বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

হামিদুল ইসলাম

 

কবিতার কালিমাটি ১০৮



ছায়া

 

ঈশ্বরীকুঞ্জ থেকে গড়িয়ে পড়ছে

কৃষ্ণ লাভার দেশ

ছায়ার হাত ধরে পেরিয়ে যাচ্ছি বিষণ্ণতার প্রান্তর  

হিসেবের খতিয়ান খুলে দেখি অথৈ শূন‍্যতা

 

জীবন ভাঙছে নদীর ঢেউয়ের মতো

ভাঙছে দেশ

বিকেলের টেবিল উৎসবে মন খারাপের বৃষ্টি ঝরে

ঝরে পড়ে অসৎ ছন্দের অন্তর্বাস

 

কথার মধ‍্যে জন্ম নেয় অসুস্থ কথকতা

স্বপ্নের গভীরে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধে শরীর সঙ্গম। বিদেহী আত্মকথন

তবু বিরুদ্ধ স্রোতের মুখে উঠে দাঁড়াই প্রতিদিন

 

জীবন এখনো ভাঙে। ভাঙে অদৃশ‍্য ছায়ার হাতে

ছায়ারা স্বার্থপর চিরদিন

হাতের আঙুলে আঁকি সময়ের কলতান। কিছু রঙচটা মায়া

 

শূন্যতা  

 

চলার ছন্দে এখন হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি

পেরিয়ে যাচ্ছি ত্রিকোণভূমি মজলিস শহর জঙ্গলমহল

জঙ্গলমহলে এখনো উৎসব

মাটির ঢিবিতে দাঁড়িয়ে আছে শহীদ শালকু সরেণ

চেতনার প্রহর ভাঙছে রক্তনদী

আমরা তবু শালকু সরেণদের পুষে রাখি অবাধ‍্য ঠোঁটে

বুকের উপর আঁকি নির্জন দুপুর

খণ্ড খণ্ড বিষাদে ভরে ওঠে রাতের উঠোন

উলঙ্গ দাসত্বের জ্বালায় পুড়ে যাচ্ছে পিঠ

ফাঁকা বাজার। শিরদাঁড়া বিক্রি নেই এখানে আর

দুহাতের মুঠিতে কান্না গড়িয়ে পড়ছে রোজ

আকাশ জুড়ে কেবল শূন্যতা   

 

সূর্য শিকার

 

কারা যেন পৃথিবী পোড়াচ্ছে

পুড়িয়ে দিচ্ছে ইতিহাস

পুড়ে যাচ্ছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কথকতাও

 

ভ্রূণের শরীর জুড়ে আগুন।

পুড়ে যাচ্ছে জীর্ণ বর্ণমালার বসতি আঁকা স্বপ্ন

 

তবু বেজন্মা পৃথিবীর খুনে জেনে নিই রক্তযাপন

 

ঈশ্বরও পুড়ে যাচ্ছে

পুড়ে যাচ্ছে মেঘেদের শরীর

 

নৈর্ঋত বাতাসে ঘনায়মান পৃথিবীর বিপদ

একান্ত ইষ্টনামে প্রর্থনা করছি আমরা সবাই

কান্নারা ভেঙে দিচ্ছে নিস্তব্ধ পাহাড়ি ঘুম

 

খাদানে ডুবছে মৃত সূর্য


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন