শুক্রবার, ১২ নভেম্বর, ২০২১

পায়েল দেব

 

কবিতার কালিমাটি ১১২


সখা

 

দুপুর থামিয়ে গাছের ছায়ায় বসি

এখান থেকে অতীত দেখা যায়

 

শিশুটি

বাথরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে

একটু পরেই স্নান সেরে মা বেরোবে

চুল গড়িয়ে পড়বে আঁকাবাঁকা জল

শ্রীকে জড়িয়ে ধরছে সুদামা

 

এই আগুন গরমে কাউকে জড়াতে ইচ্ছে করে না আর।

 

নিরাকার


বহুদূর বিস্তৃত ঘর. মানুষ শোক ফেলে যেত। এখন ভালোবাসা ফুটেছে, আশাবরীর সুরের মতো বিভা।কিছু শিশিরপাত বিছিয়ে আমরা শুতে যাই। দেখি দুটো হরিণ জিভে চেটে নিচ্ছে অসুখ। আমাদের ভাঙা পা দিব্বি জোড়া লেগে  গেছে। হেঁটে পেরিয়ে যাচ্ছি ঘরের বিস্তৃতি। পেছন পেছন ক্রমে লম্বা হচ্ছে হরিণের ছায়া।

হা করে দেখছি ঈশ্বরের অবতার-

কিছু গাছ নদী হয়ে যাচ্ছে

কিছু দুঃখ বেড়ালের মতো

কিছু কাক বিধবা-সাদা

 

চারপাশে পাথর

পাথর ঢুকছে আমাদের ভেতর

আমরা ঈশ্বরের মতো শক্ত হয়ে যাচ্ছি

 

সুনির্মল

 

রাধে

সাবধানে রেখো তব প্রেমিক আগুন

সাবধানে রেখো তব আত্মদহন

 

না হয় মধুরাত, বৃষ্টিহীন মেঘদূতসম, নগ্ন অন্ধকারে

তারার জোনাকি, ঝলমল।

তবু পতঙ্গজীবন

তোমার বিষাদের কাছে রাতদিন

জল ও অগ্নির সূঁচে

মিনাকারি করে দেয় হলুদ আঁচল

সকল রকম স্খলন শেষে মুছে দিতে সুখ,

বেমালুম উলঙ্গপনা

 

বোধের অর্জন শেষে সবই নির্মল, পুণ্যতোয়া নিরবধি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন