কবিতার কালিমাটি ১০৩ |
রাশপ্রিন্ট
চাঁদে ইন্টুবিন্টু হয়
পৃথিবীতে হাফটাইম
চাঁদ কিন্তু তেমনভাবে মুখের মতন না হয়ে
হয়ে উঠল রিকশাওয়ালার দুঃখ
ঢাকাই পরোটার দুঃখ
একটু দেখো
একটু মীনাক্ষী হও
ডিঙি নেবো
পরকীয়া মেশাবো যার যার চাঁদে, কার কার ভাঙা হাটে
রিকশাওয়ালাও জানত না
একটিমাত্র পৃথিবী
একটি মাত্র রিকশা
ফার্স্ট ক্লাস
ইন্টুবিন্টু চাঁদে
পৃথিবীতে হয় হয় হাফটাইম
খুব ফাঁকা আর ঘুঘু ডাকছে
ডাকের পাশে বাইক
থাক
থাক কথা
কথা সেঁকছিল ফুল্কো রুটি
নদী-ঝিমঝিম জল
আঙুলেরা
খুব ফাঁকা
ফাঁকা আর নিরিবিলি
নিরিবিলির ভেতরে ভাণ্ডার আর ভাণ্ডার
আজ ছুটি
ছুটির রঙ কোথায় যেন মিশবে মিশবে
বাইক আছে কিন্তু মেকানিক নেই এমন একটা সময়ে
কারা যেন আসে
চেঁচায়
কী সব বিক্রি করে
থাকে না
থাকে না বেশিদিন
বেশিদিন এত চমৎকার নয়
(৩)
যেদিকে যাবো ঐ বিয়োগ ঐ বিন্দু
মাঝখানে
ফর্সা গতা মেয়েটার
অনেকদিনের অপেক্ষা
শুধু কাঠচেরাইয়ের কথা
কথাও এত দাহ্য ছিলনা যে বিকেল শুধুই উপমা
বনে বনে বিচার চাইতে থাকা আলো
উপমায় করাতকলের দাগ
কাটা দাগ আরেকটি মেয়ের
বা ঐ নির্ভারচিত বেণীদুটোয় অবাক জল্পাই
অবাক সেতুঘোর
কাটা কাটা শরীর পেরিয়ে
গাছ,মেয়েদের পেরিয়ে
পা রাখলাম
ঐ জলজে ঐ মিনারেলে
(৪)
চোখের ফেরে রকম হল ফোটা
যাচ্ছি তবে
বাঁধলে
না বাঁধলেও চুল
এই হিমদোল এই পাঁড়সবুজের দেশে
একচুল বেঁচে যাওয়া
পলাশ পলাশী চলে যাওয়া
চুল বাঁধলে
চোখ খুলে দিলে
আলো
এই সাড়াতফাৎ ছোঁয়াই
ফোটা আর ফোঁটার ভেতরে যে সাড়াটুকু গায়ের আলোয়ান
চোখ দানি হয়
মেঘ বানিয়ে দেয় চোখ তার
আমার কীসব দেখা
কাহা কাহা চুলের তন্দ্রায় কেবিনের পর্দা নামল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন