রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নাজনীন খলিল

 

কবিতার কালিমাটি ১১৫


একা একজন

প্রবল বর্ষণের ভেতরে হেঁটে যাচ্ছে

ঝড়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে

একজন একা মানুষ।

সারারাতের জন্য

এই ঝড়জল

এই দুর্ভোগ।

রাত শেষ না হলে খুলবে না

ভোরের আগে খুলবে না

পান্থশালার দোর।



দ্বিধান্বিত

আগুন এবং স্বর্ণবিভ্রমের দোদুল্যমানতায়

পার হচ্ছি এক আজব ধ্রুপদ মহাকাল।

প্রতিটি আগুন আমি সোনা ভেবে স্পর্শ করেছি

আর হাতের দগদগে ক্ষত লুকিয়েছি গোলাপমোড়কে।

 

দ্বিধা;

হাপরের কঠিন তাপতরঙ্গে পুড়ছে যে ধাতুভাগ

সে কী স্বর্ণপিন্ড হবে? না কী লৌহজঞ্জাল?  



যাত্রা

কেন এমন ঝাপসা হয়ে আসে চোখ?

হয়তো চশমার কাচে কিছু জমেছে কুয়াশা।

ঠাসবুনোটে র‍্যাকস্যাক ভরা জিনিসপত্র।

অসাবধানে কোথাও কিছু কী পড়ে রইলো?

 

যাত্রা তো নিশ্চিত ছিল। প্রস্তুতিও।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন