সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

স্বপন রায়

 

কবিতার কালিমাটি ১০৭


পাশের বাড়ির ছেলে পিল্টু 

                      

(৫)

 

ছায়া পড়ছে আর তাতে কাঁচা চোখের ছিটে

                  দিঘি নয় পুকুর

তো ছোট ছোট ঢেউ বুকে আগলে যারা যায়

                       তারা বড় হয়

পিল্টুকে বড় করে

সাঁতার শেখে পিল্টু, জলে চাপ দেয়, নাড়া দেয়

                    ভাসিয়ে দেয় পোষাক টোষাক

 

চৌকি

সুলভই

শুয়ে আছে

পূরবী

পিল্টুকে কবিতা না, গান শোনায় কে যেন

 

(৬)

 

পিল্টুর অবিবাহিত চাঁদ ছিল

চাঁদের বোতাম ছিল না

নেই বলে

চাঁদের গায়ে টিপ দেয়ার বাহানায় মুখ আর বুকে সেকী জনজাগরণ

 

কলঙ্ক হচ্ছে পিল্টুর দৃশ্য

দৃশ্যে পিল্টুর বন্ধু একটা গান গাইছে, সুষম জ্যোৎস্না

আলো ভাঁজ করা অন্ধকারে

কলঙ্ক এল অন্তরায়, বোতাম ছিলনা চাঁদের আর বন্ধুও বিবাহিত

বাঁশি

বেহালা ছাড়িয়ে কোজাগরী একটি পূর্ণিমায় বাহিত প্রভাতেশ্বরীর দিকে

বোতাম কিন্তু ছিলনা চাঁদের

পিল্টুর চেন

আর খুব জোরে টানায় তার ফাইন হয়েছিল ১০০০ টাকা

 

 চাঁদ ছিল, অবিবাহিত পিল্টুর

 

(৭)

 

হামলা

আর নবজাগরণ

যেন আর হাঁটবে না পাশাপাশি তাই হাঁটছে

শহরে ভোট এল

লম্বা কারশেডের ছাদে কাঁইকিচির বৃষ্টি

বাচ্চু একটা চরিত্র

নেশা করেই কিছু বলে কিছু গায়

কিছুই হয় না আর

 

কারশেডের ছায়া লম্বা আর ঘুমঘোরে থাকা বাচ্চুর নেশাও

পিল্টুর দোষ নেই

আড়ালে ঝুঁকে পড়া গাছের জন্য, কীটনাশকের জন্য

একটা লাইন

সলতে হওয়ার আগেই নেশার খোঁজে চুলবুল

 

পিল্টু বাচ্চু নয়, বাবা মা আছে, কলেজে পড়ে

ভোট দেয়

ঘোড়া আর ডিমের সমীকরণকেই দেয়

 

বাচ্চু আর পিল্টু এই নামদুটো আজ থাক

বন্ধুদের নাম নিতে নেই...

 

(৮)

 

সীমান্ত পেরিয়ে গেলে কী কী হতে পারে

পিল্টু, জনাব

ফুলের তোড়া, গুলদাস্তাঁ

দু দিকের জওয়ানরা খুব পছন্দ করে

কিন্তু ফুল একটা বিস্ময়

বা ‘গজব’ হয়ে ওঠে

ধাতব ডগায় লেগে থাকা চাঁদের কাছে

চাউনি যাদের শীতল

যারা লস্যি পেলেই ‘বল্লে বল্লে’

তারা

আর পিল্টু এখন একটা বোর্ডের ওপর দাঁড়িয়ে

কূটনৈতিক ব্রাশ

রাজনৈতিক দেয়াল

হায় যদি কেউ গেয়ে উঠত, শমা হ্যায় সুহানা সুহানা

 

পিল্টুকে মারা হবে কিনা

পিল্টু দাবার বোড়ে হবে কিনা

শ্রীমান পিল্টু

জনাব পিল্টু

এখন মৃদু মৃদু হাসছে

হাসছে থেকে

হাস থেকে ছে থেকে

শূন্য হওয়ার আগে

সত্যিই চাঁদ উঠেছিল গগনে...


1 টি মন্তব্য: