কালিমাটির ঝুরোগল্প ১০৫ |
দ্বন্দ্ব
আমাদের দেখা বা না দেখাতে কী এসে যায় বল? তুমি কাকে দেখতে চেয়েছিলে বল? আমাকে অন্তত নয় নিশ্চয়ই, কী বিশ্রি ব্যাপার বল! সেই আমিই কিনা ফের তোমার মুখোমুখি হলাম। আসলে তোমার ভালোটাও যে আমিই চাইতাম। কিন্তু আর চাই না, চাইবো না, বিশ্বাস কর! তোমার মুখোশ খসে পড়েছে। তোমার শরীর বেআব্রু, তুমি এখন হাঁ করে তাকিয়ে দেখছ কী! ঘাসে মুখ রেখে চলি, অল্পবিদ্যার মানুষ! হাত ছাড়িয়ে দে-দৌড়, ইসস্ তারপর অচেনা মানুষগুলিকে আপন করার সেকী তড়পানি! আব্রু ছিল না, হাওয়াও উবে গেছিল। সে ভয়ঙ্কর স্বপ্ন বহুদিন তাড়িয়ে বেরিয়েছিল।
টনটনিয়ে ওঠা সে সব স্মৃতি। গোলান ভাঙ্গতে লেগেছে। স্বপ্নের ইমারত স্বপ্নেরই মতো, সাজসজ্জার খামতি থাকে না যেমনটি চাও সাজাতে, উজ্জ্বল আলোর নরম রোদ ভালোবাসার। জুমড়া ঠাসা পাঁসগাদা মুখে মুখ ল্যাপানো পরত। আর চাই না তা, বিশ্বাস কর! ভীষণ আঘাত সে বুমারাং হয়ে আমাকেই…
স্তব্ধ করে দিয়েছে তোমার চেয়ে বহু যোযন দূরত্বের। কেবলি টোকা দিয়ে যায় শাল পিয়ালের নীরবতার মাশুল গোনার মতো গুনেহগার। দেখ তোমার নতুনেরা তোমায় কত ভুল ভূলাইয়া দেখাতে চায়। বিশাল তাদের পথ পরিক্রমা। অসীম হয়তো। গোপন সহজ হবে না তোমার আবরণ সহ ফেরা। কোন এক নিরিবিলি নিস্তব্ধতার নিরবচ্ছিন্ন হা হুতাশ চাপা কান্নার সব হারানোর ব্যথা অপ্রকৃতিস্থ উপস্থিতি, প্রাণ হয়ত এমনটা চাইনি, তুমি চেয়েছিলে। অনাবশ্যক চাওয়া, এমনই জেদ! তার জের মরা বাঁচা সমান। মধুমেহর প্রকোপ আগে বংশজ ভাবা হতো। ট্রেস টেনশন ইত্যাদি প্রবৃত্তি। এখন তা নয়। গুমরে গুমরে অসুয়া আর স্বল্পায়ুর সহবাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন