রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১

লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল

 

কবিতার কালিমাটি ১১৩


সম্মোহনী বিষ জেগে উঠে উন্মাতাল

মরমী লতাটি আঁকড়ে ধরতেই বারো মাসের লিগামেন্টে ধুলো সরতে থাকে, এ কোন হাওয়া! এক প্রশস্ত বিকেল ঝরে পড়ে খনিজ গন্ধে, বুকের নিম্নচাপে লুকিয়ে রাখা সম্মোহনী বিষ জেগে উঠে উন্মাতাল

ছেঁড়া প্লাস্টিকে জমাট জল শুকিয়ে যেতে চায় — কয়েক পা পেরিয়ে যেতেই একঝাঁক পায়রা উড়তে উড়তে সরলরেখা হয়ে যায়—

তুমি নেই কিংবা আছো কিংবা দূরত্বে ভাসে কিছু কিছু  বিচ্ছুরণ—

 

কেউ কেউ ঈশ্বর সেবার ফুল তোলে

অপরাধ বোধের পরেই মধুময় সকালের কাছে স্থির দরজা – রোদ পড়তে চায় এই পরিধির উপর! প্রভূত কোয়ান্টাম আলোয় আমাদের মনে পড়ে কয়েক ঘন্টা পূর্বেই নির্ঝর যন্ত্রণা ছিল – আর বিহ্বল শরীরের ক্লান্তি মিশে যাচ্ছিল তারই ক্লিভেজে — পলে পলে শীতল শিশির গড়িয়ে পড়ে পত্রবৃন্তের পথ নিয়ে—

এবার মৌলিক দৃশ্যগুলির মধ্যে চতুর রঙের পাখিরা চুপচাপ বসে থাকে, পাড়াগাঁয়ের ডালে অপেক্ষা করে ভিজে যাওয়ার – তখন কেউ কেউ ঈশ্বর সেবার  ফুল তোলে—

সমস্ত দীর্ঘশ্বাসগুলি ভাসতে ভাসতে ঢুকে পড়ে প্রাণায়ামে—

 

নেমে আসছে পলেস্তারা পতনের শব্দ

যখনই কাউকে শুভসন্ধ্যা জানাতে চাই — তখনই সন্ধ্যার ঘনত্ব নিয়ে একটা ট্রাক পিছোতে পিছোতে গ্রিন ফিড সেন্টার-এর দরজায় এসে দাঁড়ায়  – সামনে পিছনে  দপদপে লাল আলোয় নাভিশ্বাস উঠে সঞ্জীবনী ঔষধালয়ের, এই দপদপ সময়ের শুকনো গোড়ালি এবং ছিন্ন রাতের ভিতরে নেমে আসছে পলেস্তারা পতনের শব্দ—

ট্রাকটির হুড খুলতে থাকে সবেমাত্র শীত পাওয়া আনলোডার প্রজা  — সকল গ্লানিকে উপেক্ষা করে খালি হতে থাকে ডার্ক এনার্জি; তারই করতল থেকে আমি পিছলে পিছলে পড়ে যাই 

কতকগুলি মোহময় বিচ্ছুরণাংকে ঢালাই রাস্তার কম্পন থামে না আর


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন