কবিতার কালিমাটি ১০৮ |
গানবাড়ি
(১১)
রোদের অপেক্ষা-ধরা
খিলখিল এ কেমন যেন গ্রাম হে
গান জমে
জমে শ্যাওলানিহার
থেকে আশানুরূপ মা
মা
পায়ে পায়ে তুলে
আনে ঘুমপাড়ানি সুর ও রবিবার
একবাড়ি গান
খোকা ওঠে, মা-বিনা
এ ঘর শুনসান ছিল
তার বৌ কথা
বলেই পাখি
মা
একটা জাল ফেলে
দেয় এসেই
একটি সংসারে
সুর
গান আবার হীন
হীন বিহীন হয়ে যায়
(১২)
আমার দেশান্তরী
বাওয়ালছেঁড়া গোঁ
গো দিয়ে, না
মেলাবো না
সেই রাস্তাটা
তো খয়েরিপ্রখর ক্ষীণ
অস্তে লালটানা
বলেই কে বা কারা সুর করত
ব্লকে তেমন
উন্নতি নেই
সুরও দুর্বল
বাড়িগুলো শুকনো
এবং এক একটা দরজায়
গান দিয়েছে
হানা
অদ্ভুত না?
হারমোনিয়ামে
নিবিড়-তা পুনশ্চা রেললাইনের দুঃখ
একটা কী গান
হবে
সুর বানাবে
জংশন
সিগন্যালের
আলোয় গেয়ে উঠবে আনকোরা কে যেন
ছিন্নভিন্ন
কে যেন
কে যেন
কে
(১৩)
গানবাড়ির ভেতরে
ছিল্কা ওড়ে ছেঁড়াফাঁড়া কোকিলের
এটা প্রচার
মিডিয়া যা করে
নেহা শ্রীবাস্তবকে
প্রায় কোকিল করেই জিগগেস করে আপনি স্বাধীন?
গানবাড়িতে কিন্তু
ওই এক তর্জমা
কথা সুর হয়
সুর গান
নেহা গোলাপি
রঙের স্কুটি চালাতে থাকে
গানবাড়ির নেহা
শ্রীবাস্তব
সুরবাড়িগানস্কুটি
ও যাবতীয় প্রচার
মাথায় নিয়ে একটাই চাঁদ দেখে
বা দেখেছিল
সেদিন লক্ষ্ণৌ-এ
যারা যারা দেখেছে বা শুনেছে এসব
বা নেহাকে কোকিল
ভাবল যারা
গানবাড়ি তাদের
ঠিক তারাই কোকিল
হয়ে ফিরে আসছে আবার
গানবাড়ির কী
যে হবে
গানবাড়িতে কী
কী যে হতে পারে…
(১৪)
গানে কী যুক্তি
আছে?
গানে কি যুক্তি
আছে যে লোকোইয়ার্ড আর জিয়াদের বাড়িতে মৌসুমি বায়ু
এসে বসে ভেসে
নয়
আসিয়া বসিয়া
ভাসিয়া ইত্যাদিতে সাধু সাধু ইথারে মেদুর
জিয়াভরলি
জিয়ারই শুধু
ভরা মনসুনে আঙুলচাঁপা ঝিলিক
গানে যেরকম
ভাসিয়া
হাসিয়া ক্রিয়া
অতীতে যেমন আখরোট কাঠের বাড়ি হইতেও বাড়ি
ঘর হইতেও ঘর
প্রায় শাস্ত্রীয়
প্রায়শই যুক্তিহীন
গানের খোঁজে জিয়া আমাদের ‘লোডস অফ লভ’ নিয়ে আঁকাবিরোধী
জিনসে
আজ সেই গায়িকা
আজ সেই ঘরের
মেয়ে, বাড়ির জিয়াভরলি
যুক্তিফুরুৎ
একটা গান গাইছ।।
শোনো…
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন