বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

তৌহীদা ইয়াকুব

 

কবিতার কালিমাটি ১০৮



পাহাড়ি  অনার্য  সংসার

 

সমতলের অনেকটাই ভান

পাহাড়ের উপর ধ্যানী বিস্তার দেখি,

অনার্য যুবক দল পিঠে বয়ে নেয়া বসন

সংসার সমান ভায়োলিন।

 

মন্দাকান্তা ছন্দের একটা পুরো স্তর সরিয়ে

ওরা দিন শেষে ফিরে যাবে প্রেমিকার হাত ধরে

শিশুর গন্ধ মাখা ভনিতাহীন

শরীরবৃত্তীয় সূতিকাগৃহে।

শীতের বুট জুতো থেকে ঝেড়ে নেবে

পাহাড়ি শিশির।

সুগন্ধি মোমের নরম আলো ছড়িয়ে তখন

সান্ধ্য টেবিলে নেমে আসে

দ্রাক্ষার নির্যাস ব্রততি ঠোঁটে।

আটপৌরে আয়োজনে বাগেট, চিজ, স্যূপ

ধূমায়িত নেশায় শ্রান্তিতে

গীর্জার ঘন্টাধ্বনি ত্রিধা হয়ে মিলিয়ে গেলে

গহিনে জেগে উঠে

কস্তূরী মোহাবিষ্ট বন্য হরিণীর শীৎকার।


হে অগ্রজ

 

এতটা অব্যবস্থাপনা ভাবিনি

অবহেলাও হতে পারে,

আজকাল দুরূহ সবকিছু বুঝে উঠা

জেনেছে মানুষ।

 

আমাদের মহার্ঘ্য আবেগের

গুল্ম-বৃক্ষচয় সমুলে সামনে ধরে বলি

হে অগ্রজ -

আদুরে সোনাঝুরি আলোর নিচে

অনতিতরুণ কবি সাজিয়েছে

নির্জন প্রহরের হিরম্ময় আবেগ,

তারে তুমি পড়ে নিতে পারো।

 

পুনরপি ভেবে নেয়া ভালো,

তাচ্ছিল্ল্যের উন্নাসিক আততায়ী রিপু

এনে দিতে পারে

উঠতি গল্পের মর্মান্তিক সীমা।


নিস্তরঙ্গ

 

একটা নিস্তরঙ্গ অপরাহ্ণ

তরঙ্গের আসা আবার মিলিয়ে যাওয়া

অপলক দেখার কিছু নেই এই অনুজ্জ্বল দিনান্তে

তুমি ভুলে গেছো ভেবে যে কস্ট প্রতিদিন নির্জনতা খুঁজে

তারও এক সহনশীল অর্থ এনে দেবে

নৈর্ব্যক্তিক অন্ধকার।


একদিন ঠিক সয়ে যাবে

 

একদিন সব ভুলে গিয়ে

নিজেস্ব দিন-রাতের ভেতর ঢুকে যাওয়া যাবে।

 

মোহগ্রস্থ শব্দ সে বৃষ্টির বা সুরের

তাতে ভিজে যাওয়া এক বিলাস

অভিঘাতহীন দুর্বোধ্য ব্যঞ্জনা মিশে আছে।

এভাবে ঘোরগ্রস্থতায়

নষ্ট হয়ে যাওয়া গৃহ -শান্তির পারাপারে

অলৌকিক উপকথার মতো

দেখা হোক প্রেমে ও বাসনায়।

 

যাপন যদি শুধু চলে যাওয়া হয়, তবে

আজো সেই পুরনো পথে

কেন আর ফেলে যাওয়া পদচিহ্ন খোঁজা!



 

 

 

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন