কবিতার কালিমাটি ১০৮ |
আবহ
বৃষ্টি ছুঁয়েছে বৃক্ষ পায়ে, তার চারদিকে অসম্ভব অস্তিত্বের গন্ধ; জীর্ণ থেকে অববাহিকায় সবুজ উল্কি : একটি সুদূর আলোকরেখার দিকে তাকিয়ে দলছুট ভেজা বকটির পালক খসে পড়ে মাটিতে – বাতাসে মিশে যায় ঋতুকাল, কোনো গ্রন্থন নেই – সন্নিকটে অক্লান্ত রাস্তা – ঘন মেঘ গলে নেমে আসে অবিরল নরম স্নিগ্ধায়
অনন্ত প্রশ্নের
অনুষঙ্গ খুঁজতে থাকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত
ইশারা
মাটির ইশারা থেকেই যত ছায়া, আন্দোলিত ভিজে হাওয়ায় অহং ছিল অনিবার্য – সে নিঃশব্দে হাসে কথা বলে দুঃখ পায় – চাঁদের শস্য নিয়ে আশ্রয় নেয় রঙের প্যালেট : নদীর এ পারে নুয়ে পড়া পুরুষটির হাতে শুকনো ফুলের পাঁপড়ি তৎসম হয়ে ওঠে, ফুটতে থাকে দূর্বা ধান বিভাষ – রিমঝিম শব্দের কাঁপনেরা পরিধি বাড়াতে বাড়াতে বৃত্ত হয়ে যায়
ছেদহীন পদ্ম
আঁকতে আঁকতে জলে ভাসে মুক্তির মাধুকরী
অবয়ব
দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে নাভি থেকেও, যেভাবে নৌকা ভেসে যায় ইথারে – কপালের ভাঁজ ছুঁয়েই পিছলে যায় বাষ্পধূসর শূন্যের দিকে – কমে আসে চিন্ময় সুঘ্রাণ – স্পেস বুকে বাজে জলীয় যাপন : আঙুলের ডগায় সোঁদা মাটির দাগ – বহুদূর থেকে দেখা নদীর পাড়ে শ্মশানের ছায়াপথ, বিজারিত হতে হতে আগুন শুষে নিই অজানা অমায়
মায়ার নিশ্বাস
থেকে অভিযোগহীন সমস্ত বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে শ্বেতচন্দন
ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনশ্রদ্ধা অশেষ।
উত্তরমুছুন