আকাশ ভেঙে
পড়ে
বৃষ্টি নামে
হৃদয় জুড়ে!
এমনি করেই প্রেম
বাড়ে
জানি না কেমন
করে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন