কবিতার কালিমাটি ১১১ |
বাংলা
কবিতা এক চলচ্চিত্রের নাম
(১)
অন্ধ যে জন - সে কবিতা
খোঁজে।
তোমার, আমার আর কবিতার
মধ্যে এসে পরে,
কিম্বা এই কোপাই নদীর
তীরে
আর এভাবে সহজ লুডোর চালে
১ থেকে ৬ পর্যন্ত বাংলা কবিতা যায় গড়িয়ে।
বাংলা কবিতা রাখ তুলে,
ফেল শৌর্য ঝেড়ে
দূর থেকে ছুটে আসে ছেলে,
সামনে রাখা দীঘি জলে
লাফ দেবে বলে, ক্যামেরা
যায় থেমে।
(২)
বাংলা কবিতা এখন নাম
রেখেছে - মাধবীলতা
অথচ তিরতিরিয়ে বেড়ে উঠেছে
একমগ জলে
এ ভাবে ৫টা থেকে ৬টার লাইনে, রেশন কলে।
আর আমরা যারা খোঁজ করছি
তারা কেউ দুদণ্ড বসে চা খায়নি
অথচ অজস্র কাগজ সারাদিন
ধরে উড়ে চলছে ব্ড় রাস্তার মোড়ে।
এরকম একটা প্যাথিটিক
সিচুয়েশনে দেখা দিচ্ছে,
মিলিয়ে যাচ্ছে, আর কখন
বা হাত নাড়ছে – বাংলা কবিতা।
(৩)
অক্ষর যাপন শেষ হলে লেখা
থাকছে ‘ফুল ব্রাইট’
গাছের পাতার সুত্রে যেমন
লেখা থাকে কলতলার ভোর
নামের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে
বাংলা কবিতা রোজ।
আর প্রশ্ন করছে মানুষের
সেরা সাফল্য কী?
প্রতিরোধ না কি বিজ্ঞান?
এসব প্রশ্ন করলে
প্রতিবন্ধী মেয়েটির কথা
মনে পরে যায়, যে উপরে খাবার রাখে আসত।
এরকম ভাবেই এরকম করেই
তোমার আমার মধ্যে
এক সমুদ্র জল নিয়ে বাংলা
কবিতা রোজ এসে বসত।
(৪)
অযুত-নিযুত শব্দ হচ্ছে
চিতামগ্ন হচ্ছে আগুন
র্যাপারে র্যাপারে
লুটিয়ে গেল বাংলা কবিতা
ক্যামেরা নিয়ে এগিয়ে
চলছে তথ্যচিত্রের সকাল
তবু সরল হচ্ছে না ঘুম।
পৃথিবীর ভারে পৃথিবী
নুয়ে পড়ে যায়।
খই ছড়াতে ছড়াতে তাকে
সান্দ্র কর
অনন্ত শব্দ-কল্প-দ্রুম।
(৫)
“কালকে নতুন করে ছবি
হবে”
আশে পাশের মেঘেরা চিৎকার
করে বলে।
তখন বাংলা কবিতাকে দেখি
- চুপ করিয়ে দাঁড়িয়ে,
দীর্ঘ হয় তার বিকেল।
এক শিবির থেকে অন্যতে
বিক্ষিপ্ত হাওয়ার মত
যায় ছিটকে।
সন্ধ্যে হয়ে আসে, পাশ
থেকে অকিঞ্চিৎকর ভিড় থেমে যায়
বাংলা কবিতা দাঁড়িয়ে
থাকে দেবদারু সারিতে,
মিথেন আলোকবর্ষে, নক্ষত্রলোকে।
অযুত-নিযুত শব্দ হচ্ছে
উত্তরমুছুনচিতামগ্ন হচ্ছে আগুন
র্যাপারে র্যাপারে লুটিয়ে গেল বাংলা কবিতা
ক্যামেরা নিয়ে এগিয়ে চলছে তথ্যচিত্রের সকাল
তবু সরল হচ্ছে না ঘুম।
পৃথিবীর ভারে পৃথিবী নুয়ে পড়ে যায়।
খই ছড়াতে ছড়াতে তাকে সান্দ্র কর
অনন্ত শব্দ-কল্প-দ্রুম।