শুক্রবার, ১৪ মে, ২০২১

অভিজিৎ মিত্র

 

সিনেমার পৃথিবী – ৮  




আপনারা অনেকেই নিশ্চয় জানেন যে প্রতি বছর যেমন সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী, সেরা স্ক্রিন-প্লে ইত্যাদিতে অস্কার পুরষ্কার দেওয়া হয়, তেমনি প্রতি বছর সেরা অ্যানিমেশন সিনেমাকেও অস্কার দেওয়া হয়। এবং একটি বিভাগে নয় – দুটি বিভাগে। সাধারণ দৈর্ঘ্যের অ্যানিমেশন সিনেমা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের অ্যানিমেশন সিনেমা। এর ভেতর স্বল্প দৈর্ঘ্যের অ্যানিমেশন মূলত  থিমাটিক হয়, ফলে সব সময় বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ সাধার অ্যানিমেশন সিনেমা সবার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয় – মূলত ফিকশন, এবং দেখবেন বাচ্চারা এইসব মুভি দেখতে খুব ভালবাসে। আজ আমরা প্রথমে এইরকম কিছু অ্যানিমেশন সিনেমা দিয়েই শুরু করব। মাথায় থাকবে বাচ্চাদের উপযুক্ত ছবি। তারপর এই লেখার শেষভাগে আমরা ছোটদের জন্য কয়েকটা হলিউড সিনেমার কথা তুলে ধরব।

তাহলে প্রথমে চট্‌ করে দেখে নেওয়া যাক অ্যানিমেশন ছবি জিনিষটা কী!  অ্যানিমেশনও সিনেমা, কিন্তু এখানে কোন শুটিং দরকার হয় না, অভিনেতা থাকে না, লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন লাগে না। এর পুরোটাই হয় কম্পিউটার গ্রাফিক্সের মাধ্যমে। প্রতি ক্যারেকটার ও সিন কম্পিউটারে তৈরি করা, সেগুলো জুড়ে চলন্ত ভিডিও সিকোয়েন্স করা, ব্যাকগ্রাউন্ড ও কালার – পুরোটাই। এইসব হবার পর নেপথ্য অভিনেতা-অভিনেত্রী দিয়ে প্রতি সিনে ডাবিং করে স্বর জোড়া হয়, ঠিক যে কোন সাধার সিনেমার মত। এই হল অ্যানিমেশন সিনেমা। অর্থাৎ এটাও সিনেমা,  কিন্তু এর ভেতর ইঞ্জিনিয়ারিং বা টেকনিকাল কৌশল দরকার হয় সবথেকে বেশি।

গোটা পৃথিবী জুড়ে অ্যানিমেশন সিনেমা বানানোর প্রচুর প্রোডাকশন হাউস আছে। আক্ষরিক অর্থেই প্রচুর। যারা প্রতি বছর অ্যানিমেশন মুভি বানিয়েই চলেছে। তার ভেতর প্রোডাকশন ও ব্যবসা অনুযায়ী মোটামুটি প্রথম তিনটে যদি বেছে নিই, তারা হল – ১) পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিও (১৯৭৯ সালে অ্যাপ্‌ল কো-ফাউন্ডার স্টিভ জোবস এই কোম্পানি শুরু করেন), ২) ওয়াল্ট ডিজনি অ্যানিমেশন স্টুডিও (১৯২৩ সালে ওয়াল্ট ডিজনি লস এঞ্জেলসে এই স্টুডিও শুরু করেন), ৩) স্টুডিও গিব্‌লি (১৯৮৪ সালে জাপানি পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি এই স্টুডিওয় অ্যানিমেশন সিনেমা বানানো শুরু করেন এবং জাপানি ভাষায় একে ‘গিব্‌লি’ নয়, ‘জিব্‌লি’ ডাকা হয়)। এছাড়াও যে স্টুডিওর নাম না করলে অ্যানিমেশন সিনেমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে, সেটা হল ওয়ার্নার ব্রাদার্স। কার আমরা ছোটবেলা  থেকে যত গাদাগাদা লুনি টিউনস্‌, বাগস্‌ বানি, ডাফি ডাক, আঙ্কল স্ক্রুজ, টম অ্যান্ড জেরি... দেখে এসেছি, সেই স-ম-স্ত অ্যানিমেশন এই প্রোডাকশন হাউসের। এদের প্রত্যেকের অনেক সিনেমাই অস্কার পেয়েছে। আজ আমরা এই চার বড় প্রোডাকশন হাউসের একটা করে অ্যানিমেশন বেছে নেব। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের ‘দ্য আয়রন জায়েন্ট’ (১৯৯৯), গিব্‌লির ‘স্পিরিটেড অ্যাওয়ে’ (২০০১), পিক্সারের ‘ওয়াল-ই’ (২০০৮) এবং ডিজনির ‘ফ্রোজেন’ (২০১৩)

ব্র্যাড বার্ড পরিচালিত ‘দ্য আয়রন জায়েন্ট’ ভিনগ্রহের বিশাল বড় রোবটের গল্প। পৃথিবীতে রকওয়েল নামক এক শহরতলীতে এসে যার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ছোট্ট ছেলে হোগার্থের। কিন্তু সরকার এই রোবটের কথা জানতে পেরে গিয়ে একে ধ্বংস করার জন্য এক অফিসার পাঠায়। অনেক টানাপোড়েনের পর রকওয়েল শহরতলীকে বাঁচাতে এই রোবট নিজের আত্মাহুতি দেয়। যদিও শেষ দৃশ্যে দেখা যায় রোবটের টুকরো টুকরো অংশগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ থেকে আবার আস্তে আস্তে আইসল্যান্ডে গিয়ে একত্রিত হচ্ছে। জায়েন্টের গলায় ভিন ডিজেল এবং হোগার্থের মায়ের গলায় জেনিফার অ্যানিস্টোন অনবদ্য। এই সিনেমার দুর্ভাগ্য যে ২০০০ সাল থেকে অ্যানিমেশনে অস্কার চালু হওয়ায় এর ভাগ্যে অস্কার জুটল না।

মিয়াজাকির ‘স্পিরিটেড অ্যাওয়ে’ আমার দেখা এক অদ্ভুত অ্যানিমেশন। একে যদি অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ডের ভৌতিক সংস্করণ বলা যায়, তাহলে হয়ত খানিকটা ঠিক বলা হবে। বছর দশেকের মেয়ে চিহিরো তার বাবা মায়ের সঙ্গে এক পরিত্যক্ত পার্কে যাবার পর তার বাবা-মা শুয়োর হয়ে যায় আর চিহিরো পড়ে ভূতেদের খপ্পরে। বাকিটা দেখুন। নাহলে মজা চলে যাবে। প্রতি সিনের ডিটেলিং, রঙের ব্যবহার, গ্রাফিক্সে ক্যামেরার অ্যাঙ্গল, প্রাকৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ড, ফোক মিউজিক – প্রতি বিষয়েই এই অ্যানিমেশন দুর্দান্ত।

এর আগের লেখায় বলেছিলাম জাপানের গ্রাম্য/শহুরে/পাহাড়ি/সামুদ্রিক ল্যান্ডস্কেপ দেখা সম্পূর্ণ হয় না যদি জাপানি অ্যানিমেশন সিনেমার কথা না বলি। সেই সূত্রেই আজ ছোটদের ছবির কথা আলোচনা করছি। তবে স্টুডিও গিব্‌লির এই একটামাত্র ছবি ‘স্পিরিটেড অ্যাওয়ে’ দেখে সেটা বুঝবেন না। তাই অনুরোধ, গিব্‌লির আরো কিছু সিনেমা দেখুন, যেমন, ‘মাই ন্যেবার টোটোরো’ (১৯৮৮), ‘হুইস্পার অব দ্য হার্ট’ (১৯৯৫), ‘দ্য উইন্ড রাইজেস’ (২০১৩) ইত্যাদি। তবেই আপনার জাপানি ল্যান্ডস্কেপ ভ্রমণ সম্পূর্ণ হবে।

অ্যান্ড্রু স্ট্যানটনের ‘ওয়াল-ই’ আবার এক রোবট নিয়ে গল্প। ২৯ শতকের জনবিহীন জঞ্জালে ভরা পৃথিবী। এক মেগা কর্পোরেশান ‘BnL’ যত ‘Waste Allocation Load Lifter: Earth-class (WALL-E)’ রোবট দিয়ে এই জঞ্জাল সাফ করাচ্ছিল, তার শেষ কর্মক্ষম রোবট আমাদের সিনেমার ওয়াল-ই। এই ওয়াল-ই ইভ নামক এক নজরদার উড়ন্ত ড্রোনকে একদিন জঞ্জালের ভেতর থেকে এক ছোট্ট জীবন্ত চারাগাছ দেয়। সেই চারা নিয়ে দুই রোবট স্পেসশিপ অ্যাক্সিওমে ফিরে যায়। এই সিনেমা খুব স্ট্রং এক মেসেজ দিয়েছিল। আমরা যদি প্রকৃতির যত্ন না নিই, তাহলে মানবজাতির কেউ বেঁচে থাকবে না। এই অ্যানিমেশনের পর পিক্সারের আরেকটা ছবি দেখবেন – ‘কোকো’ (২০১৭)ভালবাসা কীভাবে জীবন ও মৃত্যুর সীমারেখা একাকার করে দেয়।

ক্রিস বাক ও জেনিফার লি-র ‘ফ্রোজেন’ এক রূপকথার গল্প। গানের তালে দু’বোনের ভালবাসার গল্প। একবোনের বরফ বানিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের দেশে আজীবন শীত ডেকে এনেছে, তাই আরেক বোন তাকে বোঝাতে চলেছে। সঙ্গে আরো কয়েকজন সাথী নিয়ে। পুরো আবহটাই দুর্দান্ত। সম্ভবত ডিজনি স্টুডিওর সেরা প্রোডাকশান। এবং এক পরিণত বার্তা – ক্ষমতার অপব্যবহার কোর না।

এবার অ্যানিমেশন ছাড়িয়ে সাধার সিনেমায় ঢোকা যাক। ছোটদের জন্য কিছু  সিনেমা। যা সর্বকালের সেরা হিসেবে বেছে নিতে কারো আপত্তি হবার কথা নয়। এইরকম ঠিক তিনটে ছবি নিয়ে আজ আলোচনা করব – ‘উইজার্ড অব অজ’ (১৯৩৯), ‘মেরি পপিন্স’ (১৯৬৪) এবং ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’ (১৯৬৫)।

এই সিরিজের ৪ নম্বর পর্বে ভিক্টর ফ্লেমিং-এর এক লিজেন্ড মুভি ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’ (১৯৩৯) নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, মনে আছে? মনে পড়ছে, সেই সময়ের সাদা-কালো ছবির ভীড়ে ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’ ছিল মন ভাল করে দেওয়া এক রঙিন সিনেমা? দশটা অস্কার পাওয়া ছবি। সেই ভিক্টর ফ্লেমিংয়ের আরেক অসাধার রঙিন ছবি হল ‘উইজার্ড অব অজ’নিশ্চয় বলে দেবার অপেক্ষা রাখে না  যে এই ছবিও আজ থেকে ৮২ বছর আগের রঙিন ছায়াছবির এক মাইলস্টোন। হ্যাঁ, এটা সহজেই অনুমেয় যে একজনের পক্ষে একসঙ্গে দুটো লিজেন্ড ছবি পরিচালনা করা কঠিন। ফলে ভিক্টর ফ্লেমিং ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’-এর চাপে শেষদিকে ‘উইজার্ড অব অজ’ সামলাতে পারেন নি। শেষ তিন সপ্তা এই সিনেমা পরিচালনা করেছিলেন কিং ভিডর।

এক তের বছরের মেয়ে জুডি গারল্যান্ডের স্বপ্নের ভেতর রূপকথার অজ রাজ্যে ভ্রমণের ছবি ‘উইজার্ড অব অজ’সেখানে সে সঙ্গী হিসেবে পায় এক কাকতাড়ুয়া,  এক টিনের কাঠুরে আর এক ভীতু সিংহ। আর পায় এক দুষ্টু ডাইনি আর এক জাদুকরকে। ডাইনির শয়তানি কাটিয়ে জাদুকরের সাহায্যে জুডি অজ রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনে। স্বপ্নের ভ্রম সেরে আবার যখন সে নিজের বিছানায় জেগে ওঠে,  তার সমস্ত ঘটনাই সত্যি মনে হয়। এই সিনেমা মিউজিকের জন্য দুটো অস্কার পেয়েছিল। আর জুডি পেয়েছিল অস্কার কমিটির বিশেষ শিশুশিল্পী পুরস্কার।   

রবার্ট স্টিভেনসনের ‘মেরি পপিন্স’ ছোটদের রূপকথার মিউজিকাল সিনেমা যার মুখ্য চরিত্রে সেই সময়ের বিখ্যাত নায়িকা জুলি অ্যান্ড্রুজ। এই ছবি পাঁচখানা অস্কার পেয়েছিল। এই সিনেমায় একটা গান আছে ‘চিম চিম, চিম চিম, চিম চিম চে-রি...’, সেই গানের জন্যও এই ছবি অস্কার পেয়েছিলএই ছবিতে জুলি অ্যান্ড্রুজ এক মায়াবি জাদুকর, যে দুজন বদমাশ বাচ্চাকে দেখাশোনা করার জন্য ন্যানি হিসেবে আসে। তারপর নিজের জাদুর সাহায্যে গোটা পরিবারকে হাসিখুশি করে তোলে। এই ছবি নিয়ে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই। বলার আছে এর পরের ছবি নিয়ে।

রবার্ট ওয়াইজ-এর ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’ সেই সময়ের সবথেকে সফল বক্স অফিস হিট সিনেমা যার মুখ্য চরিত্রে আবারো জুলি অ্যান্ড্রুজ। এই সিনেমাও, সেরা ছবি আর সেরা পরিচালক সমেত, পাঁচখানা অস্কার পেয়েছিল। ‘মেরি পপিন্স’-এর জন্য জুলি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পেয়েছিলেন আর ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’-এর জন্য গোল্ডেন গ্লোব ও বাফটা। এখানেও জুলি এক ন্যানির ভূমিকায়। এক গানপাগল ন্যানি যে এক বিপত্নীক আর্মি ক্যাপ্টেনের সাত সন্তানের দেখাশোনার জন্য এসেছে। অস্ট্রিয়ার গ্রাম্য পটভূমিকায় এই ছবির নেপথ্য দৃশ্য দেখার মত। সঙ্গে গান আর মিউজিক তো বটেই।

তবে আমি একজন সমালোচক হিসেবে এই ছবির একটা অন্য দিক তুলে ধরতে চাই। এই ছবির ঠিক ২১ মিনিটের মাথায় একটা লং শট আছে, অন্তত ৪০ সেকেন্ডের। জুলি গান গাইতে গাইতে অ্যারোবিক্সের ভঙ্গিতে রাস্তা দিয়ে সেই ক্যাপ্টেনের বাড়ির দিকে এগোচ্ছেন। ক্যামেরা ডায়নামিক, সম্ভবত কোন হাল্কা বাহনের ওপর কার ক্যামেরাও দুলছে। এই পুরো শটে জুলির শুধু অভিনয় পটুতা  নয়, শারীরিক সক্ষমতাও চূড়ান্তভাবে ফুটে উঠেছে। এইরকম লং শটের জন্য অভিনেতাকে নিজের ১০০% দিতে হয়। নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি করতে হয়। এখন কজন পারে এইরকম শট দিতে?

এতক্ষণ যে যে সিনেমা নিয়ে ওপরে বললাম, তার বাইরেও আরো কয়েকটা ছবি আমি আপনাদের বলব বাচ্চাদের দেখাতে। এক, অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড (১৯৫১)। দুই, হোম অ্যালোন (১৯৯০)। ক্রিসমাসের পটভূমিকায় বাচ্চাদের সাহসিকতা যোগানোর বেশ ভাল সিনেমা। তিন, টয় স্টোরি (১৯৯৫)। চার, প্যাডিংটন ১-২ (২০১৪, ১৭) অ্যাডভেঞ্চার, অজানাকে জানার আনন্দ এবং সহবৎ শিক্ষার ছবি। প্রতি সিনেমাই সব বয়সে উপভোগ করার মত। এবং আরেকটা ছবির কথা না বললে আমার ফেলে আসা শৈশবের স্মৃতি অপূর্ণ রয়ে যাবে – ঋত্বিক ঘটকের ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ (১৯৫৮)। ছবিতে শ্যামল মিত্রের একটা গান এখনো আমার কানে ভাসে – ‘আমি অনেক ঘুরিয়া শ্যাসে আইলাম রে কলকাত্তা’। আসলে, এখনকার বেশিরভাগ বাচ্চা (এবং তাদের অভিভাবকরা) ভাবে ছোটদের সিনেমা মানেই বুঝি ‘হ্যারি পটার’। এর বাইরে যে একটা বিশাল বড় জগৎ আছে, সেটা আমার লেখার পর আশা করছি স্পষ্ট। ব্যস্‌, বাচ্চাদের ছবি এই অব্ধিই থাক। আমরা আবার নানা দেশের সিনেমায় ফিরব।

এখনো অব্ধি আমি হলিউড, ইউরোপিয়ান, এশিয়ান, এরকম বেশ কিছু জায়গার ছবি নিয়ে আলোচনা করলেও আফ্রিকায় একেবারেই হাত ছোঁয়াইনি। তো, সামনের বার আফ্রিকা নিয়েই কচকচি হবে। 

 

(ক্রমশ)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন