বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২

তৈমুর খান

 

কবিতার কালিমাটি ১১৪


মূর্খের ভাষা

 

মূর্খের ভাষা কেমন হবে তা সবাই জানে

শুধু কৌতূহলের কাছে এসে জানতে চায়:

কখন শিক্ষিতরাও তবে মূর্খ হয়ে যায়?

 

মানুষ কি আদৌ শিক্ষিত হতে জানে?

আমরা বরং নীরবতা থেকে ফিরে আসি

আর হাওয়ায় ভাসিয়ে দিই কথাদের

 

সম্মার্জনী তুলে ধরে কোনো কোনো ঝাড়ুদার

কারও কারও নতুন নরুনের মতো ঠোঁট কাঁপে

বিশেষণে নির্বিশেষ ক্রিয়ার আবেগ মেশায়

 

ভাষাদের নিয়ে ব্যবসা জমে ওঠে খুব

অথবা রাজনীতির মাঠের ফুটবল গড়ায়

আমরা সংস্কৃতি পাড়ার বিপন্ন রিপোর্টার

 

ভাষা শুনতে শুনতে ভাষা ভুলে যাই

শুধু এক কৌশলের অসভ্য কালচারে

ভাষাও শরীর বিক্রি করে নেতার দরবারে।

 

ব্যাকুলতা

 

কী ধরনের ব্যাকুলতা এসেছে আমার কাছে

তাকে বলতে পারছি না কিছু

অথচ তাড়াহুড়ো করছে বারংবার

কথা না শুনলে আত্মহত্যা করবে বলেছে

 

আমি বোঝাতে পারি না কিছু

বিকেল ফুরিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যার মুখে

বিবেকের বাণী আর উঠছে না কোথাও

শহর তোলপাড় হচ্ছে পরকীয়ার কবলে

 

চেয়ে দেখবে না আমার হাস্নুহানা?

ফুটব ফুটব করছে কেউ অনুভূতির ডালে

নিবেদনের পাতাগুলি মেলেছে বাতাসে

ব্যাকুলতা, চা খাবে না নিরালার কাপে?

 

পার্থিব আসক্তির আলোয় কত মধুমুখ

ছিপি খুলে উন্মুখ হয়ে আছে চুম্বন প্রত্যাশী

তারা সব দেবদেবীর মতো

                          কেউ কেউ কাজল পরেছে

চারিপাশে আয়না বসানো

                নিজেকে কি দেখবে না একবারও!

 

অনুভূতি

 

তোমার হাতের ছোঁয়াটুকু

লেগে আছে শরীরে আমার

আমি তাকে অনুভূতির অ্যালবামে রাখি

প্রতিটি বসন্তে পাতা ঝরে গেলে

তাকেই ফোটাতে চাই নতুন মঞ্জরী

 

অনুভূতির মৃত্যু নেই

প্রাচীনত্ব নেই

অনুভূতি রোজই এসে দরজায় দাঁড়ায়

                         নতুন কিশোরী

 

 

 

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন