কবিতার কালিমাটি ১০৪ |
তোমার জন্য
যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে এসো, ধরো হাত
শুধু তোমার জন্য এনে দেবো শান্তিজল
পাহাড়চুড়োয় বিশুদ্ধ বরফ ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা
পাখির পালকে ঝরে
বিষাদহীন গান।
জলরঙের
ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে নির্বাসন কখনও –––
শূন্য অনুভবে লীন মুদ্রিত চোখ স্মৃতির পথ
ধরে...
বিনাশহীন মমতায়
জড়িয়ে যায় বিশ্বাসী হাওয়া
ফিরে দেখা কিছু
মুহূর্ত জন্ম-মৃত্যু-ক্ষণ।
কোহিনুর হিরের
ঝলমল আলোর ঝলক
নিয়ে আসে
দুঃখদুর্দশা যুদ্ধের দামামা।
ফিরে চলো,
স্বর্গসুখ নয়, মাটির শস্যদানার কাছে
অতি সাহসে বানাই
পোর্ট্রেট এই ভ্রমণগুঞ্জিত সকালে।
শুকসারী
বিচারের
শৃঙ্খলায় এসে দাঁড়ায় অসংখ্য দাসদাসী
কবর ঘিরে
লতাপাতার শান্ত আলাপ
ঝরে জুঁই,
হাস্নুহানা ভোরের আলোতে।
আলোহীন অন্ধকার
ছুঁয়ে যায় কঙ্কালসার শব
এখনও বাতাসে
ফিরতে থাকে গল্পগাথার সুর।
আঙুর আপেল নিয়ে
বাগানচত্বর
পড়ে থাকে নদীনালা
জঙ্গল উন্মত্ত।
এঁকেবেঁকে
সরীসৃপ গাছের ডালপালায়
সাদা মার্বেলে
এখনও রক্তচিহ্ন স্পষ্ট।
হারেমের মহিলারা
পর্দার আড়ালেই –––
যমুনাকিনারে গড়ে
ওঠে রেডফোর্ট বিশাল মর্যাদায়
মিশে যায়
ইন্ডিয়ান ও পার্সিয়ান স্টাইল একসঙ্গে।
ঝলমল রত্নসম্ভার
ময়ূর সিংহাসন –––
কেউ এল, কেউ
গেল, কে পেল কারাগার।
অন্ধকূপ ছেড়ে
পাখির বসনে ওড়ে শুকসারী দিনরাত।
সার্ফিং
‘ইয়েতি’ সেই
‘স্নো ম্যান’ এসে ধরে হাত
বরফ পাহাড়
সুনসান
লোমেশ শরীর
উত্তাপ আদানপ্রদান।
স্বপ্ন-সত্য-ভ্রম
নিয়ে সন্ধের আকাশ
উড়ে আসে
‘ভ্যামপায়ার’
ব্রাম
স্টোকার-এর ড্রাকুলা ‘ব্লাড ড্রিংকার’।
নদীর স্রোতে
ঝিলমিল চৈত্রের রোদ বাঘের মুখোমুখি
চোখে চোখ রেখে
এই দীর্ঘপথ চলা...
সার্ফিং, স্কুবা
ড্রাইভিং রোমাঞ্চিত ঢেউ
পৌঁছে যাই সেই
দেশ যেখানে নেই ইয়েতি, ড্রাকুলা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন