বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০

পদ্মাবতী রায় চৌধুরী



কবিতার কালিমাটি ১০২



স্বপ্ন

শেষরাতে মরাচাঁদ জ্বলে জ্বলে যায়
ভাঙনের চিঠিতে আমি কলম ছোঁয়াইনি,
জ্বলন্ত বারান্দার জোছনায় পুড়ে যায়...
কথা কাটাকাটি ভালোবাসাবাসি আদরভেজা
যাবতীয় মেঘরাশির তাসের ঘর...

আমি রাতভর বসে বসে দেখি,
জোছনায় পুড়ে যায় জোড়া চড়াইয়ের
আরও একখানা জীবন্ত আস্তানা ৷


জীবন

যতবার অপমান...
যত যত পরাজয়...
যত তীব্র হাহাকার...
যত বাতিল বাস্তিল হয়ে উঠছি ভিতরে...
যত হাত পথে ছেড়ে চলে চলে যায়...
যত একলা একলা স্লিপিং পিলস...

তত ভোর ভোর জলের শব্দ...
পাখির হলুদ সবুজ পালকে ক্লিক...
গভীরে মিশে যাও সমুদ্র...
আমার ব্যথাকে গর্ভে নাও...


জীবাণু

হাসতে হাসতে মুখোশ পরো জীবন...
সকল বাতিল হয়ে যাওয়া জীবনই
মুখোশ পরে হাসছে ৷
ভালো থাকার পঁচানব্বই আস্তরণের মুখোশ...
সত্য আর সততা নামক জীবাণু,
প্রতিবাদ আর একতা নামক জীবাণু...
তোমাকে স্পর্শ করবে না আর কখনও৷


অপরাধ

গতরাতে মেডুসা চুল খুলে 
বারান্দায় বসে ছিল...
আমাকে প্রশ্ন করলো,
ভালো লাগছে জীবন?
আমি হাসলাম...
দরকারে নিজের কথা বলতে পারি না...
হাসতে পারি... উচ্চহাসি... 'জ্যান্ত অলক্ষ্মী'...
মেডুসা বিড়বিড় করে বললো,
"ভালোবাসাই সুন্দরকে মেডুসা বানায়..."
মেডুসা ভালোবাসতে চেয়েছিল...
ঈশ্বর তার চোখদুটোকে  পাথর বানিয়ে দিলেন ৷
ভালো লাগতেই হবে জীবন...
না হলে, 
একটু সূর্য দেখতে চাওয়ার অপরাধে ঈশ্বর তোমাকেও মেডুসা বানাবেন ৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন