মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

উমাপদ কর

 

কবিতার কালিমাটি ১০৭


চতুর দশপদী

 

(২৬)

 

কোথাও একটা ভয় চুইয়ে উঠছে।

একবিন্দু জল একটা কোথাও বাষ্প

হতে গিয়ে বরফের কণা, বড়ো হচ্ছে,

হতে হতে মন-ঘরের ফায়ার-প্লেসে।

 

গ্যাসবেলুনের সুতো ধরে নেমে আসে

সাইকেল, টিউবের বাতাস চুমুকে

খেয়েছে কাঁটারা। পেরেকের মুখে রক্ত

বিন্দু বিন্দু, উষ্ণ, বরফ না, বাষ্প হচ্ছে।

 

শীতল ঘরের মেঝেতে অনেক লাশ,

পরস্পর ভয়, জল নিয়ে কথা বলে।

 

(২৭)

 

অনুদিত হতে থাকে ফুসফুসে শ্বাস।

মাটির ঘড়াটা জল গড়িয়ে গড়িয়ে

কামানের মুখে এসে থমকে দাঁড়ায়।

 

সাবানের এত ফ্যানা কেন ঘরময়?

সবাই পড়ছে কেন ধুপধাপ, মেঝে!

আঠা উঠে যাচ্ছে দেয়ালে কী জাদুবলে?

 

ঘুমোবার আগে ঘুম স্লিপারে নামছে,

ওখানেই ছিল কৃষ্ণচূড়া ফুলেফুল।

হৃদ্‌যন্ত্র ড্রামবিট, পাকস্থলী নাচে,

কুমোরের শেষ-চাকে ফুসফুস ঘোরে।

 

(২৮)

 

থাকতে পারত, নেই, দরজার ঘণ্টা,

ওয়েলকাম-পাপোশে পা ঘষে না মুখ।

শুধু মুখোশের স্নান বালতি-পুকুরে।

 

পুতলের কোনো সংস্করণ রাখে না

আলমারি, আলনায় ভাঁজ করা ধোঁয়া

নিপাট, অভ্যাসবশে ওড়ে না সিলিঙে।

 

ঘরটা যেতেই পারে বাইরের কাজে,

বাইরেটা এলে কোন সোফায় বসবে?

বাতিল করার ঢেউ নার্স সেজে এলে

ঘণ্টা ও পাপোশে হাত ও পা, শরবত।

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন