সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ফারহানা রহমান

 

সৃষ্টিশীলতায় গভীর অনুরাগী বব ডিলান




 

প্রায় তিন হাজার বছর আগে প্রাচীন গ্রীক মহাকবি হোমার তার হোমারির স্তোত্রাবলি বা ইলিয়াড ও অডিসিতে যে গীতিকাব্যরসের মাদকতা সৃষ্টি করেছিলেন। অথবা ধরা যেতে পারে ৬৩০ খ্রিস্টপূর্বে জন্মানো লেসবস দ্বীপের গ্রীক গীতিকাব্য রচয়িতা রহস্যময়ী কবি স্যাফোর কথা যাদেরকে এতো যুগ পরেও মানুষ মনে রেখেছে শুধুমাত্র তাদের সৃষ্ট ধ্রুপদী সাহিত্যের জন্য  যাতে আছে গীতিকাব্যরসের গভীর মাদকতা। ঠিক একই কারণেই বাঙ্গালীরা ভুলতে পারেনা ময়মন্সিংহ গীতিকা, অথবা লালনগীতি বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতিকাব্য।

সারা দুনিয়ার বহুবিখ্যাত কবি, সাহিত্যিকদের পিছনে ফেলে ২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন প্রখ্যাত মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী বব ডিলান। এবং তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন  মূলত তার গীতিকাব্যের জন্যই। যদিও তিনি একাধারে গীতিকার, কবি, লেখক, সুরকার, চিত্রশিল্পী, অভিনেতা ও ডিস্ক জকি। বব ডিলানের অসামান্য গীতিকাব্য ও অনবদ্য গায়কী ও তাঁর যুদ্ধবিরোধী  অবস্থান বিশ্বব্যাপী গত পাঁচ দশক থেকে প্রতিনিয়ত শান্তি ও শক্তির যে বাণী প্রচার করে চলেছে তার অসামান্য অবদান হিসেবেই তাঁকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানীত করা হলো বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁর গানের কথায় যে  গীতিকাব্যরস ও ব্যঞ্জনা বিদ্যমান, সেটাই তাঁকে গণমানুষের কাছে গানের কবি হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে।    

মহাকবি হোমারের ইলিয়াড-এ আমরা যে ছবি দেখতে পাই, সেই সময় কালের মানুষের যে সমস্ত  সমাস্যা ও সংকটের মুখোমুখি হতে দেখি, একইভাবে হুবহু মিলে যায় আজকের দিনের আমাদের এই আধুনিক সমাজ, সময়ের সঙ্গেও। যুদ্ধ ও যুদ্ধের দামামা চারদিকে। ক্রোধ, কাপুরুষতা, কাম, প্রতিশোধস্পৃহা, বীরত্বের প্রতি মোহ এসবই আজও বিদ্যমান আমাদের সমাজে। হোমার যেমন ঐশ্বরিক দেবদেবীদের বিশাল ও নির্দয় ক্যানভাসের সামনে দাঁড়িয়ে ইলিয়াড গেয়েছেন পরম মায়া ও মানবিকতা দিয়ে, সেই একই গীতিকাব্যের ছায়া আমরা দেখতে পাই বব ডিলানের “ The times they are changin” গানটিতেও। 

“The line it is draw/ The curse it is cast/  The slow one now/  Will later be fast/ As the present now/ Will later be past/ The order is/ Rapidly fadin/ And the first one now/ Will later be fast/  For the times they are changin” [The times they are changing]

ডিলান একের পর এক দুর্দান্ত সব গীতিকাবিতা সৃষ্টি করেছেন অগণিত দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জন্য যেখানে মানুষের কথা আছে, আছে জীবনের জয়গান। তার এসব গীতিময় কাব্যিকসুধারস সমৃদ্ধ শান্তির গান মানুষের হানাহানি, হিংসা ও যুদ্ধবিগ্রহ ভুলিয়ে দিয়ে একটি শান্তিময় পৃথিবী সৃষ্টির আবেদন নিয়ে এসেছে নিষ্পেষিত প্রান্তিক জনগণের কাছে। 

রাজনীতি, দর্শন, সাহিত্য ও সমাজের নানা নিয়ম বহির্ভূত বিষয় নিয়েই ডিলান তার গায়ক জীবনের যাত্রা শুরু করেছিলেন। এসবই ছিল জনপ্রিয় ধারার বিপরীত স্রোতে গাওয়া।  ১৯৫৯  সালে মিনেসোটার এক কফিহাউসে ডিলান তার গানের ক্যারিয়ার শুরু করেন। একদিকে  ব্যালেড গায়ক ও সঙ্গীতজ্ঞ উডি গুথরির অ্যামেরিকান ট্র্যাডিশনাল ফোক বা লোকসঙ্গীত শুনে মুগ্ধ  কিশোর ডিলান তার অনুসারী হয়ে ওঠেন এবং গুথরির স্টাইলে এক্যুস্টিক গীটার বাজিয়ে ব্লুজ ও ফোক গাওয়া শুরু করেন। তিনি তার জীবনে গুথরির প্রভাব বর্ণনা করতে গিয়ে  বলেছেন, “The song themselves had the infinite sweep of humanity in them….said to myself I was going to be Guthrie’s greatest disciple” অন্যদিকে অ্যামেরিকার লোকসঙ্গীতের রানী  হিসেবে খ্যাত ওডেত্তা হোমস (Odetta Homes) এর লোকসঙ্গীতের রেকর্ড  শুনে তিনি সর্বপ্রথম ফোক সঙ্গিতের উপর আকৃষ্ট হয়েছিলেন বলেও স্বীকার করেন। তিনি বলেন যে তিনি ওডেত্তার ফোক শুনে এতোই মোহাচ্ছিন্ন হয়েছিলেন যে তিনি  তার ইলেকট্রিক গীটার ও  অ্যামপ্লিফায়ার বদলে ফেলে  এক্যুস্টিক গীটারের মাধ্যমে লোকসঙ্গীত গেতে শুরু করেন। ডিলান নামটিও তিনি গ্রহণ করেন ওয়েলসের জনপ্রিয় লেখক ও কবি ডিলান থমাসের “Under Milk Wood” “A Child’s Christmas in Wales” প্রভৃতি বিখ্যাত কবিতা দ্বারা প্রভাবিত ও মুগ্ধ হয়ে। তিনি তার নিজের প্রকৃত নাম রবার্ট আল্যান জিমারম্যান  নামটি বদল করে বেছে নেন বব  ডিলান নামটি।

বব ডিলানের প্রকৃত নাম রবার্ট আল্যান জিমারম্যান। ১৯৪১ সালের ২৪ মে তিনি অ্যামেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ডুলুথ শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার মার নাম বিটি স্টোন ও বাবার নাম আব্রাহাম জিমারম্যান। শৈশব থেকেই ডিলান গানের প্রতি তীব্র আকর্ষণ বোধ করতো। দিনের বেশীরভাগ সময় তিনি রেডিওতে গান শুনে কাটাতেন।  ব্লুজ ও কান্ট্রিজ মিউজিক ছিল তার  প্রিয় বিষয়। তবে পরবর্তীতে তিনি রক এন্ড রোলের দিকেও ঝুঁকে পড়েন। এসময় তিনি বেশ কিছু ব্যান্ডও গঠন করার চেষ্টা করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব মিনোসোটাতে ভর্তি হন  যদিও তার লেখাপরা এরপর আর খুব বেশী এগোয়নি। এসময় তিনি পাশের শহরের ডিংকেটাউনের কফিশপে ফোক গান গাওয়া শুরু করেন।এরপর ডিলান ১৯৬১ সালে নিউ   ইয়র্কের পথে যাত্রা শুরু করেন এবং তার পরের বছরে ১৯৬২ সালের ১৯ মার্চ ‘কলোম্বিয়া রেকর্ডস’  থেকে তার প্রথম এ্যালবাম “বব ডিলান” প্রকাশ পায় এবং  এ্যালবামটি প্রথম বছরেই ৫০০০ কপি বিক্রি হয়ে যায়।  ষাট দশকের শুরু থেকেই ডিলান খ্যাতির তুঙ্গে অবস্থান করতে থাকেন। সে সময় তার গাওয়া গান “ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড”, “দ্য টাইমস দে আর আ চেইঞ্জিং” হয়ে  ওঠে ত্রুন সমাজের গণসংগীত যা যুদ্ধবিরোধী গান হিসেবেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করতে থাকে। ডিলানের হাতের এক্যুস্টিক গীটার ও গলায় ঝোলান হারমোনিকা হয়ে ওঠে তার  ট্রেডমার্ক। আর তিনি হয়ে ওঠেন তারুণ্যের অস্থিরতার প্রতীক, তার গান হয়ে ওঠে  নাগরিক অধিকার আন্দোলনের প্রেরণা।   তিনি তার স্বরচিত গীতিকবিতা গাওয়া  ছাড়াও গেয়েছেন অ্যামেরিকান কান্ট্রি সং, ফোক, ব্লুজ,  ইংলিশ, স্কটিশ, আইরিশ লোকগীতি, জ্যাজ মিউজিক, গসেপল এমন কি হার্ডরকও। তার গানের  লিরিকের আবেদন নিজ দেশ ছাড়িয়ে হয়ে উঠেছে বিশ্বজনীন। তার শক্তিশালী কাব্যিক গীতিকার সামাজিক আবেদন ও মূল্য সেই সময়ের সামাজিক পরিস্থিতিতে অপরিসীম হয়ে উঠে।  তিনি হয়ে উঠেন দ্রোহ ও যন্ত্রণার প্রতীক!  প্রেমিককবি ও গায়ক। তার যুদ্ধবিরোধী ও   শান্তিকামী গানের প্রতিটি পঙত্তি মানুষের মনে আশার উদ্বেল জাগায় আর তাই তার গান হয়ে উঠে অনন্য, অসাধারণ। তিনি শুধুমাত্র একজন গায়ক হয়ে না থেকে ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন  একজন সাধকপুরুষ। তার গীতিকবিতাতে  দর্শন, সাহিত্য, সমাজ ও রাজনীতি একাকার হয়ে মিশে গেছে। আর তাই সাহিত্যে ১১৩তম নোবেল  বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করার সময়  সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব সারা দানিউস বলেন যে ‘গত পাঁচ দশক ধরে অ্যামেরিকার সঙ্গীত ঐতিহ্যে নতুন কাব্যিক মূর্ছনা সৃষ্টির জন্য তারা ৭৫ বছর বয়সী সঙ্গীতশিল্পী বব ডিলানকে তারা বেছে নিয়েছেন।  

ডিলান তার ৭৫ বছর জীবদ্দশায় রচনা করেছেন ছয়শ’র বেশী গীতিকাব্য আর তাতে দিয়েছেন সুর, গেয়েছেন নিজের সৃষ্টি করার সেসব মৌলিক গান। তিনি তার গানের সুরের জাদুতে মুগ্ধ করে রেখেছেন তার লক্ষ কোটি শ্রোতাদের যারা আজ তার নোবেল প্রাপ্তিতে গর্বিত ও সম্মানিত বোধ করছে।  

একজন মহৎ গায়ক হিসেবে মানব সমাজে ডিলানের অবদান অনস্বীকার্য । তিনি তার প্রতিবাদ ও নিপীড়নবিরোধী গান রচনা করে মানবাধিকার কর্মীদের মনে সব সময় সাহস যুগিয়েছেন। তার গানের কথায় যে তীব্র দ্যোতনা সৃষ্টি হয় তাতে শ্রোতার হৃদয়ে এক বিস্ময়কর চাঞ্চল্য তৈরি হয়। আর তাই তিনি হয়ে উঠেছেন সঙ্গীত জগতের সবচেয়ে প্রভাবশালী শিল্পী। নিপীড়িত জনতাকে  তিনি শিখিয়েছেন কি করে কঠিন পরিস্থিতে লড়তে হয় ও সাহস ধরে রাখতে হয়। তিনি তার সারাজীবন অতিবাহিত করেছেন অ্যামেরিকার লোকসঙ্গীত, গসেপল ব্লুজ, লোকগাঁথার উপর গবেষণামূলক গীতিকাব্য রচনা করে। আর তাই তিনি নিজেকে প্রথমে কবি ও পরে সঙ্গীতশিল্পী ভাবেন।

বব ডিলান নিজেকে সবসময় নিপীড়িত জনতার পরম বন্ধু , তিনি বাঙালী জাতিরও পরম বন্ধু  হিসেবে  ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নিউইয়র্কে আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ‘এ বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে রবিশঙ্কর, জর্জ হ্যারিসন, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি প্যাটারসন ও রিঙ্গো  স্টারের সাথে এদেশের মানুষকে বাঁচাতে, জনমত সৃষ্টি করার জন্য গান গেয়েছেন। এভাবে যুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। ডিলান ভিয়েতনাম সহ পৃথিবীর অন্য সব দেশের সংগ্রামী জনতার  মুক্তির কথা অবিরত বলে গেছেন।  সারা পৃথিবীর যুদ্ধবিরোধী ও সংগ্রামী মানুষ তার  “ এ হার্ড রেইনস এগনা ফল”, “ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড” “জাস্ট লাইক এ ওমেন” “ইট টেকস এ লট টু লাফ” গানগুলো শুনে প্রতিমুহূর্তে সংগ্রামে উদবুদ্ধ হয়েছে।

“Then I’ll stand on the ocean until I start sinkin/ But I’ll know my song well before I start singin/ And it’s a hard , it’s a hard, it’s a hard/ it’s a hard rain’s a gonna fall/ it’s a hard rain’s a gonna fall/ it’s a hard rain’s a gonna fall.” [A hard rain’s a-gonna fall]

ব্যক্তিগতভাবে ডিলান সবসময়ই বিশ্বাস করেছেন যে পৃথিবীতে যা কিছু সম্পদ আছে তার অংশীদার সমানভাবে প্রত্যেকটি মানুষ। বিশ্বের পুঁজিবাদের প্রতি তার প্রবল ঘৃণা আর বিশ্বজোড়া অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রতিও রয়েছে তার ঘোরতর আপত্তি। তাইতো মাত্র ২২ বছর বয়সেই কালো মানুষের অধিকার আদায়ের অবিসংবাদিত নেতা ড. মারটিন লুথার কিং এর বিখ্যাত ভাষণ “আই হেভ এ ড্রিম” দেবার আগে তার বান্ধবী ও পরবর্তী সময়ের এডভোকেট জোয়ান বায়েজ এর সাথে “হোয়েন দ্য শিপ কামস ইন”  এবং “ওনলি আপন ইন দেয়ার গেইম” গানদুটো গেয়েছিলেন  এবং মিছিলের প্রথম সারিতে অবস্থান নিয়েছিলেন। ডিলানের প্রথম দিককার গানগুলোতে  জোয়ান বায়েজের প্রত্যক্ষ প্রভাব লক্ষ করা যায়। ডিলানের গান পাশ্চাত্যের তরুণসমাজে তথা সমগ্র  পৃথিবীর তরুণ সমাজকেই গত পাঁচ দশক থেকে সমানভাবে আলোড়িত করে রেখেছে। “An informal historian of America’s troubles” নামে খ্যাত লিজেন্ড বব ডিলান সঙ্গীত জগতের এক অসাধারণ চেতনা সৃষ্টিকারী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তিনি বিশ্ব জুড়ে তার ভক্ত কোটি কোটি শ্রোতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তাদের চিন্তায় গভীর চেতনায় আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। 

ডিলানের স্বরচিত গানগুলো বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে যা পাঠকমহলে তুমুল জনপ্রিয়।  এছাড়াও তিনি ট্যারানটুলা নামে একটি গীতিকাব্যের নিরীক্ষাধর্মী বই ও “ক্রনিকলস” নামক একটি আত্মজীবনীমুলক বই বের করেছেন। লেখক ছাড়াও ডিলান একজন সক্রিয় আঁকিয়ে, অভিনেতা ও চলচিত্র পরিচালকও বটে।


এ পর্যন্ত ডিলানের ঝুড়িতে যোগ হয়েছে ১১টি গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড, ১টি গোল্ডেন গ্লোব, ১টি একাডেমি পুরস্কার সহ ১৯৯১ সালে তিনি “গ্র্যামি লাইফ টাইম এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড। এছাড়াও ২০০০  সালের মে মাসে তিনি পোলার  মিউজিক প্রাইজ ও তার বিখ্যাত গান “থিংগস হ্যাভ চেঞ্জড”এর জন্য অস্কার পুরস্কার পেয়েছেন। টাইম ম্যাগাজিনের বিশ শতকের শ্রেষ্ঠ ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির  তালিকায় রয়েছে তার নাম। ২০০৭ সালে তাকে সংস্কৃতিতে “প্রিন্স অফ অস্ট্রিয়াস” পুরস্কার ও ২০০৮ সালে পুলিৎজার কমিটি সঙ্গীতকর্ম ও সমাজের প্রতি বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ  তাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করেন। তিনি সঙ্গীত লেখক হিসেবে ২০১২ সালে অ্যামেরিকার  প্রেসিডেন্ট বারেক ওবামার হাত থেকে গ্রহণ করেন অ্যামেরিকার সর্বোচ্চ পুরস্কার “প্রেসিডেন্ট মেডেল অফ ফ্রিডম” পদক। বিশ্বব্যাপী বহুল স্বীকৃত ও আলোচিত কবি ও সঙ্গীতশিল্পী বব  ডিলানের গানের বিক্রীত রেকর্ডের সংখ্যা ১০ কোটিরও অধিক। এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর বব ডিলান সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত হয়ে হলেন নোবেল লোরিয়েট। তার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। 

তিনি বহু বিখ্যাত উক্তি রচনা করেছেন যা পাঠকের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। তার লেখা একটি বিখ্যাত উক্তি দিয়ে শেষ করছি 

“DESTINY is a feeling you have that you know something about yourself nobody else dose. The picture you have in your own mind of what you’re about WILL COME TRUE. It’s kind of a thing you kind of have to keep to your own self, because it’s a fragile feeling, and you put it out there, then someone will kill it. It’s best to keep that all inside.”

-Bob Dylan, [The Bob Dylan Scrapbook; 1956-1966] 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন