কালিমাটির ঝুরোগল্প ৮৭ |
নবজাগরণ
এই তমালতালীবনরাজিনীলা সমুদ্রসৈকতে ল্যাভেন্ডার মিন্টস-এর গন্ধমেশানো কেকস আর কুকিজ শরাব ও নানা পানীয়ের সমারোহ। তপ্ত উষ্ণ বাদামের মতো স্তনরাজিলীলা ছড়িয়ে হেঁটে চলেছে আমার শরীর। আর মন চলেছে বিগত পৃথিবীর দিকে বিপরীতে। জ্যোৎস্না ঝরছে ম্যাডোনা আর ড্যাফনেডোরিয়ার চক্ষুমনির মতো উজ্জল। সাদা বালির পথ। পরনে পীতাভ চামড়ার পোশাক। পীতাভ চামড়ার পোশাক উজ্জল আলোপোশাক। আমরা সবাই মডেলবন্ধু একই শিল্পীর। এই সমুদ্রশহরের আলতামিরা হোটেলে আমন্ত্রিত আমরা শিল্পী দি বস্ সহ। জিওলগাছের আঠা শুকিয়ে রক্ত তখন তখন ছবি তুলে আমার স্তনের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছিল বৃক্ষসিরিজে। মেঘেরা রমণক্লান্ত হয়ে ঝরে পড়ছে। নিজন্তপ্রত্যয় ফুটে উঠছে বালির উপরে। পৃথিবী নাকি দূষিত, তা এখানে বোঝা যায় না। আমাদের শরীরের নির্গত বস্তু থেকে হিলিয়াম পাওয়া যাচ্ছে। এমন কি ঘাম বিন্দুরা ওমেগা থ্রি গুণ ধারণ করেছে। এখানে সমাজের কোনো তুকতাক মাদুলি কবজ নেই।
মানুষ নাকি যে পথ ধরে এসেছিল, হামাগুড়ি দিয়ে সেই পথে ফিরে যাচ্ছে। জঙ্গলের রঙিন মাশরুম জ্যোৎস্নায় ভিজে
ফ্লুয়োরেসেন্ট আলো ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন মাশরুম শুধু স্তন যোনি ও লিঙ্গরূপ ধারণ করছে
মানুষের প্রতি ঈর্ষাকাতরতায়। মানুষের সঙ্গে জঙ্গলের ভালোবাসা এভাবেই বেড়ে
যাচ্ছে। মাশরুম জানে ভাইরাস নিয়ন্ত্রিত মানুষরা অভ্যেসে এনেছে 'নন্দিনীর প্রেম নিকষিত হেম কামগন্ধ নাহি তায়' -- এ
জাতীয় প্রেম। অসংখ্য জিআইএফ চুমু পৃথিবীর বিলুপ্ত প্রজাপতিদের ফিরিয়ে এনেছে।
ভালোবাসা নাকি সত্যিকারের হতে পারে এয়জাতীয় চিন্তাকে মান্য করার সময় এসে গেছে।
এটাই টারনিং পয়েন্ট মানবসভ্যতার।
তারা নরক ঘাড়ে বয়ে বেড়াচ্ছিল একমাত্র তারাই এই বালুতীরে এসে পৌঁছেছে। এখানে বারো থেকে বাষট্টির মহিলারা পালা করে আসে,
তারা কোনো না কোনো ভাবে ধর্ষিত হয়েছে। আজ
আমরা যারা এসেছি তারা পূর্ব পরিচিত। এখানে নন্দিনী স্বপ্নে দেখছে তার বুকভরা দুধের
উত্তেজনা তার ধারা শুধু শিশুর হাঁ মুখ খুঁজে বেড়াচ্ছে। শোষণ থেকে রক্ত থেকে
মুক্তি পাওয়া নারীরা নাচছে যে যার মতো।
আমাদের পায়ের ছাপ বালিতে পড়ছে আর স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে। কেলাসিত হচ্ছে। রঙিন কেলাসন।
আমাদের খ্যাতি অখ্যাতি দুঃখ অভিমান অপমান হাজার হাজার রঙের শেড উৎপন্ন করছে। অবাক হয়ে দেখছি।
হয়তো এই সাদা বালির দ্বীপে ফিরব না আর। এই চিহ্নগুলোর কী হবে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন