বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২

রেদওয়ান আহমদ

 

কবিতার কালিমাটি ১১৪


সংখ্যায় কমদের পীরিতে সায় দিতে নেই

 

সংখ্যায় কমদের পীরিতে সায় দিতে নেই

যুদ্ধ চেয়ে বসে তাদের জন্য এবং আমাদের জন্য

আলাদা আলাদা গমখেত ঘোষণা করে ফেলে

ভাষায় অন্য যারা তাদেরও গা ঘেঁষে দাঁড়াইতে নেই

দূর থেকে যাঁতাকলে চাপন দিয়ে রাখতে হয়—

নেতা টেতা হইতে দেওন যায় না, নইলে

গাছের তলায় আসি দাঁড়াইয়া কমবখতগুলা

গা গা করে, আঙুল ফোলায়, পাকড়াইতে গেলে

মাটির গুল ছুড়ে মারে,

বনিবনা নেই এমন জায়গা থেকে সাহায্য লয়

এই সুবাদে এভাবেই, হেগোরে

মেরে ছাতু করে দেয়া আমাদের জন্য ফরজ করে তোলে।

 

খোদার জল মাটি ভাগ হইতে হইতে

 

খোদার জল, মাটি ভাগ হইতে হইতে

আসমানও ভাগ হইয়া বইসা রইছে, আমরাও

কোন না কোন ভাগে বসে

দেশরক্ষার হাদিস শুনি, আয়াত শুনি, লগে শহীদ গাজীর গল্পগুলা

এনার্জি ড্রিংকস হইয়া কাম করে আমাদের শরীরে

উত্তেজনা জাগে।

ভাগ হওয়া মাটি জলের লাগি ভিন ধর্মী, ভিন ভাষা,

ভিন এলাকার মানুষের লগে যুদ্ধে জড়াই

যুদ্ধে যায় নাই এমন মানুষেরে আমরা মারতে থাকি যদি প্রথম, তারাও

যুদ্ধে যায় নাই আমাদের এমন মা, বোন, ভাইদের মারতে থাকে

যুদ্ধে যায় নাই এমন মানুষেরে

তারা মারতে থাকে যদি প্রথম, আমরাও

উপযুক্ত বদলা হিসাবে তাদের মা বোন ভাইদের মারতে থাকি।

 

পৃথিবীতে না শেষ হওয়া

 

পৃথিবীতে না শেষ হওয়া

একমাত্র ধইঞ্চাই হচ্ছে যুদ্ধ

বড়ই মনোরম

উবলানো পুষ্টি গুণে এই ধইঞ্চা

পৃথিবীর কোণে কোণে

সমাদৃত হয়, আদরিত হয়

না খেয়ে থাকতে পারা শাসক

এর কুসুমও বোঝে না।

শুধুমাত্র তারাই

যাদের আমরা ভিলেন হিসেবে জানি, সেইসব জেনারেল আর শাসকরা এর মূলে-মূলে কুসুম ভেজে খায় জীবনভর।

 

 

 

 

 

 

 

 


1 টি মন্তব্য: