হীরকখচিত হৃদয়পুরে রেণু রেণু রঞ্জন
হৃদয়পুরে আমি এক বিস্তীর্ণ জলাশয় দেখেছি। তার স্ফটিকচোখে
কথানটের জট। ছাড়াতে ছাড়াতে এমন
খননশব্দ উঠে আসে, যেন কোনো নক্ষত্রের মৃত্যুকথা
জমে আছে পরতে পরতে। রহস্যের ঈষৎ বিচ্যুতি, ঋতুমতির
সামান্য গোপনতা যেমন বর্ণচোরা, হীরে ঠিকরোনো বর্ণালিও ততটাই
কৌণিক। যতটা প্রিয়জনের
দৈর্ঘ্য। যতটা ভালোবাসার
প্রস্থ। উচ্চতায় ঈষৎ মিথ। উন্মুখ জীবন যেমন। নশ্বরতার দাবি
উপেক্ষা করে গড়িয়ে যাচ্ছে মহাবিশ্বের চিত্রশালায়। এক হাতে তার তিনভাগ জলের রোল ও
বোল, অন্য হাতে একভাগ মাটির জন্মভাষা। জাগলিং করছে দুই সমান্তরাল ইউনিভার্স। আঙুলে
মেপে নিচ্ছে বৈপরীত্য, কতটা শৃঙ্খলে কতটা ধ্রুবকে। রেণু রেণু সম্ভাবনার ভেতর জন্ম
নিচ্ছে অসম্ভবের অণুপরমাণু। অ্যানথ্রপিক প্রণালী বেয়ে গড়িয়ে নামছে মগ্নচৈতন্য।
চেতনার সেই ধ্বনিগুহায় নেমে অবরোহের প্রতিধ্বনি শুনতে শুনতে কুড়িয়ে নিচ্ছি রেণু
রেণু রঞ্জন।
এসো ম্লান উদ্ধার ও আলো
এসো বিমূর্ত যাপনের নির্ণয়
এসো অবাধ্য মৃত্যুভাষা
দেখো তোমার নির্জনের ভেতর
কেমন নির্বিকল্প আমাদের জন্মভাষা
তোমার নৈঃশব্দ্যের ভেতর
কেমন আলোর সংকেত
বলো নিমগ্ন অন্ধকার
তুমিই জীবনের মুদ্রা নও
বলো পতঙ্গভুক আলো
তুমিই মরণের উদ্যম নও
ছায়ার আস্তরণে গড়া এই এক দুরূহ সমীকরণ
সত্য হোক
মিথ্যে হোক
অন্তরঙ্গ কিছু গরলের ওম
প্রকাশ্যে
কিছুটা পূর্বাভাস
মরীচিকা হওয়ার আগে
শিশিরকণাদের সংকেত যেমন
আমি ধ্রুবতারার প্রলম্ব ছায়া দেখি কান্নার
স্ফটিকবিন্দুতে। তবু কান্না কোনো
ধ্রুবতারার নাম নয়। ধ্রুবকে সত্যের ঘরে
বেঁধেছ বলেই সত্যকে অপ্রাকৃত হতে হবে এমন তো নয়। এই যে যুক্তির মধ্যে, বিযুক্তির মধ্যে, ফাঁক রেখে রেখে এতটা
পথ। দুমুঠো অপরূপের
পাশে রূপের মায়া। জড়াবে না বললেই তো
শেষ হয়ে যায় না। কান্নার বাঁধনও
এমন বিপজ্জনক করে তুললে যেন তার গায়ে কোনো মায়া নেই। যেন তার গায়ে মুহূর্তের স্বেদবিন্দু লাগেনি
কোনোদিন। আজ আমি জলের কাছে
এসেছি। অশ্রুজলের যতটা
জল্পনা যতটা প্রাকৃত। সেখানে স্ফটিকের স্বচ্ছতা আছে বলেই,
আলো ঠিকরে ধ্রুবতারা হয়ে যাবে এমন তো নয়
আলোর নিচে যেসব গোপন অন্ধকার
খুব মৃদু তার
হাসি
কান্না
দাঁড়ি বসাও
পাল্লা বসাও
নিক্তির ওজনে তবু ভুল হয়ে যায়
আকাশের গায়ে যেসব চলন লেগে থাকে
তুলাদণ্ড রেখে দেখো
তাদের পায়ে পায়ে কত ধুলোর আস্তরণ
হয়তো অতীত এখন
তবু তারা ছিল একদিন
সম্পর্ক যেমন
অস্তিত্বের দোটানায় ছিঁড়ে যেতে যেতে
বিপন্ন যাপনের নকশিকাঁথা বুনতে বুনতে
কখন যে বর্তমান
বুঝে উঠতে না উঠতেই
অতীতের ডাক পড়ে যায়
অতীতের ভীরু ও নাজুক রাত্রি খুঁড়ে দেখো
সমস্ত কান্নাই জড়ানো ছিল কাঁটা ও ফুলে
আজ সব নীরবতাগোত্রের ফুলদানি
কাঁটাহীন
নিতান্ত মসৃণ
শুধু আত্মহত্যার বিশ্বাস আজও রয়ে গেছে
নিরাময়ে
শুশ্রূষায়
আমি রাত্রিভাষার প্রতি অঙ্গে শব্দ বসাই। তার
বুকের খাঁজে তিরচিহ্ন খুঁজি। চিহ্নকে লেগে থাকে স্ফটিকসংকেত। ধ্বংসস্তূপ কাহিনী। সম্পর্কের নিগূঢ়
প্রহেলিকা। সংশয়ে। সংস্কারে। গুহানির্মিত নিঃসঙ্গতা যেমন অবলীলায় সংযোগছাড়া।
বায়বীয় উষ্ণতা নিয়ে বেমানান মাপজোক। উচ্চতা আসলে এক অজৈব বাতুলতা। স্বীকারোক্তি
ভাবতে পারো। তরঙ্গ যেমন। ভেঙে পড়ার আগে লহরীউচ্ছ্বাস, কথানটের নকশিকাঁথা। যেন
সহস্র বছরের বাড়ানো হাত। স্থৈর্যের খোঁজে। বিশুদ্ধ অনুরাগে। আঙুলে আঙুল জুড়ে
নির্মাণ। এমন নিখুঁত, এমন নিটোল, সম্মোহনে দুলে ওঠে সৃজনের বৈভব
এসো ম্লান উদ্ধার ও আলো
এসো জীবন
এসো মৃত্যু
দুটুকরো পৃথিবীর ওই রক্তাভ নাভিকুণ্ড
যেখানে লুকোনো আছে
জন্মমুহূর্তের শঙ্খধ্বনি
আগামী মৃত্যুর সংকেত
প্রবল নৈঃশব্দ্যের চাপে ও তাপে
ওইখানে জমে ওঠে রসায়ন
এমন উৎসারিত দ্যুতি
এমন উজ্জ্বল উদ্ভাস
স্রোতবিমুখ চিত্তও ভেসে যায়
রঞ্জনের বহুবর্ণস্রোতে
অন্ধকার থেকে খুঁটে তোলা আলোর সংকেত
উঠে আসে প্রচণ্ড লাভাস্রোতে
এমন চঞ্চল
এমন উদ্দাম
যেন প্রতিটা প্রতিসরণ
ডিঙিয়ে যেতে চায় অসীমের ইন্ডেক্স
পালক ছড়ানো এই মৃগয়ার পাশে আমি ঝুম হয়ে আছি। ভীরু নিঃশ্বাসের
ভেতর দুলে উঠছে আরো একটা নিঃশ্বাস। উলঙ্গ পাঁজরের নিচে জন্ম নিচ্ছে এমন দুঃসাহস যেন সাহসের
জন্মকাহিনী লেখা হয়নি আগে। যেন মরণ মরণ বলে ডাকেনি কেউ
অমসৃণ অভিসারে
লালরক্ত পরিবাহী যত রোধ
যত প্রতিরোধ
একে একে দীর্ঘ করে শ্বাস
বাম অলিন্দে বাসা বাঁধে রূপান্তর
শান দেয় আগামী অক্ষর
দক্ষিণ অলিন্দ ভেঙে
নিশ্চুপে উঁকি দেয় নীলবর্ণ সাপ
দূষণের গান বেয়ে উঠে আসে মৃত্যুরং
প্রতিঅঙ্গজুড়ে সরীসৃপ প্রতিভাস
তখনও কিছুটা স্মৃতিরং আবহসঙ্গীতে। ছেড়ে আসা খোলসে
সাদাকালো মোহ। নিরুদ্দেশের হাতে
উদ্দেশ্য বিধেয়। ঐতিহ্যের অভিঘাতে
যেটুকু বিষ দেখো তার নীলপ্রাণ শুষে নেয় নিরেট মিথ্যের পাহাড়। আগামী মৃত্যুর ভেতর যেটুকু নিরাপদ আশ্রয় সেখানে
নির্মোহ হয়ে ওঠে আলোকিত সত্যের নতমুখ
এইমাত্র অশ্বিনীঘাট থেকে
কুড়িয়ে নিয়েছি তার চরণচিহ্ন
চিহ্নিত বহিরঙ্গে গোপনতা বিষয়ক সন্ধ্যা
যতটা মায়াবী মনে হয়
তার চেয়ে ঢের বেশি বিস্ময়
বিস্ময়ের দাগ থাকে
পুরুঠোঁটে
নাভিনীড়ে
ঋতু উন্মুখ হলে যেমন অক্ষর
পদছাপ রেখে যায়
অরতিসম্ভবে
আমি তখন ঝুলে আছি কবি-কবিতা-পাঠকের ত্রিভুজ
সম্পর্কে। তেকোনা খোয়াবনামায় প্রতিদিন পরবাস। ত্রিবর্ণ কক্ষপথে ডিএনের চরণচিহ্ন
মেপে একটা পোয়েটিক ক্যানভাস রচনায় ব্যস্ত। ট্রান্সক্রিপশনের বিশুদ্ধ জারকে জড়িয়ে
যাচ্ছিল প্রোটিনের রেণু। প্রত্যয় ছিল, কার্বনের
চারহাতে না হোক, অন্তত একহাতে জুড়ে দেবো তোমার আদিম। জানি
প্রামাণ্যগ্রন্থির ভালোবাসা ছাড়া ঝরে যাবে ভ্রূণলাগা অক্ষরসমূহ। তবু দেখো, জলজ বিশ্বাসের ওপর কেমন লতিয়ে উঠছে জীবনের অনুক্রম। বাইরে তখন
তিথি নক্ষত্র মিলিয়ে নিচ্ছে তোমার জ্যোতিষ চোখ। ডাকঘর প্রীতিলিপিতে জেগে উঠছে
ইনোসেন্ট অসীমের অসতর্ক হাওয়া। খেলাঘরে আলতো যোগাযোগ। কখন নিশিপাল এল নিঃশব্দচরণে।
হিম বিষণ্ণতায় গোপন সুড়ঙ্গ খুঁড়ে নিল সেরিব্রামের দেয়ালে। অবাধ্য মৃত্যুভাষায়
সম্প্রসারিত রেখা। এমন অস্বচ্ছ হয়ে
উঠল ক্যানভাস, যেন কার্বনের শেষ সংস্করণ।
চেয়েছিলাম বিজ্ঞানের ভণিতা থেকে মুক্তি দেবো তোমায়। নিক্তির ওজনে মেপে নেবো গ্লোবালাইজেশনে কতটা
গ্লোব; গলানো শব্দে শববাহকদের কতটা
অমৃতবিহার
বহমান রাত্রির কাছে
গচ্ছিত রেখেছি অভিমানী মুখ
লুকোনো দীর্ঘশ্বাসে জেগে থাকে
জাগরণের দীর্ঘচরণ
নগ্ন শিরদাঁড়ায় বোবাসিঁড়ি
হিমমগ্ন হিয়া বেয়ে
বিরহের মুখ
মুখোশের কাহিনী
অন্তরালে নিশিডাক
দুরূহ অন্ধকারে মেধাশ্রিত আলো
অবাধ্য শব্দের পাশে রেণু রেণু সংঘাত যেমন
ধারালো মন্থনের নির্জন নেশাপথ
অক্ষরের ফাঁদে ছায়া নামে আবছা কনসেপ্ট
দীপ্ত আলোর পাশে লতানো বিষাদ যেমন
অনাত্মীয় ঠোঁটে বিশ্বাসী আঙুল জড়ো করে
ভুল সময়
ধ্বংসের স্রোত
ছিন্নমূল স্পেস
যেন এসমস্ত জুড়ে জুড়েই তার
সম্প্রসারিত সেতু
সৃজনের নির্যাস
বিলাসী আলোর পাশে অনিবার্য অন্ধকার যেমন
স্বস্তিক চিহ্নের পাশে ঈশ্বরের প্রমাদ যেমন
নিশিকুণ্ডল থেকে জেগে উঠল ব্রহ্মকমল। আমি ব্রহ্ম ভাববো
নাকি কমল, ঈষৎ দ্বন্দ্ব। সামান্য
বর্ণান্ধতাও। আফটারঅল
ভুবনগ্রামের পাঁচ শতাংশ এখনো বর্ণান্ধ। নাভিতে যেটুকু সংকেত, আমি
অনায়াসে পেরোতে পারি কমল বা কামিনী। স্বপ্নগর্ভের মৃত চাঁদ, তার
শ্মশানমুখী টান এমন অবাধ্য, এমন লজ্জাশীতল যেন মুক্তির
মহড়াগুলো বর্ণভ্রান্তখেলা
তামসের রূপ যে দেখেছে
আলো তাকে কতটা চেনাবে রং
বর্ণান্ধের বাঁকানো গ্রীবায়
ধিকি ধিকি আগুনের আলতো আঁচ
চোখে তার চৈত্রসর্বনাশ
তুমি থেকে রং খুলে রেখে
ক্রমশ আকারমগ্ন
আমি পাঠান্তর নিয়ে ভাবছি। পাঠ থেকে অন্তরে যেসব যাওয়ারা নিরন্তর, তাদের সন্ত্রাস লেগে থাকে আত্মহত্যার ঠোঁটে। মৃত্যুপায়ে জড়ানো শব্দশর। আসলে শব্দও তো এক
স্রোতান্তরের সাঁকো। তোমার সঙ্গে আমার। সত্যের সঙ্গে মিথ্যের
সত্য যখন নিরুত্তরের পায়ে পায়ে
এপার
ওপার
শূন্য থেকে শূন্য নিয়ে
দুঃসাহসী খেলায় মাতে
মিথ্যে তখন নিছক মোহে
এঘর
ওঘর
মোহর কুড়োচ্ছে গেরস্থালির চৌকাঠে
আসলে সত্যের
সঙ্গে মিথ্যের কোনো লিঙ্গভেদ নেই। আপেক্ষিক মাত্র। আপেক্ষিকে প্রেক্ষিত বসালে কেবলই বেড়ে যায় আলোর নশ্বরতা। আমি মৃত জোনাকির
পুড়ে যাওয়া আলো খুঁজে নিই অন্ধকার থেকে। সত্যের প্রাত্যহিক শ্রুতিলেখা অহোরাত্র বুদবুদ গড়ে চড়া আলোর
ভ্রূকুটিবিভঙ্গে। প্রিয়তম মিথ্যেগুলো
শোধনের রাজ্যপাট ফেলে ভেসে ওঠে দূষণের গাঢ় নীল স্রোতে
মদির রাত্রিভাষা ন্যুব্জ হয়ে এলে
ক্লান্তচরণ
সদর খোঁজে বদর বদর করা
বিভ্রান্তিতে
সত্য অসত্য হস্তান্তরিত হয়ে যায়
জেহাদি অঙ্গনে
শিশিরমোছা রোদকাহিনী নুয়ে পড়ে
নিশীথ নেহাইতে
অন্ধতামস আড়াল ডাকে প্রাণপণ
নিশিপালের এই উদ্যাপিত সন্ধ্যায় শোকস্তব নিয়ে
জ্বেলেছি যজ্ঞের হোম। চরাচরে রেখেছি এক ব্রহ্ম নারী। মৃত্যুদণ্ড হাতে নিরবয়ব পুরুষ। কবিতা, গুহামুখে
যেদিন নির্ধারিত হয়েছিল তোমার গোত্র, সেদিন থেকেই বহু
মৃত্যুর দেশ দেখেছ তুমি। নির্বাসনে। ইতিহাসে। ভারবাহী বাহকের বন্ধ্যা শেকড়ে।
গোত্রাহুতি দেবো বলে হোমাগ্নি জ্বেলেছি আজ। তোমার। আমার। ঊষর ধরিত্রীর
কবি না কবিতা
কে কাকে কতটা লেখে
কার দুঃসাহসে টিলা থেকে ঝাঁপ দেয়
অনিশ্চয়
কাহাদের শোকগাথা
কাহাদের শব
হে বাহকের দল
এ অসম্ভব
তবু এইখানে ধীর লয়ে সম্ভাবনাপ্রবাহ
এ অসম্ভব
তবু এইখানে পূরবীর তানে আসন্ন সন্ধ্যার বোধনমন্ত্র
এ অসম্ভব
তবু এইখানে জীবনের সুরেলা আলাপ
হে বাহকের দল
উপেক্ষা কোরো
একান্ত হৃদয়ঘটিত এইসব অক্ষরবৃত্ত
বৃত্তের বাইরে দেখো
শোকের প্রহরী সে
নিশিপাল
বৃত্তের কেন্দ্রে অশোকের গাঢ় লাল
মোহশূন্য দাগ রেখে যায় সন্ধ্যাতারার গায়ে
জলের কাছে এসে সম্মোহিত শব্দ
যেন জলীয় বুঝেই
কবি থেকে কবিতার দূরত্ব কমানোর প্রস্তাব
জলের অনুবাদে লেখা পঙ্ক্তিসকল
কিছু উচ্ছলতা
কিছু অহমিকা
পুড়ে পুড়ে অঙ্গীকারে রেখে দেয়
অজৈব প্রেম
যতটা কঠিন মনে হয়
যতটা অবাধ্য উচ্চারণ
বস্তুত স্পর্শকাতর নিষিক্ত ভ্রূণ
অনুরাগের তাপে সঞ্চারিত গর্ভ
নিঃশব্দ সংকেত
নদীমাতৃক এই যে সম্পর্ক
কবি থেকে কবিতার
যতটা দূর ভাবো ততটা দূরত্ব নয়
একান্ত নিরাময়
পবিত্র প্রাণায়াম
জরা নেই
বার্ধক্য নেই
এক আশ্চর্য সন্ন্যাস
যে কবির হীরকখচিত হৃদয়পুর
থেকে এই রেণু রেণু রঞ্জন তাঁর সংক্ষিপ্ত পরিচয়-
আশির দশকের কবি চিত্তরঞ্জন হীরা। জন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতায়। ভিন্নমুখ পত্রিকার সহসম্পাদক। ১৯৯০ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “স্বতন্ত্র ঈশ্বর”। তারপর প্রকাশিত হয় “বাকনদী মায়াজাল”, “ফুটনোটে সূর্যোদয়”, “এসো ম্লান উদ্ধার ও আলো”, “নিশিপাল”, “নিরাসক্ত বিষাদতারা”। প্রবন্ধসংকলন “কবিতার মনোভূমিতে” এবং “এক অক্ষর পারাপার”। ১৯৮৫ সালে “কবিতা বহতা নদী” এবং ১৯৯২ সালে “এই ছড়ার বনে সত্যজিৎ” নামে দুটো এন্থোলজির সম্পাদনা করেন। বিভিন্ন বইয়ের জন্য ‘সাহিত্য রংবেরং’ ও ‘মঞ্জুশ দাশগুপ্ত স্মৃতি পুরস্কার’ লাভ করেন।
এমন আলোচনা ঋদ্ধ করে। আনন্দ দেয়। কবি-ও প্রাণিত হ'ন।
উত্তরমুছুন