শুক্রবার, ১৪ মে, ২০২১

নাজনীন খলিল

 

কবিতার কালিমাটি ১০৬


ছবিটা নিখুঁত হয় না

 

আবারো সেই হিমগন্ধের বিভীষিকা, নিঃশ্বাস আগলে রাখা  কালোহাত।

 

মেঘের প্যাস্টেলে আঁকা বহুবর্ণ ছবিগুলো উলটে পালটে দিয়ে

ছুটে যাচ্ছে উন্মাতাল এক মৃত্যুরং ঘোড়া;

কিংকর্তব্যবিমূঢ় লাগাম--

 

সময় কখনো ইজেরের কোমরে বাঁধা ইলাস্টিক ফিতে নয় যে

চাইলেই দীর্ঘ অথবা হ্রস্ব হবে।

তবু

তীব্র জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে কখনো বা ভেসে যাচ্ছে সময়ের কাঁটা!

 

হতাশ্বাসের বিষবাষ্পে ক্রমশ বিবর্ণ হচ্ছে সবুজ পত্রপুষ্পশাখা।

 

হয়ত নিখুঁত আকাশের ছবি চাইছে এক বিফল চিত্রকর।

 

 

শেষ বিন্দুতে

 

শব্দতরঙ্গে কম্পন জাগে।

দূর দিগন্তরেখায় অচেনা এক বর্ণআলেখ্য--

কুয়াশা ভেঙ্গে অঙ্কুরিত হয়ে ওঠে একটা ছায়া অথবা শব্দ।

কোথাও পাতার বাঁশি বেজে ওঠে;

ধ্রুপদী সুরের মীড়ে মিশে আছে

এক অতলান্ত সবুজ ঘ্রাণের মতো নীরবতা;

স্রোতস্বিনী ঢেউয়ের মতো বিলম্বিত এক লয় গড়িয়ে যাচ্ছে

মহাসমুদ্রের দিকে।

 

তুমি নুপুর নও।

নদী নও।

রং-তুলিও নও।

তবু বাতাসে পেন্সিল ঘুরিয়ে এঁকে নিচ্ছো এক শূন্যবলয়

সেই বৃত্তের ভেতরে আরেক বৃত্ত;

এভাবে একটা বিন্দুতেই শেষ। এবং

স্থির।

 

দাগ

 

থাক্‌।

এই দাগ। বোতল উপচে পড়া তরল আনন্দচিহ্ন।

বাতাসে মিলিয়ে গেলে ঘ্রাণ

তলানিতে স্মৃতিঅভিজ্ঞান ফুটে থাক

আরো কিছুটা সময়।

 

ফুল টেনে নিচ্ছে প্রাণপণ গন্ধ, বাতাসের।

মলয়ার অনুতে অনুতে ভিন্ন সুর বেজে গেলে

রঙ বদলে যায় বারবার

তা কি জানে বোকাপুষ্প?

 

রঙপেন্সিল হাতে দাঁড়িয়েছি নোনা দেয়ালের পাশে।

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন