কবিতার কালিমাটি ১০৩ |
মহড়া
পাঁচদিন আগে থেকে বাছাই করে রাখি নাচের পোশাক
অডিকোলন আর চন্দন গন্ধের পাশে লঘু পায়ে হেঁটে
বেড়ায় ‘ইহকাল’ নামের ধুরন্ধর বেড়াল।
ঝুল বারান্দা নেই বলে মেলে দেয়া দুঃখ বোধ দেখাও
যায় না।
‘আমরা এমনিই এসে ভেসে যাই’
গানের সাথে সহস্র মহড়া শেষ করে এই বিশ্রামপর্ব পোশাক বাছাই করে কেটে গেল
ভাবছি অনন্ত এই টানেলটা শেষ হলে...
রোদের নিচে
হাত পা দুমড়ে পড়ে আছি সময়ের অন্ধ গহ্বরে
দূরে কোথাও সাইরেন সারাক্ষণ নাকি আমি ভাবি
অপরাধীর মতো মুখ ঢেকে রাখতে হয়।
স্পর্শের শীতলতা বা উষ্ণতা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে
সন্দেহ আর নিষ্ঠুরতার বিপরীত শব্দ খুঁজে পাওয়া
যাচ্ছে না আপাতত।
শ্রাবণেও এত রোদ তবু আলো নেই শুদ্ধতা নেই
মানুষের দিকে আর তাকাতে পারি না।
লোভ
সন্ধেবেলা অপেক্ষায় থাকি কখন সামনের বাড়িতে ঝাল
ঝাল তরকারি রান্নার গন্ধ পাওয়া যাবে।
ঐটুকু সময় বেঁচে উঠি আর শিস দিতে দিতে হাঁটি যখন
ঊনিশশো সাতষট্টি আসে তখন বিছানায় সাপের কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে অন্য কোনো জন্মে আমি ডুরে শাড়ি পরা কিষানী ছিলাম।
ঝুড়িতে করে তুলে আনতাম টাটকা সব্জি আর অনটনের দিন।
এখনও মাঝে মাঝে অনুভব করি ফসল খেতের
নির্বিকার প্রতারণা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন