কবিতার কালিমাটি ১০৭ |
আষাঢ়-কথা
আমরা, যারা অশিক্ষিত — আষাঢ় এলে কি আসে যায়?
সেই তো এক পুরনো ছাতা, বিয়েয় পাওয়া
এখন তাতে অনেক তাপ্পি, বদল হাতল
বেপরোয়া শিক — নেশাগ্রস্ত, বেহেড মাতাল
যখন আষাঢ় বেদম নামবে এই মহলে
ঐ ছাতাটাই লটকে দেবো ঘরের চালে
ঘরের মেঝেয় জল থৈ থৈ দরজা ভাঙা
সবই ভিজুক, মাথা বাঁচুক, নইলে অঙ্ক গুলিয়ে
যাবে...
এমন আষাঢ় লিখতে চাই না, লিখতে চাইনি কক্ষণও তা
তবে
এবার আঁতের কথা হোক -
অঝোর জলে মত্ত ব্যাঙের ডাকের জন্যে
শন্দ সরাই, চাদর না পাল্টে শুয়েও পড়ি
এই বিছানায় স্বপ্ন দেখি জাম
কুড়োনোর তোমার সঙ্গে এক উঠোনে
নেশায় তখন মাথা টলটল করে...
এবার কোথায়
কিছুটা উড়ান হলো, কিছুটা হাঁটাও...
পরিভ্রমণে দুরুহ সময় এলে
গুরুত্বপূর্ণ সাদা খাতা খুলে যায় -- দেখি
মিশরের পুরনো ছবি, নীল নদ -- ইচ্ছে হলেই
ছবি সেঁটে সাজানো যায় যে কোন শহর--
চাই শুধু যাদুদন্ডখানি
আর চাই মোহন বাঁশিটি
আমরাও অমাবস্যার গায়ে
এঁকে দিয়েছি বৃত্তাকার চাঁদ
মোড়ল ও পন্ডিতকে দিয়েছি নির্বাসন
বিরল প্রজাতির প্রজাপতি-চাষ মেঘকে দিয়েছি
দেখেছি সূর্য নিজেকে নিজেই পোড়ায়
কিছুটা উড়ান হলো, খানিক হাঁটাও
এখন মুখোমুখি জানতে চাই -- এবার কোথায়?
যাপনচিত্র
এই ঘুমঘুম - জাগরণ খসে যাওয়া...
হঠাৎ দেখছি হলুদ ফুলের বন
ঈশানকোণেতে ছিল না মেঘের ছাপ
তবু নদী কেন 'এইদিকে আয়, শোন'!
সমতলও কি অবতল হতে পারে
ত্রিকোণমিতির কোন ধারা-উপধারা মতে?
আমি তো জেনেছি নদী চলে যায় নীচে
জঙ্গল-পথ পেরিয়ে আকাশে মেশে।
এ আকাশে সাগরের ডাক ওঠে
সে আকাশে রংধনু আঁকা যায়...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন