বাঙালির জীবনে যিশুখৃস্ট
বাঙালির জীবনে যিশুখ্রিস্ট এসেছিলেন ঔপনিবেশিক সভ্যতার হাত ধরে। খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকরা তাঁর বাণী প্রচার শুরু করেন প্রাথমিকভাবে শ্রীরামপুর প্রেসের মাধ্যমে। রামরাম বসু পাদ্রিসাহেব-মনিবদের খুশি করার তাগিদে লেখেন খ্রিস্টসংগীত। মিশনারি ‘ক্যাটেকিস্ট’রা যীশুর ছবি নিয়ে ধর্মপ্রচারে বের হতেন মেলা-উৎসব ইত্যাদি লোক সমাগমের জায়গায়। হুতোম তাদের ব্যঙ্গ করে বলেছেন ‘ক্যাটিকৃষ্ট’। প্রথমদিকে বিদেশি শাসকদের ঈশ্বর বলে যীশুকে দূরে সরিয়ে রাখার প্রবণতা ছিল সমাজে; ‘নেটিভ’দের প্রতি ইংরেজদের বিরূপতাও তার অন্যতম কারণ। কিন্তু আস্তে আস্তে জাতিবিদ্বেষ আর শাসক-শাসিত সম্পর্কের বাইরে গিয়ে যিশুখ্রিস্টকে বাঙালি যে অনেকখানি আপন করে নিল, তার মূলে বাঙালির অতি প্রিয় দুই ‘ঠাকুর’-- একদিকে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ। নব ব্রাহ্মসমাজের উপাসনা-অনুষ্ঠানেও খ্রিস্টীয় প্রার্থনার ভাব ও আঙ্গিক কিছুটা গ্রহণ করা হয়েছিল; কেশবচন্দ্র সেন ও তাঁর অনুগামীরা খ্রিস্টধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতেন, আবার ঠাকুরের কাছেও তাঁদের আনাগোনা ছিল। এই সব কিছু মিলিয়ে, ১৯শতকের বাংলায় সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক নবচেতনার প্রেক্ষিতে, শ্রীরামকৃষ্ণের ‘যত মত, তত পথ’-এর ভাবনায় যিশুখ্রিস্ট বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছেন।
শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতে একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন মাস্টারমশাই, অর্থাৎ
শ্রীম। ঠাকুর একবার ভক্তদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন এক ভক্ত মহিলা (গোলাপ মা)-র বাড়ি।
ঠাকুরকে দেখে তিনি আনন্দে এমনই আত্মহারা হয়ে পড়েছেন যে অতিথিদের জলখাবারের
ব্যবস্থা করতেও ভুলে গেছেন। এদিকে তাঁর বোন একা রান্নাঘর সামলাতে পারছেন না,
বিরক্ত হয়ে এসে দিদিকে ডাকছেন। মাস্টারমশাই ইংরেজি পড়া, বাইবেল-পড়া মানুষ, তাঁর
মাথায় এল — ঠিক এরকমই ঘটেছিল, যখন খ্রিস্ট গিয়েছিলেন মার্থা ও মেরির বাড়িতে। এক
বোন খ্রিস্টের সামনে ভাবে বিভোর হয়ে বসে ঈশ্বরকথা শুনছিলেন, অন্য বোন এসে অনুযোগ
করলেন, তিনি একা সব আয়োজন করে উঠতে পারছেন না। যীশু তখন বলেন— ‘তোমার দিদিই ধন্য,
কারণ ঈশ্বরের প্রতি তাঁর প্রেম জেগেছে।’ সেকথা ফিরে এসে ঠাকুরকে বলেওছিলেন
মাস্টারমশাই। প্রভু যিশু আর ঠাকুরের বাণীর মধ্যে মিল খুঁজে খুঁজে বের করার এমন
চেষ্টা শ্রীম অনেকবারই করেছেন— “আপনি ভক্তদের উপবাস করতে কি অন্য কোন কঠোর করতে
বলেন না— খাওয়া-দাওয়া সম্বন্ধেও কোন কঠিন নাই। যীশুখ্রিস্টের শিষ্যরা
রবিবারে নিয়ম না করে খেয়েছিল, তাই যারা শাস্ত্র মেনে চলত তারা তিরস্কার করেছিল। যীশু বললেন,
‘ওরা খাবে, খুব করবে; যতদিন বরের সঙ্গে আছে, বরযাত্রীরা আনন্দই করবে।’... অর্থাৎ
যতদিন অবতারের সঙ্গে আছে, সাঙ্গোপাঙ্গোগণ কেবল আনন্দই করবে।”
আবার এক জায়গায় মাস্টারমশাই দেখিয়েছেন, যিশু বলেছিলেন— ব্যাকুল হয়ে দোরে ঘা মারো, দোর খোলা পাবে। ঠাকুরও বলতেন, ব্যাকুল হয়ে ডাকলে তিনি শুনবেনই শুনবেন। দেখা গেছে, ঠাকুরও বারবার বাইবেলের গল্প শুনতে আগ্রহ দেখাতেন। খ্রিস্টমতে সাধনা করার সময় তিনি এক অদ্ভুত আকর্ষণ অনুভব করতেন মা মেরি আর শিশু খ্রিস্টের ছবির প্রতি— যদু মল্লিকের বাগানবাড়িতে সে ছবি দেখেছিলেন তিনি। তাঁর ঘরে অন্যান্য দেবদেবীর পাশাপাশি খ্রিস্টের ছবিও থাকত। আর এক ভারতীয় খ্রিস্টান ভক্ত তাঁকে দেখতে এসেছিলেন কাশীপুরে— তাঁর গভীর বিশ্বাস ছিল, যিশু এবং শ্রীরামকৃষ্ণ এক।
২৫ ডিসেম্বর দিনটি শ্রীরামকৃষ্ণ-ভাবধারায় বিশ্বাসী
মানুষজনের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয়। ঠাকুরের দেহত্যাগের পর স্বামীজি (তখন
নরেন্দ্রনাথ)-সহ তাঁর বারোজন শিষ্য আঁটপুরে এসেছিলেন। ধুনি জ্বালিয়ে তাঁরা নিজেরাই
সন্ন্যাস নিয়েছিলেন বড়দিনের আগের রাতে। শ্রীরামকৃষ্ণের বারো জন সন্ন্যাসী
সন্তানের সঙ্গে তুলনা করা হয় যিশুর ‘twelve apostles’-এর। স্বামী বিবেকানন্দ খ্রিস্টধর্মের পাপ ও নরকের তত্ত্ব মানতে পারতেন না— এসব আসলে
মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য পাদ্রিদের সৃষ্টি। কিন্তু ঈশ্বরপ্রেরিত, করুণা ও ত্যাগের
প্রতিমূর্তি রূপে খ্রিস্টের প্রতি তাঁর গভীর
শ্রদ্ধার কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন বক্তৃতায়--
বলেছেন, যিশুর সমকালে তিনি
উপস্থিত থাকলে চোখের জল দিয়ে নয়, বুকের রক্ত দিয়ে তাঁর
পা ধুইয়ে দিতেন।
ভগিনী
নিবেদিতা শ্রীমা সারদার মধ্যে মা মেরির রূপ দেখেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ-বৃত্তের সূত্র ধরে যিশুর এক
প্রেমময়, উদার ভাবমূর্তি বাঙালি সমাজে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে
রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে যিশু ধরা দিয়েছেন মানবধর্মের অন্যতম দিশারী এক মহাপুরুষ
হিসেবে। তাঁর কথায়, “যিশু চরিত্র আলোচনা করিলে দেখিতে পাইব, যাহারা
মহাত্মা, তাহারা সত্যকে অত্যন্ত সরল করিয়া সমস্ত জীবনের সামগ্রী করিয়া দেখেন,
তাহারা কোনো নতুন পন্থা, কোনো বাহ্য প্রণালী, কোনো অদ্ভুত মত প্রচার করেন না।
তাহারা অত্যন্ত সহজ কথা বলিবার জন্য আসেন।” বাহ্যিক আচারে নয়, ধন-সম্পদের
উপচারে, আড়ম্বরের পূজায় নয়, মানুষের অন্তরের পবিত্রতায় ঈশ্বরকে খোঁজার কথা যীশু
বলেছিলেন। রবীন্দ্রনাথকে
গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল এই বাণী, ‘এইভাবে স্বর্গরাজ্যকে যিশু মানুষের অন্তরের মধ্যে
নির্দেশ করিয়া মানুষকেই বড়ো করিয়া দেখাইয়াছেন। তাহাকে বাহিরের উপকরণের মধ্যে
স্থাপিত করিয়া দেখাইলে মানুষের বিশুদ্ধ গৌরব খর্ব হইত। তিনি আপনাকে বলিয়াছেন মানুষের পুত্র। মানবসন্তান যে কে তাহাই তিনি প্রকাশ করিতে আসিয়াছেন।’ (খৃস্ট: যিশুচরিত)
যিশুখ্রিস্টের
নিঃস্বার্থ প্রেমের বাণীও রবীন্দ্রনাথের প্রেমভাবনার খুব কাছাকাছি। বাইবেলে বলা হয়েছে, “প্রেম চির সহিষ্ণু, প্রেম মধুর,
ঈর্ষা করে না, প্রেম আত্মশ্লাঘা করে না, গর্ব করে না, অশিষ্টাচরণ করে না,
স্বার্থচেষ্টা করে না, রাগিয়া ওঠে না, অপকার গণনা করে না, অধার্মিকতায় আনন্দ করে
না, সত্যের সহিত আনন্দ করে— প্রেম কখনো শেষ হয় না।” (নিউ টেস্টামেন্ট: ১, করিন্থিয়ান্স-১৩: ১-৮)।
রবীন্দ্রনাথও
বলেছেন প্রায় একই ধরনের কথা— “মিলনের মধ্যে যে সত্য,
তাহা কেবল বিজ্ঞান নহে। তাহা আনন্দ, তাহা রস স্বরূপ, তাহা প্রেম। তাহা আংশিক নহে
তাহা সমগ্র কারণ তাহা কেবল বুদ্ধি নহে, তাহা হৃদয়কেও পূর্ণ করে।… মিলনের যে শক্তি, প্রেমের যে প্রবল সত্যতা,
তাহার পরিচয় আমরা পৃথিবীতে পদে পদে পাইয়াছি। পৃথিবীতে ভয়কে যদি কেহ সম্পূর্ণ
অতিক্রম করতে পারে, বিপদকে তুচ্ছ করিতে পারে, ক্ষতিকে অগ্রাহ্য করিতে পারে,
মৃত্যুকে উপেক্ষা করিতে পারে, তবে তাহা প্রেম। স্বার্থপরতাকে আমরা জগতের একটা
সুকঠিন সত্য বলিয়া জানিয়াছি, সেই স্বার্থপরতার সুদৃঢ় জালকে অনায়াসে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করিয়া দেয় প্রেম।” (ধর্ম/ উৎসব,৭-৮)।
শান্তিনিকেতনের
পৌষমেলার সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছিলেন বড়দিনের উৎসবকে। যিশুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
থেকেই লিখেছিলেন ‘মানবপুত্র’, ‘শিশুতীর্থ’-এর মত কবিতা। ‘একদিন যারা মেরেছিল তাঁরে
গিয়ে’ গানটি তিনি রচনা করেন খ্রিস্ট-উৎসব উপলক্ষে, ১৯৩৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর। পরের
দিন শান্তিনিকেতনে বড়দিনের উৎসবে গানটি গাওয়া হয়, অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেছিলেন
অ্যান্ডরুজ সাহেব। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকায় কবির মন ভারাক্রান্ত হয়ে থাকত প্রায়ই। যারা যীশুকে
ক্রুশবিদ্ধ করেছিল, তারাই এ যুগে ক্ষমতালোভী যুদ্ধবাজ হয়ে দেখা দিয়েছে— এই বক্তব্য
নিছক বড়দিনের আনুষ্ঠানিক মেজাজ ছাপিয়ে গানটিকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে। ‘আজি শুভদিনে’ বা ‘সকাতরে ওই কাঁদিছে’ গানগুলি
খ্রিস্টসংগীত নয়, ব্রহ্মসংগীত হিসেবেই লেখা, কিন্তু পরম ঈশ্বরের উদ্দেশে নিবেদিত
এই পূজা পর্যায়ের গানগুলিতেও অনেকখানি খ্রিস্টীয় ভাবনার আভাস মেলে।
রবীন্দ্রনাথের জীবনে একটি বিশেষ ঘটনার কথা এই প্রসঙ্গে না বললেই নয়। কবি তখন লন্ডনে। এক সন্ধ্যায় রোটেনস্টাইনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে ‘গুরুদেব’কে নিয়ে তপনমোহন চট্টোপাধ্যায় চললেন ‘জন’ নামে এক স্থানীয় দোকানির স্টলে কফি খাওয়াতে। রাত তখন অনেক। স্টল, রাস্তা প্রায় জনহীন। দূর থেকে ‘গুরুদেব’কে আসতে দেখে “জন হাঁটু গেড়ে মাটিতে নিল ডাউন হয়ে বসল। তার দুখানা হাত একত্র জোড় করা।” অস্বস্তিতে পড়ে কবি দ্রুত সরে গেলেন সেখান থেকে। পরে সেই জন বলেছিল তপনমোহনকে, “চ্যাটার্জি আমার জীবন ধন্য। করুণাময় লর্ড জীজস ক্রাইস্ট দূর থেকে আজ আমায় দর্শন দিয়ে গেছেন।” ('স্মৃতিরঙ্গ')
রবীন্দ্র-উত্তর কালেও বাংলা সাহিত্যে, গানে, চলচ্চিত্রে বারবার এসেছেন যিশু। নজরুল তাঁর একাধিক কবিতায় যিশুর উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে ‘বড়দিন’ কবিতায় উঠে এসেছে তাঁর প্রতিবাদী, সাম্যবাদী চেতনা— পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ শাসক গোষ্ঠী যেভাবে দেশের দরিদ্র মানুষকে শোষণ করে ‘বড়দিন’-এর উৎসবে মেতেছে—তা দেখে স্বয়ং খ্রিস্ট কেঁদে ওঠেন! তারাশঙ্করের ‘সপ্তপদী’, ‘কান্না’র মত উপন্যাসে মানবপ্রেমিক খ্রিস্টের প্রতীক হয়ে ওঠেন কখনও সন্ন্যাসী হয়ে যাওয়া কৃষ্ণেন্দু, কখনও অনাথ শিশুদের আশ্রয়দাতা বাঙালি খ্রিস্টান ফাদার। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের কিশোর-উপন্যাসেও এ জাতীয় চরিত্রের আনাগোনা। সুবোধ ঘোষের ‘চতুর্থ পানিপথের যুদ্ধ’ গল্পে খ্রিস্ট হয়ে ওঠেন নিপীড়িত প্রান্তিক মানুষদের ভরসা-- রুননু হোরো বলে, তাদের ‘বিরসা ভগবান’-এর চেহারা ছিল “যিশুখ্রিস্টের মত”। লীলা মজুমদারের গল্পে অবিবাহিতা, মাঝবয়সী খ্রিস্টান নার্স মাতৃত্বের স্বাদ পান হিন্দু পরিবারের পরিত্যক্ত এক শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে, বলেন- “আজ যিশু আমাদের ঘরে এসেছেন!” নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতায় উদ্যত ট্রাফিক থামিয়ে দিয়ে রাজপথ পেরিয়ে যায় পথশিশু-- ‘কলকাতার যিশু’। ‘সপ্তপদী’র চলচ্চিত্রায়নে মন্দিরের ঘণ্টায় মিলে যায় গির্জার বেল, সন্ন্যাসী কৃষ্ণস্বামী-রূপী উত্তমকুমারের মুখে ফুটে ওঠে খ্রিস্টের আদল। ‘সিস্টার’ ছবিটি বাঙালি দর্শক ভুলতে পারবে না, বিশেষ করে সলিল চৌধুরীর সুরে ‘বিশ্বপিতা তুমি হে প্রভু’ গানটি। বাংলায় ক্রিসমাস ক্যারলের ধাঁচে গান বললে আরও মনে পড়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘শোন শোন গল্প শোন’(ছায়াছবি ‘চেনা অচেনা’), ‘সূর্যের রক্ত’ (ছায়াছবি ‘অসাধারণ’)। আবার ভোলা ময়রা যখন অ্যান্টনিকে বলেন, “তোর কি ইষ্ট কালীকৃষ্ট, ভজ গে তুই যিশুখ্রিস্ট”, অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি জবাব দেন তাঁর গানে-- ‘ঐহিকে সব ভিন্ন ভিন্ন অন্তিমে সব একাঙ্গী”। এভাবেই, কলকাতার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা অ্যাংলো-বাঙালি খ্রিস্টানদের মতই যিশু আমাদের কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন, মাদার টেরেসা আপন হয়ে ওঠেন, বাঙালির বড়দিনের সঙ্গে জড়িয়ে যান নাহুম সাহেব আর বো ব্যারাকের সান্তা ক্লজ-সাজা প্রবীণ, পার্ক স্ট্রিটের বেহালাবাদক। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের তালিকায় অনায়াসে জায়গা করে নেয় বড়দিনের উৎসবও।
নাহুম সাহেবের কেক অবশ্যই বড়দিনে বিকোয,কিন্তু নাহুম নিজে যে সম্প্রদায়ের তাদের সঙ্গে যীশুর ভক্তদের তো জন্মবিরোধ!
উত্তরমুছুন