সমকালীন ছোটগল্প |
মায়াঅলিন্দ
জীব জগতের দু'টো দিক। অন্ধকার আর আলো,
সকলের টানটা আলোর দিকে দেওয়ালি পোকার মতো। পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ, দিক বদলের ভ্রমণ।
আলো অন্ধকার।
চরাচর অন্ধকার হলে তুমুল উলঙ্গ হয়ে
উল্লাসে মেতে ওঠে। ঘনঘোর ঘটা বাদলা মেঘের অন্ধকার হলে তো কথায় নেই। জীব মাত্রেই আবরণ
হীনতায় সুখি। বিপরীত লিঙ্গের হিংস্রতায় বিস্তোরস্থান,
অকুণ্ঠ অকুতোভয় আর সম্ভব হয় না। এখন তো আলোতেও অর্ধনগ্ন চারদেয়ালের আড়ালে ময়ুর
ময়ুরীর উদ্দাম নৃত্য প্রজন্মের তরে। বেজায় অন্ধকার লাগে স্বপ্নের আনাগোনায়। যত ঘুটঘুটে।
স্বপ্নের ঝাঁকামুটে। উলঙ্গনাপ্পন্, ভালো মন্দ
ছায়ারাও এমনই শুভ্ক্ষণে। ‘এসো এসো আমার ঘরে এসো... আমার ঘরে... বাহির... যে আছে...
অন্তরে... আমার ঘরে’। শব্দহীন খলবলি মাচাই। রাত আকেলি বুঝ্ গই বাতি। বিদ্যুতের ঝিলিক
মারলেই সব যেন ভোঁ ভাঁ। ‘আলো আমাদের সয়না…’
স্যাঁতস্যাঁতে ভিজে গলিপথেও আঁষটে অন্ধকার
গন্ধে রন্ধ্রে রন্ধ্রে। কিছু ছায়া অন্ধকারে পরিস্ফুট, কিছু আলোআঁধারিতে। অন্ধকারের
আকাশের অনন্ত অবসর অহংকারী ছাদের মতো, আগলে রাখে অন্ধকারের জীবন। আমরাও এরকম অন্ধকার
বদগন্ধের গলির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাঁচি কিনা। মুখে বলতে চাই না ভয়! সমাজ ভয়ানক ভয়ঙ্কর
নখ দাঁত, লাল পিলা চোখ। আর ঢুঁসিয়ে দেওয়ার মতো ধারালো খড়্গ। বেশ্যার বেহায়ার মতো
নিকষ্ মায়াবী সুন্দরের ছ্বটা, পাতায় পাতায় শাখা প্রশাখায় অমানিশার অনন্য কোলাহল,
বাজনদার গাজনদার নিঃশব্দতার অঙ্গভঙ্গি। উড়ন্ত স্বপ্নচরা সুউচ্চ বিথির মগডালে ঘাই মারে
রাতজাগা বাদুড় পেঁচার মতো মন্ত্রপুতঃ। মন্ত্রের মতো সংস্কৃতে কথা বলে নৈশব্দের অনঢ়
ঘেরাবন্দে। অন্ধকারের ক্ষমতা না; অনন্ত। সময় কাল এগিয়ে আনা পিছিয়ে দেওয়ার শক্তি
অটুট। সিনেমার ফ্ল্যাসব্যাকের মতো অত্যধুনিক নয়, প্রাচীন। যত অন্ধকার ততই ভালোবাসা
শরীরী অথবা অশরীরী ভাগ্গিস শব্দধরা যন্ত্রমন্ত্র। আকাশ গাছটায় ঢিল ছোঁড়াই পাখিপাখলা
ছাড়াও দুএকখানা উজ্জল তারা। হাতে করে করে বারাঙ্গনা মাথায় গুঁজতেই ঝিকমিক আবছা আলো,
খোঁপা পর্যন্ত। উলঙ্গ শরৎএর আলিঙ্গনরত শরীর। অন্ধকার তৎসহ কুয়াশা। খুব স্বল্পভাষ মনোনিবেশ।
"সুরা সুন্দরী না হয় রুটি পরোটাই হলো।
কিইবা আর দৈনিক দিয়া যায়?"
সে লোলুপ স্তনাগ্রের বৃন্ত নাসিকা গব্হরে
প্রবেশ করাতে ব্যস্ত, ঋতুকানির যে এ্যামনিয়া গুলিস্তান। এত অন্ধকার অন্যত্রে বিচরণরত।
নারী তার বৃন্তকে সরু করে দুই নাসিকা গব্হরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। জোর হাঁচি। ঠিক
সেই মুহূর্তে রাতচোরা কোকিলের কুহু কুহু। স্তনশেকড়হীন
হয়ে যায়। আরো অন্ধকার ঘনাই "কি খাবে বল"। "যকৃত" আর "কোলজে্"
উদর ভূধর হতে বহিরঙ্গে "বেশ তো খেয়ে
খাইয়েই তো রত্নধন সাতরঙা রামধনু। মৈথুন শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার নয় তার আনন্দ
সুখ সরবরাহ্ ও করে। হয়ত জৌলুস ঝলসানো প্রকৃতি, বিস্তারের সক্ষম প্রথম পদক্ষেপ, নির্মাণের জন্য
আয়োজন এত। সুরার অসূর জোরের আস্ফালন আর অন্ধকার।
সুতরাং যৌনাসুর, সেও অন্ধকার হাতড়ে
খুঁজে পেতে পেড়ে তেড়ে সুখচর থেকে সৌচঘরণির অন্ধকার ধোয়া স্রাবপাত্ অন্ধকারেই প্রাণপণ
হালঢাল অন্ধকার শীৎকার, কাড়ার নিঃশব্দ হেঁসুঢ় ঠেলা জোয়ার ভাটা মুহুর্মুহ আর্ত আর্তনাদ।
বাঁটের ঘুঁন্টুক অঙ্গার পাহাড় চূঁড়ার যন্ত্রণার
অগ্নিউৎপাত। আসে না কেউ ঘাঁটাতে।
লাল ভাঁটার মতো জ্বলন্ত চোখে লক্ষীপেঁচা
অসভ্যতা তারিয়ে তারিয়ে সুখিয়ে উঁকি ঝুঁকি।
অন্ধকার চরাচর রাতচরা জীবেরা অন্ধকারের রাজা। এত অন্ধকার অসংখ্য মসৃণ নগ্ন প্রাণ ট্রিপলারের
চোঙ্ বেয়ে ভেতরে তরলাবৎ, গড়িয়ে গড়িয়ে পড়া কল্পনার আকার আবার নিরাকার। নির্বিকার
উভলিঙ্গের সাক্ষীগোপাল মহিমা। আরাধ্য মানব প্রতীম সময়ের চাহিদায় অন্ধকার মধুচন্দ্রিমা।
সাগরে মাগুরে ল্যাঠারে ঠেলায়। ফেনিল শীৎকার আদ্যপান্ত নারী না হয়ে হয়! পারিযায়ীদের
সুখেল্ খেলা, খেলার ঘর জন্নৎ সাতওঁয়া আশামান মর্দান্ ময়দান। বঙ্গোপসাগর টু আরবসাগর
ফাঁই ফাঁই অনৃজুরেখ্ সেই অন্ধকার অন্ধকার আর উলঙ্গ অন্ধকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন