বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০

শ্রাবণী সিংহ

 

কবিতার কালিমাটি ১০৫


রাত্রিজ

 

(১)

 

তারা ফুঁড়ে আসছে বিচ্ছেদময় আভা  শূন্যগর্ভ হিলিয়ামে,

লালচে ভাব ধারালো

প্রমিথিউসের চুরি যাওয়া আগুনের মত

 

আগষ্ট রাত, দা-কোদালের চাইতে ধারালো কি?

 

খেলতে খেলাতে চেয়ে হারালে মনুষ্যত্ব

এবার শ্বাসযন্ত্রের দখল নিয়ে খেলায় মেতেছে ক্ষুদ্র অণুজীবটি।

 

(২)

 

এতক্ষণে ঝাপসা হল পৃথিবী

আর রক্তাল্পতায় ভোগা চোখ।

 

বৃষ্টি আসার আগেই বৃষ্টি শুকায়

খাঁ খাঁ শহরে

 

শংকর মাছের লেজের চাবুক চিরে ফেলছে

হাওয়া ও অন্ধকারের প্রণালী, রাতনামায়

এই বৃষ্টি ছিঁচকাঁদুনে চিৎকারের মত

যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ শোনে

আত্মার প্রশান্তি না হয়!

 

যতদূর চোখ যায়

পালাতে চাই এই দৃশ্য থেকে, এই রসায়ন সবুজ সবকিছু থেকে।

পালাতে ইচ্ছে করলেই ডানা মেলি... এই পথভার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

অক্টোপাসের মত আটটি গলি।

 

সখ্যতা মেশানো ছাতিমগাছ আর ওই পর্যন্তই তার পরিধি।

নজরমিনার থেকে নিকট জঙ্গলে একটা পথছায়া

যতদূর চোখ যায়

……

পালানো হয় না আর

তোমার চোখের ইশারায়

আগামীর বিশ্রাম, দাঁড়িয়ে আছি বিবশ নারী।

 

একে ভাঙতে গেলে


দেখার চেয়ে বোঝা কম।

যতদূর দেখা যায় তার বেশিও একটুও দেখতে শেখে না কেউ

সবাই নিজের সীমাবদ্ধতার কাছে হার মেনে নেয়

               আর

তাই-ই হয়ে যায় তার ভবিতব্যের ঠিকানা।

 

ভাবলেশহীন খাঁচাঘর

একসময় সাক্ষী থাকে স্কোয়ার ফুটের আকাশ ও একলা চেয়ার।

 

এই অপরাহ্ন, এই বিকেল

দিনান্তের শেষ রশ্মিজাল বিছিয়ে দেয়

শক্তখোলের দেয়ালে।

একে ভাঙতে গেলে আহত হবে তুমিও।

 

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন